২০৩৯ সালের মধ্যে পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ করবে জাপান
ত্রিশের দশকের মধ্যে পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে পুরোপুরি সরে আসার লক্ষ্য স্থির করতে যাচ্ছে জাপান। এ ব্যাপারে খুব শিগগিরই নতুন জ্বালানি নীতি ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিকো নোদার সরকার। ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টি এ ব্যাপারে প্রস্তাব দিয়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম গতকাল বুধবার এ খবর দিয়েছে।
ফুকুশিমা বিপর্যয়ের আগে দেশের মোট চাহিদার অর্ধেকেরও বেশি বিদ্যুৎ পরমাণুভিত্তিক কেন্দ্র থেকে যোগান দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল। সেখান থেকে সরে আসার ক্ষেত্রে বড় ধরনের পদক্ষেপ এটি। ২০১১ সালের মার্চে ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে ফুকুশিমা দাইচি বিদ্যুৎকেন্দ্র ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে বিকিরণ। এতে কেন্দ্রের আশপাশের এলাকার প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী নোদা গত সোমবার জানান, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই তিনি নতুন জ্বালানি নীতির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চান। এ ব্যাপারে তাঁর নিজের দলের প্রস্তাব বিবেচনায় নেবেন তিনি। ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রস্তাব হলো_ 'প্রাকৃতিক সম্পদ-সংক্রান্ত সম্ভাব্য সব নীতি খতিয়ে দেখে ২০৩৯ সালের মধ্যে পরমাণুভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকে শূন্যে নামিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া।' এ ব্যাপারে তিনটি পর্যায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক, যত দ্রুত সম্ভব পরমাণুভিত্তিক বিদ্যুতের উৎপাদন শূন্যে নামিয়ে আনা। দুই, ২০৩০ সালের মধ্যে ১৫ শতাংশ কমানো এবং তিন, এই একই সময়ের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ শতাংশে কমিয়ে আনা।
নতুন জ্বালানি নীতি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না, তা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে মত দানা বাঁধতে পারে। ধারণা করা হয়, আগামী সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল হয়তো ভালো করবে না। সে ক্ষেত্রে নতুন সরকার এ নীতি বহাল রাখবে কি না, তারও নিশ্চয়তা নেই। এ নিয়ে ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যেও রয়েছে মতবিরোধ।
সূত্র : রয়টার্স।
প্রধানমন্ত্রী নোদা গত সোমবার জানান, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই তিনি নতুন জ্বালানি নীতির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চান। এ ব্যাপারে তাঁর নিজের দলের প্রস্তাব বিবেচনায় নেবেন তিনি। ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রস্তাব হলো_ 'প্রাকৃতিক সম্পদ-সংক্রান্ত সম্ভাব্য সব নীতি খতিয়ে দেখে ২০৩৯ সালের মধ্যে পরমাণুভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকে শূন্যে নামিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া।' এ ব্যাপারে তিনটি পর্যায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক, যত দ্রুত সম্ভব পরমাণুভিত্তিক বিদ্যুতের উৎপাদন শূন্যে নামিয়ে আনা। দুই, ২০৩০ সালের মধ্যে ১৫ শতাংশ কমানো এবং তিন, এই একই সময়ের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ শতাংশে কমিয়ে আনা।
নতুন জ্বালানি নীতি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না, তা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে মত দানা বাঁধতে পারে। ধারণা করা হয়, আগামী সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল হয়তো ভালো করবে না। সে ক্ষেত্রে নতুন সরকার এ নীতি বহাল রাখবে কি না, তারও নিশ্চয়তা নেই। এ নিয়ে ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যেও রয়েছে মতবিরোধ।
সূত্র : রয়টার্স।
No comments