মায়াবী সুরের ঝিলিক by জানিতা আহমেদ ঝিলিক
নতুন প্রজন্মকে সুর ও সঙ্গীতে সমৃদ্ধ করতে শিল্পী অন্বেষণের জন্য চ্যানেল আই আয়োজিত সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতার প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন। মায়াবী সুরের ঝিলিকে তিনি মুগ্ধ করেছেন প্রতিযোগিতার দুই বিচারক রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমিনের মতো কিংবদন্তি শিল্পীদের। সেইসাথে জয় করে নিয়েছেন দেশের গানপাগল কোটি শ্রোতার হৃদয়।
২০০৮ সালে চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠের চ্যাম্পিয়নের মুকুট মাথায় নিয়ে উড়ে চলেছেন গানের ভুবনে। দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন সুন্দর বাণী, মায়াবী সুর আর মন ভোলানো গায়কী দিয়ে নতুন প্রজন্মের একজন সুযোগ্য কা-ারী হিসেবে। ভেঙে দেবেন এ দেশের সঙ্গীতাঙ্গনকে বন্দী করে রাখা পাইরেসি, অবাধ অবৈধ ডাউনলোড, মানহীন গানসহ নানা রকম মন্দের দেয়ালগুলোকে। সম্প্রতি লেজার ভিশন থেকে প্রকাশ পেয়েছে ঝিলিকের দ্বিতীয় একক এ্যালবাম। নতুন এ্যালবামসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা হয় তার সাথে। লিখেছেন লিমন আহমেদ
জন্ম রংপুরে নানার বাড়িতে। তবে ঢাকার মোহাম্মদপুরেই বেড়ে উঠেছেন ঝিলিক। সেই তিন বছর বয়স থেকেই সংগীতের সাথে সখ্য তার। তখনই গানের সাথে গলা মিলিয়ে মুগ্ধ করেছিলেন বাবা-মাকে। কন্যার গানপ্রীতি দেখে বাবা এমএ জলিল নিজেই হাতেখড়ি দিলেন গানের। ঝিলিকের ভাষায়, ‘আমার গানের প্রথম গুরু আমার বাবা। তার কাছেই আমার গানে প্রথম তালিম নেয়া শুরু। এরপর বাবার বন্ধু মনীন্দ্রনাথ রায়ের কাছে ক্লাসিক্যালে তালিম নিই। বাবা আর মনীন্দ্র কাকাÑএই দু’জনের কাছে ক্ল্যাসিক ও নজরুল সঙ্গীত ছাড়াও নানা ধরনের গান শিখেছি আমি।’ গানপ্রিয় এই তরুণীর গান নিয়ে স্বপ্নের শেষ নেই। ছোটবেলা থেকেই নিয়মিত অংশ নিতেন বিভিন্ন সংগীত প্রতিযোগিতায়। তবে একজন শিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার প্লাটফর্মটি খুঁজে পাচ্ছিলেন না কিছুতেই। সেই প্লাটফর্মের সুযোগই করে দিল চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ। দু’চোখ ভরা স্বপ্ন আর শিল্পী হওয়ার তীব্র বাসনা নিয়ে ঝিলিক অংশ নিয়েছিলেন প্রথমবারের মতো আয়োজিত চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠে। কে জানত, এই ঝিলিকই সুর আর কণ্ঠের মাধুর্যের ঝিলিক দেখিয়ে বাজিমাত করে দেবেন সবাইকে! নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ঝিলিক অর্জন করে নিলেন চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠের প্রথম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব। ৩০ আগস্ট, ২০০৮ সালের শনিবার রাতে বিচারকদের সামনে শেষবারের মতো গাইতে এসে ঝিলিক গেয়েছিলেন ‘ও কি ও বন্ধু কাজল ভোমরা রে’ গানটি। গান শেষে বিচারকের আসনে বসে থাকা রুনা লায়লার মন্তব্য ছিল, তোমার গান শুনে ভ্রমর যেতে