সোনা চোরাচালান
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যেন চোরাকারবারীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট দেখে মনে হয়, অপ্রতিরোধ্য চোরাকারবারীদের কৌশলী তৎপরতার মোকাবেলায় কর্তৃপক্ষীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা খুবই অপ্রতুল ও অনেকটা অকার্যকর।
বিগত দিনে পত্রিকার রিপোর্টে অনেক চাঞ্চল্যকর সোনা চোরাচালানের খবর প্রকাশিত হয়েছে। সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর দৈনিক জনকণ্ঠসহ অন্যান্য দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, শাহজালাল বিমানবন্দরের একটি টয়লেট থেকে চোরাচালানের ১৩.৬ কেজি স্বর্ণের বার ও বিস্কুট উদ্ধার করা হয়েছে।
নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘেরা একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে চোরাচালানকৃত স্বর্ণ পারাপার হয়ে যায়, যার সবগুলো ধরাও পড়ে না। যে সব ঘটনা ধরা পড়ে, তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে দেখা যায়, এসব চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত মূল হোতারা সব সময়েই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। যারা ধরা পড়ে তারা মূলতই বাহক বা চোরাচালান চক্রের সাধারণ সদস্য। এ কাজের সঙ্গে বিমানবন্দরের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশও রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদের সম্মিলিত কারসাজিতে বিমানবন্দর দিয়ে চোরাচালান কার্যক্রম চলছে। ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ তারিখে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সচিত্র প্রতিবেদনে দেখা যায় কেবিন ক্রু গেট দিয়ে কিভাবে চোরাকারবারীরা লাগেজ নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ওই ছবিতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার দৈন্যই সবার সামনে ভেসে ওঠে। ১০ মে প্রকাশিত একটি খবরে ‘কাস্টম কর্মকর্তার পেটে সাড়ে ৬ কেজি সোনা’ শীর্ষক ঘটনাটি এমন বহু ঘটনার একটি।
চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে যে ধরনের জোরদার ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন, ‘সর্ষের মধ্যে ভূত’-এর কারণেই তা সম্ভব হচ্ছে না বলে মনে হয়। কর্মকর্তাদের তৎপরতার ফলে মাঝে মাঝে দুয়েকটি চালান ধরা পড়লেও, ঘটনার ব্যাপকতার তুলনায় তা সামান্যই। তাছাড়া চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর আইনী ব্যবস্থা না নেয়ার ফলে কিংবা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার ফলে চোরাকারবারীরা প্রকারান্তরে অনেক ক্ষেত্রেই নিরাপদে থেকে তাদের কাজ চালিয়ে যায়। জানা গেছে, ৪৫ হাজার চোরাচালান মামলা ঝুলে আছে বলে ১০ মে, ২০১০ তারিখে প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিকের রিপোর্ট থেকে জানা যায়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতি আর দুর্নীতি-সংশ্লিষ্টতার কারণে মামলার ক্ষেত্রে এই অচলাবস্থা বলে জানা যায়।
বিমানবন্দরে চলতে থাকা চোরাচালানের এই অবৈধ কর্মযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। স্বর্ণের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য, বিদেশী মুদ্রাও বিদেশ থেকে আসে এই রুটে। সরকারকে এই অবৈধ কর্মকা-ের বিরুদ্ধে সুসমন্বিত, কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে এবং শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে বিমানবন্দরে সৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ করা হলে চোরাচালানের এই ভয়াবহ পরিবেশ থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হতে পারে।
নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘেরা একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে চোরাচালানকৃত স্বর্ণ পারাপার হয়ে যায়, যার সবগুলো ধরাও পড়ে না। যে সব ঘটনা ধরা পড়ে, তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে দেখা যায়, এসব চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত মূল হোতারা সব সময়েই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। যারা ধরা পড়ে তারা মূলতই বাহক বা চোরাচালান চক্রের সাধারণ সদস্য। এ কাজের সঙ্গে বিমানবন্দরের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশও রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদের সম্মিলিত কারসাজিতে বিমানবন্দর দিয়ে চোরাচালান কার্যক্রম চলছে। ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ তারিখে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সচিত্র প্রতিবেদনে দেখা যায় কেবিন ক্রু গেট দিয়ে কিভাবে চোরাকারবারীরা লাগেজ নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ওই ছবিতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার দৈন্যই সবার সামনে ভেসে ওঠে। ১০ মে প্রকাশিত একটি খবরে ‘কাস্টম কর্মকর্তার পেটে সাড়ে ৬ কেজি সোনা’ শীর্ষক ঘটনাটি এমন বহু ঘটনার একটি।
চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে যে ধরনের জোরদার ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন, ‘সর্ষের মধ্যে ভূত’-এর কারণেই তা সম্ভব হচ্ছে না বলে মনে হয়। কর্মকর্তাদের তৎপরতার ফলে মাঝে মাঝে দুয়েকটি চালান ধরা পড়লেও, ঘটনার ব্যাপকতার তুলনায় তা সামান্যই। তাছাড়া চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর আইনী ব্যবস্থা না নেয়ার ফলে কিংবা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার ফলে চোরাকারবারীরা প্রকারান্তরে অনেক ক্ষেত্রেই নিরাপদে থেকে তাদের কাজ চালিয়ে যায়। জানা গেছে, ৪৫ হাজার চোরাচালান মামলা ঝুলে আছে বলে ১০ মে, ২০১০ তারিখে প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিকের রিপোর্ট থেকে জানা যায়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতি আর দুর্নীতি-সংশ্লিষ্টতার কারণে মামলার ক্ষেত্রে এই অচলাবস্থা বলে জানা যায়।
বিমানবন্দরে চলতে থাকা চোরাচালানের এই অবৈধ কর্মযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। স্বর্ণের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য, বিদেশী মুদ্রাও বিদেশ থেকে আসে এই রুটে। সরকারকে এই অবৈধ কর্মকা-ের বিরুদ্ধে সুসমন্বিত, কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে এবং শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে বিমানবন্দরে সৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ করা হলে চোরাচালানের এই ভয়াবহ পরিবেশ থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হতে পারে।
No comments