ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকেরা ধান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন
উৎপাদন খরচের তুলনায় আশানুরূপ দাম না পেয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকেরা ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। ফলে জেলায় গত মৌসুমের তুলনায় এ বছর ছয় হাজার ৭৫২ হেক্টর কম জমিতে বোরো চাষ হচ্ছে।
গত কয়েক মৌসুমে ধানের কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি কৃষক। কিন্তু বেড়েছে কৃষি যন্ত্রপাতি, মজুরি, কীটনাশক ও সারের দাম। সেই সঙ্গে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম এবং বিদ্যুতের বিলও। তার ওপর বৃষ্টিনির্ভর আমন মৌসুমে এ বছর সেচযন্ত্র দিয়ে সেচ দিতে গিয়ে বেড়ে গেছে ধানের উৎপাদন খরচ। এসব কারণে অনেক কৃষক ধান চাষে আগ্রহী নন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৬০ হাজার ৮০২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত মৌসুমে ৬৭ হাজার ৫৫৪ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর আবাদ হয়েছিল ৭০ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে।
২০১১ সালের বোরো মৌসুমের তুলনায় ঠাকুরগাঁওয়ে বোরো আবাদ কমেছে নয় হাজার ৬৪৮ হেক্টর জমিতে। আর গত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে ছয় হাজার ৭৫২ হেক্টর কম জমিতে বোরো আবাদ কমে এসেছে।
সদর উপজেলার মাটিগাড়া গ্রামের কৃষক মো.শামসুজ্জোহা জানান, গত মৌসুমে চার বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছিলেন। উৎপাদিত ধান প্রতিমণ ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি করে নয় হাজার ৫০০ টাকা লোকসান হয়। তাই লোকসান কিছুটা পুষিয়ে নিতে ওই জমিতে এ বছর গম চাষ করেছেন।
গত ২১-২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সদর উপজেলার খোঁচাবাড়ি, গড়েয়া, চৌধুরীহাট ও শিবগঞ্জহাটে সরেজমিনে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমের আমন ধান প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫২০ টাকা দরে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী এক একরে ধান উৎপাদনে ব্যয় হয় ৪৭ হাজার টাকা। একরে সর্বোচ্চ তিন হাজার কেজি ধান উৎপাদন হলে প্রতিমণ (৪০ কেজি) ধান উৎপাদনে ব্যয় হয় ৬২৭ টাকা।
বর্তমানে বাজারে প্রতিমণ আমন ধান বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫২০ টাকায়। এ হিসাবে মণপ্রতি লোকসান হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁওয়ের উপপরিচালক বেলায়েত হোসেন বলেন, ধানের আশানুরূপ দাম না পেয়ে জেলার অনেক বোরোচাষি গম ও আলু চাষে ঝুঁকে পড়ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৬০ হাজার ৮০২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত মৌসুমে ৬৭ হাজার ৫৫৪ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আর আবাদ হয়েছিল ৭০ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে।
২০১১ সালের বোরো মৌসুমের তুলনায় ঠাকুরগাঁওয়ে বোরো আবাদ কমেছে নয় হাজার ৬৪৮ হেক্টর জমিতে। আর গত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে ছয় হাজার ৭৫২ হেক্টর কম জমিতে বোরো আবাদ কমে এসেছে।
সদর উপজেলার মাটিগাড়া গ্রামের কৃষক মো.শামসুজ্জোহা জানান, গত মৌসুমে চার বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছিলেন। উৎপাদিত ধান প্রতিমণ ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি করে নয় হাজার ৫০০ টাকা লোকসান হয়। তাই লোকসান কিছুটা পুষিয়ে নিতে ওই জমিতে এ বছর গম চাষ করেছেন।
গত ২১-২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সদর উপজেলার খোঁচাবাড়ি, গড়েয়া, চৌধুরীহাট ও শিবগঞ্জহাটে সরেজমিনে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমের আমন ধান প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫২০ টাকা দরে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী এক একরে ধান উৎপাদনে ব্যয় হয় ৪৭ হাজার টাকা। একরে সর্বোচ্চ তিন হাজার কেজি ধান উৎপাদন হলে প্রতিমণ (৪০ কেজি) ধান উৎপাদনে ব্যয় হয় ৬২৭ টাকা।
বর্তমানে বাজারে প্রতিমণ আমন ধান বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫২০ টাকায়। এ হিসাবে মণপ্রতি লোকসান হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁওয়ের উপপরিচালক বেলায়েত হোসেন বলেন, ধানের আশানুরূপ দাম না পেয়ে জেলার অনেক বোরোচাষি গম ও আলু চাষে ঝুঁকে পড়ছেন।
No comments