পারে না, আসবেই! এই মন্তব্যের যোগ্য যে ঝিলিক তা বোঝা গেল চ্যাম্পিয়ন হিসেবে তার নামটি ঘোষণা হওয়ার সময়। চূড়ান্ত বিজয়ী হয়ে রংপুরের মেয়ে ঝিলিক প্রমাণ করেছিলেন, গান শুনিয়ে মন হরণের যথেষ্ট যোগ্যতা তার আছে। সেরাকণ্ঠে অংশ নেয়ার সেইদিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ঝিলিক বলেন, সেদিন বাসায় টেলিভিশন দেখছিলাম। হঠাৎ একটি বিজ্ঞাপন দেখলাম- ‘কে হবে সেরাকণ্ঠ ০৮’-এই শিরোনামের। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলোÑএই প্রতিযোগিতার দুই বিচারক ছিলেন দেশের দুই কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লা আর সাবিনা ইয়াসমিন। তারা টেলিভিশনের পর্দায় যখন বলছিলেন, ‘আমরা তৈরি আছি। তোমরা তৈরি তো?’ তখন আমি ঠিক করলাম, এই প্রতিযোগিতায় আমি অংশগ্রহণ করবই করব। এভাবেই আমার চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ ’০৮-এ অংশ নেয়া শুরু হলো। তবে ভাবতে পারিনি সেখানে আমার জন্য এমন বিস্ময়কর সাফল্য অপেক্ষা করছিল। প্রতিযোগিতার শেষ দিনে সেরাকণ্ঠ হিসেবে আমার নামটি যখন ব্রাউনিয়া আপু (ফারজানা ব্রাউনিয়া) ঘোষণা করলেন তখন যেন নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল আমি যেন এক স্বপ্নের মধ্যে আছি। একসময় দেখি বোকার মতো কাঁদছি। তখন আমার দু’চোখ বেয়ে নেমে আসছিল আনন্দাশ্রু।’ সেই অর্জনের পথ পেরিয়ে আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতার বিজয়িনী ঝিলিক ২০০৯ সালে সাউন্ডটেকের ব্যানারে বাজারে ছাড়েন তার প্রথম একক এ্যালবাম ‘আমার কি দোষ’। বিগ বাজেটের সেই এ্যালবাম দিয়ে শ্রোতাদের মনে সংগীতের ঝিলিক জাগিয়েছিলেন তিনি। মোট ১১টি গান দিয়ে সাজানো হয়েছিল ‘আমার কি দোষ’ এ্যালবামটি। বন্ধু আমার কি দোষ, ভাল বাসার মতো, এক চিলতে ভাল বাসা, কবিতায়, একাকী উদাসী প্রাণে, আকাশের পানে, বন্দি করে, তুমি কি বোঝ না, তুমি এলে, ঝর্ণার পানি এবং আমাকে তুমি-শিরোনামের গানগুলোর কথা লিখেছিলেন দেশের খ্যাতনামা গীতিকার কবির বকুল, মারজুক রাসেল, আহমেদ রিজভী, প্রদীপ সাহা, শফিক তুহিন, চানক্য বাড়ৈ, শবনম ও মোহাম্মদ হোসেন জেমী। সুর করেছিলেন সুবীর নন্দী, ইমান সাহা, এস আই টুটুল, শফিক তুহিন, মনোয়ার হোসেন টুটুল ও রাজেশ। এখানেই শেষ নয়, নিজের প্রথম একক এ্যালবাম প্রকাশে ঝিলিক তার সৌভাগ্যের ষোলকলা পূর্ণ করেছিলেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমিনের হাত ধরে এ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করে। সে সময় এ্যালবামটি শ্রোতাদের মাঝে সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়। এরপর পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। মাঝে কয়েকটি প্লে-ব্যাক এবং নাটকের গানে কণ্ঠ দিলেও নতুন একক বের করেননি আর। তবে শ্রোতাদের সাথে দীর্ঘদিনের যে গ্যাপ তৈরি হয়েছিল তা দূর করতে রোজার ঈদ উপলক্ষে গত ১২ আগস্ট থেকে নিজের দ্বিতীয় একক এ্যালবাম নিয়ে শ্রোতাদের সামনে