সুরের সাধককে সশ্রদ্ধ বিদায়
হাড় কাঁপানো শীত, সঙ্গে কনকনে হাওয়া। সূর্য মুখ লুকিয়ে আছে ঘন কুয়াশার আড়ালে। সকাল না দুপুর, বোঝা ভার। ছুটির দিনে এমন আবহাওয়ায় ঘর ছেড়ে বের হওয়ার ইচ্ছা না হওয়াটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু প্রকৃতির বিরূপতায় আমল না দিয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে সুরসাধক সোহরাব হোসেনকে শেষ বিদায় জানাতে এসেছিল অসংখ্য মানুষ।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরের উত্তর-পূর্ব কোণে গগন শিরীষগাছের তলায় কালো ব্যানার টানানো মঞ্চে শুয়ে ছিলেন কিংবদন্তিপ্রতিম এই নজরুলসংগীতশিল্পী। নির্মিলিত চোখ, যেন তলিয়ে আছেন গভীর ঘুমে। পায়ে পায়ে এগিয়ে এসে একে একে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানালেন বন্ধু, সহকর্মী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিজীবী, কর্মকর্তা, ছাত্রছাত্রীসহ সর্বস্তরের গুণগ্রাহীরা। কেউ ফুলের মালা, কেউ বা স্তবক নামিয়ে রাখছিলেন নশ্বর দেহটির পাশে। তাঁর বিয়োগবেদনায় অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি অনেকে। শিল্পীর অবদানের কথা বলতে গিয়ে বাষ্পরুদ্ধ হয়েছে কণ্ঠ।
গতকাল বেলা ১১টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শিল্পী ও সংগীতগুরু সোহরাব হোসেনের মরদেহ নেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে। ৯০ বছর বয়সে গত বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ওই দিন হাসপাতালের হিমঘরেই মরদেহ রাখা হয়েছিল।
সোহরাব হোসেনের জ্যেষ্ঠ জামাতা নজরুল ইসলাম জানান, সকাল সাতটায় হাসপাতালের হিমঘর থেকে মরদেহ প্রথমে নেওয়া হয় মিরপুরে আল-মারকাজুল ইসলাম নামের একটি প্রতিষ্ঠানে। সেখানে শেষ গোসল ও কাফন পরানোর পর মরদেহ মোহাম্মদপুরের বাড়িতে নেওয়া হয় সকাল নয়টায়। বাড়িতে আত্মীয়স্বজন তাঁকে শেষ দেখা দেখেন। এ সময় শোকে মুহ্যমান শিল্পীর স্ত্রী সুরাতুন্নেছা ও বড় মেয়ে রওশন আরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সুরাতুন্নেছার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে বাংলাদেশ মেডিকেলের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়।
শিল্পীর মরদেহ বাড়ি থেকে নজরুল ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও সময়ের স্বল্পতায় সেখানে নেওয়া হয়নি। নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনে। মরহুমের ছাত্রী সন্জীদা খাতুনের নেতৃত্বে ছায়ানটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। ছায়ানটের জন্মলগ্ন থেকে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আমৃত্যু জড়িত ছিলেন সোহরাব হোসেন। এরপর মরদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় এখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করা হয়।
রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের পক্ষে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারীর পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ফুল দেন তাঁর একান্ত সচিব। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, বাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। অন্যান্য সংস্থা, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, শিল্পকলা একাডেমী, নজরুল ইনস্টিটিউট, ছায়ানট, বাংলাদেশ টেলিভিশন, জাতীয় প্রেসক্লাব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, নজরুলসংগীত শিল্পী সংস্থা, নজরুলসংগীত শিল্পী পরিষদ, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা, সুরের ধারা, সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, গণসংগীত শিল্পী সংস্থা, কণ্ঠশীলন, যুবলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন।
