ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স- চিকিৎসকের নয়টি পদের ছয়টিই শূন্য, ভোগান্তি
চিকিৎসকসংকটে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এখানে চিকিৎসকের নয়টি পদ থাকলেও কর্মরত আছে দুজন। দীর্ঘদিন ধরে গাইনি, মেডিসিনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে চিকিৎসক নেই। তাই অনেক রোগী এখানে এসে সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, এখানে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও), গাইনি, মেডিসিন, সার্জারি ও অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসা কর্মকর্তার একটি করে পদ শূন্য। চিকিৎসা কর্মকর্তা ফারিয়া রশীদ ২০১০ সালের ৩ আগস্ট ও ডেন্টাল সার্জন রুমানা বেগম ২০০৬ সালের ২১ আগস্ট থেকে অনুপস্থিত আছেন। কর্মরত আছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে বেশির ভাগ সময় দপ্তরের প্রশাসনিক কাজ ও সভা-সেমিনার নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়।
চিকিৎসা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা একা রোগীদের চাপ সামলাতে না পারায় ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুজন চিকিৎসককে এখানে প্রেষণে আনা হয়েছে। তাঁরা হলেন এলুয়ারি ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক মো. বিপ্লব বিশ্বাস ও চিন্তামন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের রুমানা ইসলাম। তবে এই তিনজনও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং বহির্বিভাগের রোগীদের সঠিকভাবে চিকিৎসা দিতে পারছেন না।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী শহীদুল ইসলাম বলেন, ৩১ শয্যার এ হাসপাতালে প্রতিদিন বহির্বিভাগে প্রায় ৩০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। ফুলবাড়ী, পার্বতীপুর, বিরামপুর ও নবাবগঞ্জের অনেক রোগী এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র এক্স-রে যন্ত্রটি চার মাস ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। প্রতিমাসে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও যন্ত্র মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, চিকিৎসকের অপেক্ষায় কয়েকজন রোগী বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন। চিকিৎসক না পেয়ে রামভদ্রপুর গ্রামের মরিয়ম বেগম তাঁর সাত বছরের অসুস্থ শিশু কারমুলকে নিয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানোর পর তিনি নিজেই তাঁর কক্ষে নিয়ে ওই শিশুকে চিকিৎসা দেন।
শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত বাসুদেবপুর গ্রামের বৃদ্ধা জয়তুন নেছা (৬০) চিকিৎসা নিতে এসে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ভ্যানের ওপর শুয়ে চিৎকার করছিলেন। তাঁর স্বজনেরা অভিযোগ করে বলেন, ‘অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছি, একজন চিকিৎসকও নাই।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হক বলেন, চিকিৎসকসংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রতিমাসে জানানো হচ্ছে। এখানে রোগীর প্রচণ্ড চাপ। বাধ্য হয়ে প্রেষণে নিয়ে আসা চিকিৎসক দিয়ে কোনো রকমে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা একা রোগীদের চাপ সামলাতে না পারায় ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুজন চিকিৎসককে এখানে প্রেষণে আনা হয়েছে। তাঁরা হলেন এলুয়ারি ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক মো. বিপ্লব বিশ্বাস ও চিন্তামন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের রুমানা ইসলাম। তবে এই তিনজনও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং বহির্বিভাগের রোগীদের সঠিকভাবে চিকিৎসা দিতে পারছেন না।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী শহীদুল ইসলাম বলেন, ৩১ শয্যার এ হাসপাতালে প্রতিদিন বহির্বিভাগে প্রায় ৩০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। ফুলবাড়ী, পার্বতীপুর, বিরামপুর ও নবাবগঞ্জের অনেক রোগী এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র এক্স-রে যন্ত্রটি চার মাস ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। প্রতিমাসে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও যন্ত্র মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, চিকিৎসকের অপেক্ষায় কয়েকজন রোগী বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন। চিকিৎসক না পেয়ে রামভদ্রপুর গ্রামের মরিয়ম বেগম তাঁর সাত বছরের অসুস্থ শিশু কারমুলকে নিয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানোর পর তিনি নিজেই তাঁর কক্ষে নিয়ে ওই শিশুকে চিকিৎসা দেন।
শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত বাসুদেবপুর গ্রামের বৃদ্ধা জয়তুন নেছা (৬০) চিকিৎসা নিতে এসে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ভ্যানের ওপর শুয়ে চিৎকার করছিলেন। তাঁর স্বজনেরা অভিযোগ করে বলেন, ‘অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছি, একজন চিকিৎসকও নাই।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হক বলেন, চিকিৎসকসংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রতিমাসে জানানো হচ্ছে। এখানে রোগীর প্রচণ্ড চাপ। বাধ্য হয়ে প্রেষণে নিয়ে আসা চিকিৎসক দিয়ে কোনো রকমে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
No comments