হাজির হয়েছেন ঝিলিক। স্বনামধ্যন্য সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লেজার ভিশনের ব্যানারে বাজারে এসেছে ঝিলিকের দ্বিতীয় সলো এ্যালবাম ‘ঝিলিক’। কথা হলো এই তরুণ তন্বীর সাথে তার নতুন এ্যালবাম নিয়ে। ঝিলিক জানালেন নিজের নামের সঙ্গে মিল রেখেই এ্যালবামটির নাম রেখেছেন তিনি ‘ঝিলিক’। একটি গানের দ্বৈত ভার্সনসহ এতে গান থাকবে ৯টি। ইবরার টিপু, সন্ধি, মাহমুদ সানী ও সাজিদ সরকারের সুর ও সংগীতায়োজনে এ্যালবামের গানগুলো লিখেছেন জুয়েল মোর্শেদ, ফয়সাল রাব্বিকীন, মিথিলা ইবরার ও রবিউল ইসলাম জীবন।
জন্ম রংপুরে নানার বাড়িতে। তবে ঢাকার মোহাম্মদপুরেই বেড়ে উঠেছেন ঝিলিক। সেই তিন বছর বয়স থেকেই সংগীতের সাথে সখ্য তার। তখনই গানের সাথে গলা মিলিয়ে মুগ্ধ করেছিলেন বাবা-মাকে। কন্যার গানপ্রীতি দেখে বাবা এমএ জলিল নিজেই হাতেখড়ি দিলেন গানের। ঝিলিকের ভাষায়, ‘আমার গানের প্রথম গুরু আমার বাবা। তার কাছেই আমার গানে প্রথম তালিম নেয়া শুরু। এরপর বাবার বন্ধু মনীন্দ্রনাথ রায়ের কাছে ক্লাসিক্যালে তালিম নিই। বাবা আর মনীন্দ্র কাকাÑএই দু’জনের কাছে ক্ল্যাসিক ও নজরুল সঙ্গীত ছাড়াও নানা ধরনের গান শিখেছি আমি।’ গানপ্রিয় এই তরুণীর গান নিয়ে স্বপ্নের শেষ নেই। ছোটবেলা থেকেই নিয়মিত অংশ নিতেন বিভিন্ন সংগীত প্রতিযোগিতায়। তবে একজন শিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার প্লাটফর্মটি খুঁজে পাচ্ছিলেন না কিছুতেই। সেই প্লাটফর্মের সুযোগই করে দিল চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ। দু’চোখ ভরা স্বপ্ন আর শিল্পী হওয়ার তীব্র বাসনা নিয়ে ঝিলিক অংশ নিয়েছিলেন প্রথমবারের মতো আয়োজিত চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠে। কে জানত, এই ঝিলিকই সুর আর কণ্ঠের মাধুর্যের ঝিলিক দেখিয়ে বাজিমাত করে দেবেন সবাইকে! নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ঝিলিক অর্জন করে নিলেন চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠের প্রথম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব। ৩০ আগস্ট, ২০০৮ সালের শনিবার রাতে বিচারকদের সামনে শেষবারের মতো গাইতে এসে ঝিলিক গেয়েছিলেন ‘ও কি ও বন্ধু কাজল ভোমরা রে’ গানটি। গান শেষে বিচারকের আসনে বসে থাকা রুনা লায়লার মন্তব্য ছিল, তোমার গান শুনে ভ্রমর যেতে পারে না, আসবেই! এই মন্তব্যের যোগ্য যে ঝিলিক তা বোঝা গেল চ্যাম্পিয়ন হিসেবে তার নামটি ঘোষণা হওয়ার সময়। চূড়ান্ত বিজয়ী হয়ে রংপুরের মেয়ে ঝিলিক প্রমাণ করেছিলেন, গান শুনিয়ে মন হরণের যথেষ্ট যোগ্যতা তার আছে। সেরাকণ্ঠে অংশ নেয়ার সেইদিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ঝিলিক বলেন, সেদিন বাসায় টেলিভিশন দেখছিলাম। হঠাৎ একটি বিজ্ঞাপন দেখলাম- ‘কে হবে সেরাকণ্ঠ ০৮’-এই শিরোনামের। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলোÑএই প্রতিযোগিতার দুই বিচারক ছিলেন দেশের দুই কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লা আর সাবিনা ইয়াসমিন। তারা টেলিভিশনের পর্দায় যখন বলছিলেন, ‘আমরা তৈরি আছি। তোমরা তৈরি তো?’ তখন আমি ঠিক করলাম, এই প্রতিযোগিতায় আমি অংশগ্রহণ করবই করব। এভাবেই আমার চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ ’০৮-এ অংশ নেয়া শুরু হলো। তবে ভাবতে পারিনি সেখানে আমার জন্য এমন বিস্ময়কর সাফল্য অপেক্ষা করছিল। প্রতিযোগিতার শেষ দিনে সেরাকণ্ঠ হিসেবে আমার নামটি যখন ব্রাউনিয়া আপু (ফারজানা ব্রাউনিয়া) ঘোষণা করলেন তখন যেন নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল আমি যেন এক স্বপ্নের মধ্যে আছি। একসময় দেখি বোকার মতো কাঁদছি। তখন আমার দু’চোখ বেয়ে নেমে আসছিল আনন্দাশ্রু।’ সেই অর্জনের পথ পেরিয়ে আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতার বিজয়িনী ঝিলিক ২০০৯ সালে সাউন্ডটেকের ব্যানারে বাজারে ছাড়েন তার প্রথম একক এ্যালবাম ‘আমার কি দোষ’। বিগ বাজেটের সেই এ্যালবাম দিয়ে শ্রোতাদের মনে সংগীতের ঝিলিক জাগিয়েছিলেন তিনি। মোট ১১টি গান দিয়ে সাজানো হয়েছিল ‘আমার কি দোষ’ এ্যালবামটি। বন্ধু আমার কি দোষ, ভাল বাসার মতো, এক চিলতে ভাল বাসা, কবিতায়, একাকী উদাসী প্রাণে, আকাশের পানে, বন্দি করে, তুমি কি বোঝ না, তুমি এলে, ঝর্ণার পানি এবং আমাকে তুমি-শিরোনামের গানগুলোর কথা লিখেছিলেন দেশের খ্যাতনামা গীতিকার কবির বকুল, মারজুক রাসেল, আহমেদ রিজভী, প্রদীপ সাহা, শফিক তুহিন, চানক্য বাড়ৈ, শবনম ও মোহাম্মদ হোসেন জেমী। সুর করেছিলেন সুবীর নন্দী, ইমান সাহা, এস আই টুটুল, শফিক তুহিন, মনোয়ার হোসেন টুটুল ও রাজেশ। এখানেই শেষ নয়, নিজের প্রথম একক এ্যালবাম প্রকাশে ঝিলিক তার সৌভাগ্যের ষোলকলা পূর্ণ করেছিলেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমিনের হাত ধরে এ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করে। সে সময় এ্যালবামটি শ্রোতাদের মাঝে সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়। এরপর পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। মাঝে কয়েকটি প্লে-ব্যাক এবং নাটকের গানে কণ্ঠ দিলেও নতুন একক বের করেননি আর। তবে শ্রোতাদের সাথে দীর্ঘদিনের যে গ্যাপ তৈরি হয়েছিল তা দূর করতে রোজার ঈদ উপলক্ষে গত ১২ আগস্ট থেকে নিজের দ্বিতীয় একক এ্যালবাম নিয়ে শ্রোতাদের সামনে হাজির হয়েছেন ঝিলিক। স্বনামধ্যন্য সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লেজার ভিশনের ব্যানারে বাজারে এসেছে ঝিলিকের দ্বিতীয় সলো এ্যালবাম ‘ঝিলিক’। কথা হলো এই তরুণ তন্বীর সাথে তার নতুন এ্যালবাম নিয়ে। ঝিলিক জানালেন নিজের নামের সঙ্গে মিল রেখেই এ্যালবামটির নাম রেখেছেন তিনি ‘ঝিলিক’। একটি গানের দ্বৈত ভার্সনসহ এতে গান থাকবে ৯টি। ইবরার টিপু, সন্ধি, মাহমুদ সানী ও সাজিদ সরকারের সুর ও সংগীতায়োজনে এ্যালবামের গানগুলো লিখেছেন জুয়েল মোর্শেদ, ফয়সাল রাব্বিকীন, মিথিলা ইবরার ও রবিউল ইসলাম জীবন।
No comments