ব্যক্তিগতভাবেও এসেছিলেন অনেকে। শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি বিশিষ্টজনেরা শিল্পীর অবদান নিয়ে সংক্ষিপ্ত মন্তব্য ও আলোচনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সংগীতশিল্পী ও শিক্ষক হিসেবে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দীর্ঘদিনের বন্ধু সংগীতজ্ঞ সুধীন দাশ প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘আমি বন্ধু হারালাম, শিল্পীরা হারিয়েছে অভিভাবক। অসাধারণ ছিল তাঁর গায়কী। তাঁর মতো মানুষ পাওয়া দুর্লভ।’ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী বলেন, ‘বহু বিখ্যাত শিল্পী তৈরি করে গেছেন তিনি। সংগীতগুরু হিসেবে তাঁর তুলনা হয় না। প্রগাঢ় দেশপ্রেম ছিল তাঁর।’ রামেন্দু মজুমদার স্মরণ করলেন শুদ্ধ সংগীতচর্চায় সোহরাব হোসেনের আজীবন দায়িত্বশীলতার কথা। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর উল্লেখ করলেন বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগের কথা। সারওয়ার আলী তুলে ধরেন গানের বাণীর মর্ম উপলব্ধি করে তাঁর পরিবেশনার বিশেষ দিকটি। গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে খায়রুল আনাম শাকিল বললেন, ‘তাঁর কাছে শুধু গানই শিখিনি; আয়োজন অনুসারে গান বাছাই করা, পরিবেশন করা, মঞ্চে উপস্থিতি, মাইক্রোফোন ব্যবহার—এসব খুঁটিনাটি বিষয়ও অনেক যত্নে তিনি আমাদের শিখিয়েছেন। এমন শিক্ষক পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়।’
রথীন্দ্রনাথ রায়, খালিদ হোসেন, শাহীন সামাদ, ফকির আলমগীর, ইন্দ্রমোহন রাজবংশীসহ আরও অনেক শিল্পী এসেছিলেন প্রয়াত শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।
শহীদ মিনার থেকে দুপুর ১২টায় মরদেহ নেওয়া হয় মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের বাসার পাশের মসজিদে। বাদ জুমা সেখানে জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর অন্তিম শয়ানের জন্য শিল্পীকে নেওয়া হয় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে। বেলা তিনটায় তাঁকে শায়িত করা হয় মাটির ঘরে, যেখানে তাঁর পাশেই ঘুমিয়ে আছেন দেশের সংগীতজগতের আরেক নক্ষত্র কলিম শরাফী। বাংলা গানের দুই দিকপাল রবীন্দ্র-নজরুলের দুই নক্ষত্রপ্রতিম শিল্পী রইলেন চিরপ্রতিবেশী হয়ে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরের উত্তর-পূর্ব কোণে গগন শিরীষগাছের তলায় কালো ব্যানার টানানো মঞ্চে শুয়ে ছিলেন কিংবদন্তিপ্রতিম এই নজরুলসংগীতশিল্পী। নির্মিলিত চোখ, যেন তলিয়ে আছেন গভীর ঘুমে। পায়ে পায়ে এগিয়ে এসে একে একে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানালেন বন্ধু, সহকর্মী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিজীবী, কর্মকর্তা, ছাত্রছাত্রীসহ সর্বস্তরের গুণগ্রাহীরা। কেউ ফুলের মালা, কেউ বা স্তবক নামিয়ে রাখছিলেন নশ্বর দেহটির পাশে। তাঁর বিয়োগবেদনায় অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি অনেকে। শিল্পীর অবদানের কথা বলতে গিয়ে বাষ্পরুদ্ধ হয়েছে কণ্ঠ।
গতকাল বেলা ১১টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শিল্পী ও সংগীতগুরু সোহরাব হোসেনের মরদেহ নেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে। ৯০ বছর বয়সে গত বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ওই দিন হাসপাতালের হিমঘরেই মরদেহ রাখা হয়েছিল।
সোহরাব হোসেনের জ্যেষ্ঠ জামাতা নজরুল ইসলাম জানান, সকাল সাতটায় হাসপাতালের হিমঘর থেকে মরদেহ প্রথমে নেওয়া হয় মিরপুরে আল-মারকাজুল ইসলাম নামের একটি প্রতিষ্ঠানে। সেখানে শেষ গোসল ও কাফন পরানোর পর মরদেহ মোহাম্মদপুরের বাড়িতে নেওয়া হয় সকাল নয়টায়। বাড়িতে আত্মীয়স্বজন তাঁকে শেষ দেখা দেখেন। এ সময় শোকে মুহ্যমান শিল্পীর স্ত্রী সুরাতুন্নেছা ও বড় মেয়ে রওশন আরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সুরাতুন্নেছার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে বাংলাদেশ মেডিকেলের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়।
