সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত by তৌফিক অপু
ব্যর্থতা মেনে নেয়া সহজ নয়। বিশেষ করে অনেক পরিশ্রমের পরও যদি কাক্সিক্ষত সাফল্য না আসে, হতাশা তো আসবেই। ব্যর্থতা মানে সব কিছু থমকে যাওয়া। কিন্তু মনে রাখবেন এটাই শেষ নয়। ধৈর্য এবং চেষ্টা থাকলে সাফল্য আসতে বাধ্য। ব্যর্থতা সামলানোর বিশেষ কিছু পরামর্শ থাকল এখানে।
ব্যর্থতার পর মন খারাপের জের বেশ কিছুদিন ধরে চলতে পারে। নিজেকে বার বার দোষারোপ করবেন না। যা হয়েছে ভুলে গিয়ে নতুনভাবে সব কিছু শুরু করুন। এই দিনগুলোয় নিজেকে একটু বেশি সময় দিন। দরকার হলে ভিড়ভাট্টা থেকে সরে গিয়ে একা সময় কাটান বা ছেলেবেলার বন্ধুর সঙ্গে ফোনে গল্প করুন। বই পড়া, গান শোনা বা নিজের ব্যক্তিগত কোন শখ নিয়ে সময় কাটালেও মন ভাল রাখবে। তবে মন ভাল না থাকলেও নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া, ঘুম, এক্সারসাইজ, কোনটাই বাদ দেবেন না। মনোসংযোগের জন্য মেডিটেশনও করতে পারেন।
প্রথমেই ব্যর্থতার চুলচেরা হিসেবে বসে না গিয়ে নিজেকে কিছুটা সময় দিন। রাগ, ফ্রাস্ট্রেশন, দুঃখ, হতাশা- যে ধরনের অনুভূতিই মনে আনাগোনা করুক, তা চেপে রাখবেন না। কিছুটা সময় এই অনুভূতির সঙ্গে তোকাবিলা করলে, আস্তে আস্তে মনে জোর ফিরে পাবেন। ঠা-া মাথায় ভাবুন আপনি ঠিক কোথায় ভুল করেছেন। সেই সঙ্গে কী করলে উন্নতি হবে সেই প্লানিংও করে ফেলুন। পুরো ঘটনাটা ডায়েরিতে লিখে ফেলুন। কোন কথাই গোপন রাখবেন না। পুরো ব্যাপারটা লিখে ফেলার পর মন একটু হালকা হবে। তার চেয়েও বড় ব্যাপার হলো, যে বেশ কিছুদিন কেটে যাবার পর ডায়েরি পড়লে পুরো ব্যাপারটা একটু নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পাবেন। কোথায় ভুল হয়েছে, কে দায়ী, কোন কর্মপদ্ধতি মেনে চলায় সমস্যা হয়েছে ইত্যাদি খুঁটিনাটি অনেক স্বচ্ছভাবে বুঝতে পারবেন।
কাজের পরিবেশে ফিরে আসার কিছুদিন পর নিজের ভুলগুলো পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করুন। আপনার টিমের অন্যান্য সদস্য এবং অভিজ্ঞ কর্মচারীদের সঙ্গে মিটিং করেও ব্যাপারটা নিয়ে পর্যালোচনা করতে পারেন। নিজের দোষত্রুটিগুলো স্বীকার করে নিন। আর কোথায় কী ভুল হয়েছে সেটাও ভাল করে বুঝে নিন। খেয়াল রাখবেন মিটিংয়ে যেন একে অপরকে দোষারোপ করা না হয়। পারস্পরিক দোষারোপ করলে টিমের একতা আরও খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পুরনো ব্যর্থতা থেকে যে শিক্ষাটা পেয়েছিলেন, তা ভুলে না গিয়ে ভবিষ্যতে কাজে লাগান। নিজের ব্যক্তিগত ডায়েরিতে জরুরী তথ্যগুলো টুকে রাখুন। নতুন কাজে হাত দেয়ার আগে সেই পয়েন্টগুলো ঝালিয়ে নিন। কাজের প্রত্যেক ধাপেই এই ক্রসচেকিং করলে আপনার আরও সুবিধা হবে।
ছবি : আরিফ আহমেদ
প্রথমেই ব্যর্থতার চুলচেরা হিসেবে বসে না গিয়ে নিজেকে কিছুটা সময় দিন। রাগ, ফ্রাস্ট্রেশন, দুঃখ, হতাশা- যে ধরনের অনুভূতিই মনে আনাগোনা করুক, তা চেপে রাখবেন না। কিছুটা সময় এই অনুভূতির সঙ্গে তোকাবিলা করলে, আস্তে আস্তে মনে জোর ফিরে পাবেন। ঠা-া মাথায় ভাবুন আপনি ঠিক কোথায় ভুল করেছেন। সেই সঙ্গে কী করলে উন্নতি হবে সেই প্লানিংও করে ফেলুন। পুরো ঘটনাটা ডায়েরিতে লিখে ফেলুন। কোন কথাই গোপন রাখবেন না। পুরো ব্যাপারটা লিখে ফেলার পর মন একটু হালকা হবে। তার চেয়েও বড় ব্যাপার হলো, যে বেশ কিছুদিন কেটে যাবার পর ডায়েরি পড়লে পুরো ব্যাপারটা একটু নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পাবেন। কোথায় ভুল হয়েছে, কে দায়ী, কোন কর্মপদ্ধতি মেনে চলায় সমস্যা হয়েছে ইত্যাদি খুঁটিনাটি অনেক স্বচ্ছভাবে বুঝতে পারবেন।
কাজের পরিবেশে ফিরে আসার কিছুদিন পর নিজের ভুলগুলো পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করুন। আপনার টিমের অন্যান্য সদস্য এবং অভিজ্ঞ কর্মচারীদের সঙ্গে মিটিং করেও ব্যাপারটা নিয়ে পর্যালোচনা করতে পারেন। নিজের দোষত্রুটিগুলো স্বীকার করে নিন। আর কোথায় কী ভুল হয়েছে সেটাও ভাল করে বুঝে নিন। খেয়াল রাখবেন মিটিংয়ে যেন একে অপরকে দোষারোপ করা না হয়। পারস্পরিক দোষারোপ করলে টিমের একতা আরও খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পুরনো ব্যর্থতা থেকে যে শিক্ষাটা পেয়েছিলেন, তা ভুলে না গিয়ে ভবিষ্যতে কাজে লাগান। নিজের ব্যক্তিগত ডায়েরিতে জরুরী তথ্যগুলো টুকে রাখুন। নতুন কাজে হাত দেয়ার আগে সেই পয়েন্টগুলো ঝালিয়ে নিন। কাজের প্রত্যেক ধাপেই এই ক্রসচেকিং করলে আপনার আরও সুবিধা হবে।
ছবি : আরিফ আহমেদ
No comments