চোর ধরতে ‘অদৃশ্য’ সুতা!

সবাই গভীর ঘুমে মগ্ন। এ সুযোগে বাড়িতে ঢুকে পড়ল চোর। আর চোরের আনাগোনা টের পেয়েই টুংটাং করে সংকেত বাজতে শুরু করল। সামান্য একটা সুতার মাধ্যমেই যদি কাজটা হয়, তবে কেমন হয়? গবেষকেরা ঠিক এমন তথ্যই দিয়েছেন। তাঁরা এমন এক ধরনের ‘অদৃশ্য’ সুতা আবিষ্কারের দাবি করেছেন, যা বাড়িতে বা কোনো প্রতিষ্ঠানে


অনাহূত ব্যক্তির প্রবেশ ঘটলেই সংকেত দিতে শুরু করবে। শুধু তাই নয়, কোন স্থান দিয়ে অনাহূত ব্যক্তি ঢুকছে, তাও সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেবে এই নতুন ধরনের ‘অ্যান্টি-থেফ্ট’ পদ্ধতি। আবার দাম একেবারেই নাগালের মধ্যে।
জার্মানির বার্লিনের ফ্রানহোফার ইনস্টিটিউট ফর রিলাইঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড মাইক্রোইন্টারগেইশন আই জেড এম নামের একটি প্রতিষ্ঠানের গবেষকেরা অন্য দুটি প্রতিষ্ঠানের গবেষকদের সঙ্গে যৌথভাবে এই সুতা উদ্ভাবন করেন। গবেষকেরা জানান, তাঁদের এই বিশেষ প্রযুক্তি পুরো ভবনের সুরক্ষায় কাজে লাগানো যাবে। আবার এর মাধ্যমে কারও ক্ষতি হওয়ারও সম্ভাবনা নেই। বিদ্যুৎ পরিবাহী এই সুতা দিয়ে ভবনের চার পাশে অদৃশ্য সূক্ষ্ম জাল তৈরি করা হবে। সুতাগুলোর প্রান্তভাগ একটা ক্ষুদ্রযন্ত্রের (মাইক্রোকন্ট্রোলার) সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। সুতাগুলো ছেঁড়া হলে, সঙ্গে সঙ্গেই সেই সংকেত যন্ত্রটিতে পৌঁছে যায়। বেজে ওঠে সংকেত।
আই জেড এম প্রকল্পের ব্যবস্থাপক এরিক সিমন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ভবনের জন্য অভূতপূর্ব ও অদৃশ্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে এই সুতা ব্যবহার করা যাবে।’ যে স্থান দিয়ে অনাহূত ব্যক্তির প্রবেশ ঘটবে, ঠিক সেই জায়গা চিহ্নিত করে দিতে সক্ষম এটি। আর চুরি ঠেকাতে অন্য যেসব পদ্ধতি রয়েছে, সেগুলোর চেয়ে তুলনামূলকভাবে এটার দাম পড়বে অনেক কম। আবার এই সুতার মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ দেওয়া হয়, তা অত্যন্ত দুর্বল। তাই এটা মানুষ বা অন্য প্রাণীর কোনো ক্ষতি করবে না। পিটিআই।

No comments

Powered by Blogger.