শিল্পীর মরদেহ বাড়ি থেকে নজরুল ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও সময়ের স্বল্পতায় সেখানে নেওয়া হয়নি। নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবনে। মরহুমের ছাত্রী সন্জীদা খাতুনের নেতৃত্বে ছায়ানটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। ছায়ানটের জন্মলগ্ন থেকে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আমৃত্যু জড়িত ছিলেন সোহরাব হোসেন। এরপর মরদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় এখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করা হয়।
রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের পক্ষে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারীর পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ফুল দেন তাঁর একান্ত সচিব। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, বাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। অন্যান্য সংস্থা, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, শিল্পকলা একাডেমী, নজরুল ইনস্টিটিউট, ছায়ানট, বাংলাদেশ টেলিভিশন, জাতীয় প্রেসক্লাব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, নজরুলসংগীত শিল্পী সংস্থা, নজরুলসংগীত শিল্পী পরিষদ, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা, সুরের ধারা, সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, গণসংগীত শিল্পী সংস্থা, কণ্ঠশীলন, যুবলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন।
ব্যক্তিগতভাবেও এসেছিলেন অনেকে। শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি বিশিষ্টজনেরা শিল্পীর অবদান নিয়ে সংক্ষিপ্ত মন্তব্য ও আলোচনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সংগীতশিল্পী ও শিক্ষক হিসেবে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দীর্ঘদিনের বন্ধু সংগীতজ্ঞ সুধীন দাশ প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘আমি বন্ধু হারালাম, শিল্পীরা হারিয়েছে অভিভাবক। অসাধারণ ছিল তাঁর গায়কী। তাঁর মতো মানুষ পাওয়া দুর্লভ।’ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী বলেন, ‘বহু বিখ্যাত শিল্পী তৈরি করে গেছেন তিনি। সংগীতগুরু হিসেবে তাঁর তুলনা হয় না। প্রগাঢ় দেশপ্রেম ছিল তাঁর।’ রামেন্দু মজুমদার স্মরণ করলেন শুদ্ধ সংগীতচর্চায় সোহরাব হোসেনের আজীবন দায়িত্বশীলতার কথা। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর উল্লেখ করলেন বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগের কথা। সারওয়ার আলী তুলে ধরেন গানের বাণীর মর্ম উপলব্ধি করে তাঁর পরিবেশনার বিশেষ দিকটি। গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে খায়রুল আনাম শাকিল বললেন, ‘তাঁর কাছে শুধু গানই শিখিনি; আয়োজন অনুসারে গান বাছাই করা, পরিবেশন করা, মঞ্চে উপস্থিতি, মাইক্রোফোন ব্যবহার—এসব খুঁটিনাটি বিষয়ও অনেক যত্নে তিনি আমাদের শিখিয়েছেন। এমন শিক্ষক পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়।’
রথীন্দ্রনাথ রায়, খালিদ হোসেন, শাহীন সামাদ, ফকির আলমগীর, ইন্দ্রমোহন রাজবংশীসহ আরও অনেক শিল্পী এসেছিলেন প্রয়াত শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।
শহীদ মিনার থেকে দুপুর ১২টায় মরদেহ নেওয়া হয় মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের বাসার পাশের মসজিদে। বাদ জুমা সেখানে জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর অন্তিম শয়ানের জন্য শিল্পীকে নেওয়া হয় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে। বেলা তিনটায় তাঁকে শায়িত করা হয় মাটির ঘরে, যেখানে তাঁর পাশেই ঘুমিয়ে আছেন দেশের সংগীতজগতের আরেক নক্ষত্র কলিম শরাফী। বাংলা গানের দুই দিকপাল রবীন্দ্র-নজরুলের দুই নক্ষত্রপ্রতিম শিল্পী রইলেন চিরপ্রতিবেশী হয়ে।
No comments