বাংলা একাডেমীর ফেলোশিপ পেলেন ১০ কৃতী
দেশের মননের প্রতীক হিসেবে খ্যাত বাংলা একাডেমীর ৩৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হলো গতকাল শুক্রবার। একাডেমীর প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই সাধারণ সভায় এবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ১০ জন কৃতী ব্যক্তিত্বকে বাংলা একাডেমীর সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেওয়া হয়।
সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মধ্য দিয়ে সকাল নয়টায় শুরু হয় দিনব্যাপী সাধারণ সভা। এরপর দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রয়াত গুণী ব্যক্তিত্বদের স্মরণে শোক প্রস্তাব পাঠ করা হয় এবং তাঁদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন একাডেমীর সভাপতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
সাধারণ সভায় গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৩৪তম বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণী সারা দেশ থেকে আসা একাডেমীর ফেলো, জীবন সদস্য এবং সদস্যদের সম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়।
বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান ২০১১-১২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের চেতনাপ্রবাহের অবিচ্ছিন্ন ফসল বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাংলা একাডেমী। একাডেমীকে একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী নিবিড় গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে। এর অংশ হিসেবে ঐতিহাসিক বর্ধমান হাউসে চারটি জাদুঘর স্থাপন, প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ, বিবর্তনমূলক অভিধান, বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস, লোকজ সংস্কৃতির বিকাশ কর্মসূচি, রবীন্দ্রজীবনী প্রণয়ন ও প্রকাশ, বাংলা একাডেমীর নিজস্ব আইন প্রণয়ন, বহুতল আধুনিক বিক্রয়কেন্দ্র, প্রচলিত অভিধানসমূহের হালনাগাদকরণ, দেশের বিভিন্ন স্থানে আঞ্চলিক সাহিত্য সম্মেলন এবং একাডেমীর আন্তর্জাতিক সংযোগ বৃদ্ধিকরণের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
বাংলা একাডেমীর সচিব আলতাফ হোসেন ২০১২-১৩ সালের একাডেমীর বাজেট উপস্থাপন করেন। এরপর একাডেমীর সদস্যরা বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজেট সম্পর্কে সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন। একাডেমীর মহাপরিচালক ও সচিব সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সম্মানসূচক ফেলো: বিকেলের অধিবেশনে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ জন কৃতী ব্যক্তিত্বকে বাংলা একাডেমী সম্মানসূচক ফেলোশিপ ২০১২ দেওয়া হয়। ফেলোশিপ পেলেন—বিচারপতি তাফাজ্জাল ইসলাম (বিচার ব্যবস্থাপনা), মুর্তজা বশীর (চিত্রকলা), প্রাণ গোপাল দত্ত (চিকিৎসা, চিকিৎসা-প্রশাসন ও সমাজসেবা), মহিউদ্দিন আহমেদ (গ্রন্থ-উন্নয়ন ও প্রকাশনা শিল্পের প্রসার ও বিকাশ), মহীউদ্দীন খান আলমগীর (গবেষণা), রুনা লায়লা (সংগীত), সাবিনা ইয়াসমীন (সংগীত), রামকানাই দাশ (সংগীত), এম সাইদুজ্জামান (অর্থ ব্যবস্থাপনা) এবং আতিউর রহমান (অর্থ ব্যবস্থাপনা ও সংস্কৃতিচর্চা)।
ফেলোশিপ পাওয়া ব্যক্তিদের হাতে সম্মাননাপত্র, সম্মাননা স্মারক ও ফুলেল শুভেচ্ছা তুলে দেন বাংলা একাডেমীর সভাপতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
সাধারণ সভার শেষ পর্বে ছিল সদস্যদের প্রস্তাব বিষয়ে আলোচনা। এই পর্বে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমীর ফেলো কবি আসাদ চৌধুরী।
সাধারণ সভায় গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৩৪তম বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণী সারা দেশ থেকে আসা একাডেমীর ফেলো, জীবন সদস্য এবং সদস্যদের সম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়।
বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান ২০১১-১২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের চেতনাপ্রবাহের অবিচ্ছিন্ন ফসল বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাংলা একাডেমী। একাডেমীকে একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী নিবিড় গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে। এর অংশ হিসেবে ঐতিহাসিক বর্ধমান হাউসে চারটি জাদুঘর স্থাপন, প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ, বিবর্তনমূলক অভিধান, বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস, লোকজ সংস্কৃতির বিকাশ কর্মসূচি, রবীন্দ্রজীবনী প্রণয়ন ও প্রকাশ, বাংলা একাডেমীর নিজস্ব আইন প্রণয়ন, বহুতল আধুনিক বিক্রয়কেন্দ্র, প্রচলিত অভিধানসমূহের হালনাগাদকরণ, দেশের বিভিন্ন স্থানে আঞ্চলিক সাহিত্য সম্মেলন এবং একাডেমীর আন্তর্জাতিক সংযোগ বৃদ্ধিকরণের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
বাংলা একাডেমীর সচিব আলতাফ হোসেন ২০১২-১৩ সালের একাডেমীর বাজেট উপস্থাপন করেন। এরপর একাডেমীর সদস্যরা বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজেট সম্পর্কে সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন। একাডেমীর মহাপরিচালক ও সচিব সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
সম্মানসূচক ফেলো: বিকেলের অধিবেশনে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ জন কৃতী ব্যক্তিত্বকে বাংলা একাডেমী সম্মানসূচক ফেলোশিপ ২০১২ দেওয়া হয়। ফেলোশিপ পেলেন—বিচারপতি তাফাজ্জাল ইসলাম (বিচার ব্যবস্থাপনা), মুর্তজা বশীর (চিত্রকলা), প্রাণ গোপাল দত্ত (চিকিৎসা, চিকিৎসা-প্রশাসন ও সমাজসেবা), মহিউদ্দিন আহমেদ (গ্রন্থ-উন্নয়ন ও প্রকাশনা শিল্পের প্রসার ও বিকাশ), মহীউদ্দীন খান আলমগীর (গবেষণা), রুনা লায়লা (সংগীত), সাবিনা ইয়াসমীন (সংগীত), রামকানাই দাশ (সংগীত), এম সাইদুজ্জামান (অর্থ ব্যবস্থাপনা) এবং আতিউর রহমান (অর্থ ব্যবস্থাপনা ও সংস্কৃতিচর্চা)।
ফেলোশিপ পাওয়া ব্যক্তিদের হাতে সম্মাননাপত্র, সম্মাননা স্মারক ও ফুলেল শুভেচ্ছা তুলে দেন বাংলা একাডেমীর সভাপতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
সাধারণ সভার শেষ পর্বে ছিল সদস্যদের প্রস্তাব বিষয়ে আলোচনা। এই পর্বে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমীর ফেলো কবি আসাদ চৌধুরী।
No comments