সংসদে প্রধানমন্ত্রী- ড. কামাল বসন্তের কোকিল-অর্থায়নের সুবিধা না হলে পদ্মায় শুধু গাড়ি চলার সেতু হবে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'পদ্মা সেতুর প্রস্তুতিমূলক কাজ চলছে। আমরা থেমে নেই। পদ্মা সেতু আমরা করবই। তবে অর্থায়নের সুবিধা না হলে রেলকে বাদ দিয়ে শুধু গাড়ি চলাচলের জন্য সেতু করা হবে।' এক প্রশ্নের জবাবে তিনি গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে 'বসন্তের কোকিল' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।
পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে সরকারদলীয় সদস্য জুনায়েদ আহমেদ পলকের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানান, বিশ্বব্যাংক কালক্ষেপণের কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ পিছিয়ে গেলেও প্রস্তুতিমূলক কাজ চলছে। নদী শাসন ও ড্রেজিং কাজ চলছে। শেখ হাসিনা বলেন, 'পদ্মা সেতু নিয়ে আমাদের কাছে দুটো ডিজাইন আছে। একটা হলো ডাবল ডেকার। ভেবেছিলাম নতুন কিছু করব। তাই সেতুর নিচ দিয়ে রেললাইন আর ওপর দিয়ে গাড়ি চলবে। আরেকটা হচ্ছে সড়ক সেতু, শুধু গাড়ি চলবে। এটা হলে খরচ অনেক কমে যাবে। আমি সেতু বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি। যদি অর্থায়নের সুবিধা না হয় তবে নিজস্ব অর্থায়নে রেলকে বাদ দিয়ে শুধু গাড়ি চলাচলের সেতু করব। পদ্মা সেতু আমরা করবই।'
চয়ন ইসলামের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে বিকল্প উৎস হিসেবে মালয়েশিয়ার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের এই সেতুর নির্মাণপ্রক্রিয়াও অব্যাহত আছে। যে প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য, সাশ্রয়ী ও দ্রুত হবে সেটিই গ্রহণ করা হবে।
পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ আবারও নাকচ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নসংক্রান্ত ঋণচুক্তি বাতিল যুক্তিসংগত ও ন্যায়সংগত হয়নি। এতে এ দেশের জনগণের বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু নির্মাণ কিছুটা হলেও পিছিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি বাতিল প্রসঙ্গে বিস্তারিত তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তি বাতিল করলেও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে মূল সেতুর টেন্ডার-প্রক্রিয়ায় তা প্রমাণ হয়নি। নির্মাণ তদারকি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কথিত 'দুর্নীতির সম্ভাব্যতা' বিষয়টি সম্পর্কে দুদক স্বাধীনভাবে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ তদন্ত চলাকালে কেবল মূল সেতু এবং নির্মাণ তদারকি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের টেন্ডার-প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বোর্ড সভায় কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রেসিডেন্ট পদ্মা সেতুতে অর্থায়নসংক্রান্ত ঋণচুক্তি বাতিল করেন।
সরকারদলীয় মহিলা সদস্য ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি অনলাইন মিডিয়া বাংলানিউজে প্রকাশিত ড. কামাল হোসেনের মন্তব্যের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ড. কামাল তাঁর মন্তব্যে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর দেশে-বিদেশে দুর্নীতির যে অভিযোগ ও তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে তা সরকারকে প্রচারমাধ্যমে প্রকাশের আহ্বান জানান, অন্যথায় তিনি নিজে সংবাদমাধ্যমে তা প্রচার করবেন বলে সরকারকে জানান দেন।
সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এর জবাবে কোকোর দুর্নীতির তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করতে ড. কামাল হোসেনের প্রতি আহ্বান জানান। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক ও সংবিধান বিশেষজ্ঞকে 'বসন্তের কোকিল' আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের দেশে কিছু কিছু নেতা আছেন বসন্তের কোকিল। তাঁরা কখন যে কুহু কুহু করেন আর কখন নীরব থাকেন বোঝা মুশকিল। ড. কামাল এখন হঠাৎ এতটা উত্তেজিত ও সোচ্চার হলেন কেন বোঝা উচিত।'
শেখ হাসিনা আরো বলেন, 'ড. কামাল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে বড় উপদেষ্টা ছিলেন। তখন এগুলো বের করতে পারেননি কেন? দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ তো আমাদের সরকারই বের করেছে।' তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, 'আমি বুঝি না, আমাদের দেশের বেসরকারি টেলিভিশন ও পত্রিকাগুলো কেন এসব দুর্নীতির সংবাদ প্রচার করে না। ড. কামালকে ধন্যবাদ জানাই, আহ্বান জানাই তিনি নিজেই এসব প্রচার করুন।'
