বার্সায় থাকছেন তো ভিয়া?
প্রায় প্রতি ম্যাচেই একই দৃশ্য। ডেভিড ভিয়া নামছেন। গ্যালারিতে তুমুল করতালি আর স্লোগান: ‘ভিয়া, ভিয়া’! না, এতে ভিয়ার খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই।
বার্সেলোনার স্ট্রাইকার যে প্রায় প্রতি ম্যাচেই নামছেন বদলি হিসেবে। স্পেন জাতীয় দলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ভ্যালেন্সিয়ায় যখন ছিলেন, ২১৭ ম্যাচে ১২৮ গোলও করেছেন। কিন্তু সেই ভিয়া বার্সায় এখন ব্রাত্য। চোটের কারণে দীর্ঘ সময় মাঠে বাইরে ছিলেন। চোট থেকে ফেরার পর এক-দুই ম্যাচে বদলি হিসেবে খেলেছেন। ধারণা করা হচ্ছিল, ভিয়ার পুরো ছন্দে ফেরার অপেক্ষায় টিটো ভিলানোভা। কিন্তু কোথায় কী, ভিয়ার সেই ‘ছন্দে ফেরা’ আজও হলো না।
এই মৌসুমে বার্সার হয়ে ২০ ম্যাচ খেলেছেন। ১০টাই বদলি হিসেবে। লিগে ১৭ ম্যাচের মাত্র ছয়টিতে ছিলেন প্রথম একাদশে, চ্যাম্পিয়নস লিগে ছয় ম্যাচের একটিতে। এই মৌসুমে বার্সার হয়ে সর্বোচ্চ ২ হাজার ২২২ মিনিট খেলেছেন মেসি। ভিয়া খেলেছেন মেসির তিন ভাগের এক ভাগ—৮৫০ মিনিট। তার পরও তাঁর নামের পাশে ৮ গোল। এর মধ্যে লিগে ৫ গোল। বার্সা কোচের সুদৃষ্টি যে পাচ্ছেন না, পরিসংখ্যানেই পরিষ্কার। দলে জায়গা নিয়ে তাঁর মূল লড়াই অ্যালেক্সিস সানচেজের সঙ্গে। সেই সানচেজ এবার ১৯ ম্যাচে মাত্র ১ গোল করেও ভিলানোভার প্রথম পছন্দ।
বেঞ্চ গরম করতে কারোরই ভালো লাগে না। স্পেনের সফলতম স্ট্রাইকার হয়েও বার্সায় দুয়োরানি হয়ে থাকা ভিয়ার জন্য তো আরও কঠিন অভিজ্ঞতা। সামনে আবার জানুয়ারি। শীতকালীন দলবদলের উষ্ণ খবর আপাতত ভিয়াই। শোনা যাচ্ছে, চেলসিতে যেতে চান তিনি। তাঁর ব্যাপারে আগ্রহী আর্সেনালও। তবে ধারে হলেও ভিয়াকে আনার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী চেলসির ভারপ্রাপ্ত কোচ রাফায়েল বেনিতেজ।
ওদিকে ইংলিশ মিডিয়ায় বেশ জমেছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর প্রত্যাবর্তনের গুঞ্জন। দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্স রোনালদোর খেলা তো বটেই, তাঁর মনের ওপরেও যে ছাপ ফেলেছে, সেটাই দেখিয়ে দিয়েছে মার্কা। রিয়ালের হয়ে গত পাঁচ ম্যাচেই হলুদ কার্ড দেখেছেন রোনালদো—আয়াক্স, ভ্যালাদোলিদ, সেল্টা ভিগো, এসপানিওল ও মালাগা। এই পরিসংখ্যান দিয়ে পত্রিকাটি লিখেছে, মেজাজ হারিয়ে ফেলছেন রোনালদো। ওদিকে তাঁর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক সতীর্থরা দুহাত বাড়িয়েই যেন ডাকছেন। এরই মধ্যে ডেইলি মিরর লিখেছে, রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে এখনো নতুন চুক্তিতে সই না করে রোনালদো যেন ইউনাইটেডকে একটা বার্তাই দিয়ে রাখলেন! ওয়েবসাইট।
No comments