কর্মজীবী মায়ের ডায়েটিং
বাচ্চার বয়স ছ’মাস পেরিয়েছে। এই কয়েকটা মাস আপনার ওপর দিয়ে যে কী ঝড় গেছে, তা কেবলমাত্র আপনিই জানেন। ফলে ওজন, স্বাস্থ্য, চেহারা সব কিছুরই এক্কেবারে দফারফা! নিজেকে দেখে প্রায় চিনতেই পারেন না আজকাল। এতদূর অবধি তো মিলে গেল, এবার একটা প্রশ্ন করি।
আপনি নিজের জন্য এখন ঠিক কী কী করেন? কিচ্ছু না। আপনার কি নিজস্ব কোন অস্তিত্ব আছে? বোধ হয় না। পুরো জীবনটাই আবর্তিত হচ্ছে সন্তানকে ঘিরে। এর সঙ্গে আবার যোগ হয়েছে অফিস, কারণ মেটার্নিটি লিভ তো কবেই শেষ হয়ে গেছে। সকালে বাচ্চার জন্য পুষ্টিকর রান্না করছেন কিন্তু নিজের একটা ফল খাওয়ার সময়ও হয় না। অর্থাৎ পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা বুঝছেন কিন্তু নিজের ক্ষেত্রে এই জ্ঞান প্রয়োগ করছেন না। ফলে পুষ্টির অভাবে শরীর যে প্রায় অনাহারেই রয়ে যাচ্ছে সেটা একবারও মনে হচ্ছে না। মানছি ওয়ার্কিং মাদারের জীবনে স্ট্রেট একটা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কিন্তু স্ট্রেসের মোকামেলা করে হেলদি এ্যান্ড ইনটেলিজেন্ট ডায়েট এখনই প্ল্যাটন না করলে আপনার এবং বাচ্চার দু’জনের পক্ষেই তা ক্ষতিকর। সকালে উঠেই একটা কলা খান। আপনার পছন্দের ফলও খেতে পারেন। কিন্তু কলা খাওয়া সহজ এবং অন্যান্য কাজ করতে করতেও খাওয়া যায় বলেই প্রথমে মনে পড়ে যায়। ব্রেকফাস্টে দু’টো এগ হোয়াইটের ওমলেট আর দু’সøাইস ব্রাউন ব্রেড খেতে পারেন। যদি মনে হয় খাবার সময় নেই তাহলে টিফিন বক্সে পুরে নিন। অফিসে গিয়ে খাবেন। সাড়ে দশটা নাগাদ একমুঠো নিচে বাদাম খেতে পারেন। অফিসের ক্যাবিনেটে একটা কৌটায় পিনটস স্টোর করে রাখা শক্ত কিছু নয়। দুপুরে লাঞ্চে অফিসের কাফেটরিয়া থেকে মিক্সড সালাদ বা ভেজিটেবিল স্যান্ডউইচ খান। বাড়ি থেকে খাবার আনতে পারলে তো কোন কথাই নেই। সাড়ে তিনটে নাগাদ অফিস থেকে বেরিয়ে কিনে আনুন দই বা ফ্রুট ইয়োগার্ট। বিকেলের দিকে খান সয়া মিল্ক বা স্কিমড মিল্ক। রাতের খাওয়াটা সাতটা-সাড়ে সাতটার মধ্যে সেরে ফেলাই ভাল। দু’টো রুটি বা পরোটার সঙ্গে আনুষঙ্গিক খেতে পারেন। রাতে শুতে দেরি হলে শোয়ার আগে এক গ্লাস এলাচ দেয়া দুধ খেতে পারেন।
টিপস
যতই ক্লান্ত বা ব্যস্ত থাকুন নিজের ডায়েট রুটিন থেকে নড়বেন না। অন্যকে ভাল রাখার জন্য যে নিজে ভাল থাকাটা খুব জরুরী সেই প্রয়োজনটা বুঝুন।
এক্সারসাইজ রেজিম থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবেন না। অনেকেই বেশি খাওয়া হয়ে গেলে শরীরকে পানিশ করার জন্য বেশি করে ট্রেডমিল বা ওয়েট ট্রেনিং করেন।
পানিশ করার লক্ষ্য নিয়ে না হেঁটে ফিটনেস বাড়াবার জন্য করুন। মোটিভেশন বাড়বে।
রাত জাগবেন না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খেয়ে শুয়ে পড়ুন। স্ট্রেসড শরীরের জন্য বিশ্রাম খুব জরুরী।
যাপিত ডেস্ক
No comments