স্বতন্ত্র সদস্য ফজলুল আজিমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সড়ক, রেল ও নৌ যোগাযোগের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ সংসদে তুলে ধরেন।
পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে সরকারদলীয় সদস্য জুনায়েদ আহমেদ পলকের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানান, বিশ্বব্যাংক কালক্ষেপণের কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ পিছিয়ে গেলেও প্রস্তুতিমূলক কাজ চলছে। নদী শাসন ও ড্রেজিং কাজ চলছে। শেখ হাসিনা বলেন, 'পদ্মা সেতু নিয়ে আমাদের কাছে দুটো ডিজাইন আছে। একটা হলো ডাবল ডেকার। ভেবেছিলাম নতুন কিছু করব। তাই সেতুর নিচ দিয়ে রেললাইন আর ওপর দিয়ে গাড়ি চলবে। আরেকটা হচ্ছে সড়ক সেতু, শুধু গাড়ি চলবে। এটা হলে খরচ অনেক কমে যাবে। আমি সেতু বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি। যদি অর্থায়নের সুবিধা না হয় তবে নিজস্ব অর্থায়নে রেলকে বাদ দিয়ে শুধু গাড়ি চলাচলের সেতু করব। পদ্মা সেতু আমরা করবই।'
চয়ন ইসলামের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে বিকল্প উৎস হিসেবে মালয়েশিয়ার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের এই সেতুর নির্মাণপ্রক্রিয়াও অব্যাহত আছে। যে প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য, সাশ্রয়ী ও দ্রুত হবে সেটিই গ্রহণ করা হবে।
পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ আবারও নাকচ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নসংক্রান্ত ঋণচুক্তি বাতিল যুক্তিসংগত ও ন্যায়সংগত হয়নি। এতে এ দেশের জনগণের বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু নির্মাণ কিছুটা হলেও পিছিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি বাতিল প্রসঙ্গে বিস্তারিত তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তি বাতিল করলেও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে মূল সেতুর টেন্ডার-প্রক্রিয়ায় তা প্রমাণ হয়নি। নির্মাণ তদারকি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কথিত 'দুর্নীতির সম্ভাব্যতা' বিষয়টি সম্পর্কে দুদক স্বাধীনভাবে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ তদন্ত চলাকালে কেবল মূল সেতু এবং নির্মাণ তদারকি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের টেন্ডার-প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বোর্ড সভায় কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রেসিডেন্ট পদ্মা সেতুতে অর্থায়নসংক্রান্ত ঋণচুক্তি বাতিল করেন।
সরকারদলীয় মহিলা সদস্য ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি অনলাইন মিডিয়া বাংলানিউজে প্রকাশিত ড. কামাল হোসেনের মন্তব্যের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ড. কামাল তাঁর মন্তব্যে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর দেশে-বিদেশে দুর্নীতির যে অভিযোগ ও তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে তা সরকারকে প্রচারমাধ্যমে প্রকাশের আহ্বান জানান, অন্যথায় তিনি নিজে সংবাদমাধ্যমে তা প্রচার করবেন বলে সরকারকে জানান দেন।
সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এর জবাবে কোকোর দুর্নীতির তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করতে ড. কামাল হোসেনের প্রতি আহ্বান জানান। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক ও সংবিধান বিশেষজ্ঞকে 'বসন্তের কোকিল' আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের দেশে কিছু কিছু নেতা আছেন বসন্তের কোকিল। তাঁরা কখন যে কুহু কুহু করেন আর কখন নীরব থাকেন বোঝা মুশকিল। ড. কামাল এখন হঠাৎ এতটা উত্তেজিত ও সোচ্চার হলেন কেন বোঝা উচিত।'
শেখ হাসিনা আরো বলেন, 'ড. কামাল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে বড় উপদেষ্টা ছিলেন। তখন এগুলো বের করতে পারেননি কেন? দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ তো আমাদের সরকারই বের করেছে।' তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, 'আমি বুঝি না, আমাদের দেশের বেসরকারি টেলিভিশন ও পত্রিকাগুলো কেন এসব দুর্নীতির সংবাদ প্রচার করে না। ড. কামালকে ধন্যবাদ জানাই, আহ্বান জানাই তিনি নিজেই এসব প্রচার করুন।'
স্বতন্ত্র সদস্য ফজলুল আজিমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সড়ক, রেল ও নৌ যোগাযোগের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ সংসদে তুলে ধরেন।
No comments