ইমন নিরব- বন্ধুর সঙ্গে বন্ধু by মেহেদী মাসুদ
ইমন ও নিরব—চলচ্চিত্রের এ সময়ের দুজন ব্যস্ত শিল্পী। তাঁরা যে ঘনিষ্ঠ বন্ধু, এ কথা অনেকেরই জানা। এ দুই বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা হবে। আর তা শুনেই দুজন দারুণ খুশি। নিজেরাই দিন চূড়ান্ত করলেন—রোববার সন্ধ্যায়, প্রথম আলো কার্যালয়ে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তাঁরা দুজন এসেছেন একসঙ্গে।
বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুর আড্ডা—দুজনের চোখে-মুখে খুশির ছোঁয়া।
ইমন ও নিরব বড় হয়েছেন আলাদাভাবে। পড়াশোনা করেছেন ভিন্ন ভিন্ন স্কুল ও কলেজে। তাঁদের প্রথম দেখা হয় র্যাম্পে। দুজনের শুরুটাই র্যাম্প মডেলিং দিয়ে। তখন বন্ধুত্ব হয়নি।
ইমন বললেন, ‘আমাদের বন্ধুত্ব হয়েছিল অনেক পরে, সোহাগ কমিউনিটি সেন্টারে। সেখানে আমরা ছিলাম ১৫ দিন। একই রুমে। অন্য রুমে ছিল বিন্দু আর মোনালিসা।’
সোহাগ কমিউনিটি সেন্টারে ১৫ দিন?
নিরব বললেন, ‘ওটা ছিল বাংলালিংকের “দেশ ৩” বিজ্ঞাপনচিত্রের কাজ। গ্রুমিংয়ের জন্য শুটিংয়ের ১৫ দিন আগে আমাদেরকে সেখানে নেওয়া হয়। একসঙ্গে অনেকটা সময়—নিজেদের মধ্যে একটা চমৎকার সম্পর্ক তৈরি হয়। বন্ধুত্ব।’
বন্ধুত্বের শুরুটা এভাবেই বর্ণনা করলেন তাঁরা। এরপর টিভি, চলচ্চিত্র আর বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করতে গিয়ে ধীরে ধীরে একজন আরেকজনের ওপর নির্ভর করতে শুরু করেন। ইমন বললেন, ‘এই মাধ্যমের বাইরে আমাদের বন্ধু আছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে তো কাজ কিংবা এখানকার মানুষজনকে নিয়ে কথা বলা যায় না। উচিতও হবে না। আমি আর নিরব নিজেদের মধ্যে অনেক কিছু আলোচনা করি। সময় পেলে নিজেদের মতো করে কিছুটা সময় কাটাই। আড্ডা দিই।’
নিরব বললেন, ‘যেখানে আমি ঠেকে যাই, ইমন সেখানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।’
ইমন আর নিরব দেশের বাইরে নিজেদের বন্ধুত্বটাকে নাকি বেশি উপভোগ করেন। ইমন বললেন, ‘আমরা দুজন প্রায়ই একসঙ্গে দেশের বাইরে যাই। বিজ্ঞাপনচিত্রের কাজ, ছবির শুটিং, শো থাকে। ইদানীং গিয়েছিলাম ব্যাংককে। সারা রাত আমরা ছিলাম হোটেলের বাইরে। রাস্তায় ঘুরেছি, গল্প করেছি। হোটেলে ফিরেছি ভোরবেলা।’
নিরব বললেন, ‘কোনো আড্ডায় আমরা একসঙ্গে থাকলে সেখানে অন্য কেউ আর কথা বলার সুযোগ পায় না। আমরাই জমিয়ে রাখি।’
তাঁরা একসঙ্গে একমাত্র নাটকে অভিনয় করেছেন। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে চয়নিকা চৌধুরী তৈরি করেছিলেন নাটক এফএম সংবেদ। এই নাটকে ইমন আর নিরবের সঙ্গে ছিলেন জয়া আহসান। এখন দুই বন্ধু একটি ছবিতে কাজ করছেন, নাম এই তো ভালোবাসা। পরিচালক শাহীন কবীর।
সম্প্রতি ইমন আর নিরব মিলে একটি অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান করেছেন। নাম দিয়েছেন পেজ থ্রি কমিউনিকেশন। ঈদের আগে নিরব তাঁর কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে ঢাকার শুক্রবাদে মেট্রো শপিং মলের চতুর্থ তলায় ‘ও হো’ নামের একটা ফ্যাশন হাউস খুলেছেন। ইমন এখন ক্যাফে সিনেমা হল খোলার পরিকল্পনা করছেন। জানালেন, এখানে একই সঙ্গে মানুষ খাবার খাবে এবং সিনেমা উপভোগ করবে। ঢাকার কয়েকটি স্থানে জায়গা খুঁজছেন তিনি। পেয়ে গেলে শিগগিরই শুরু করতে চান।
এবার বিয়ের প্রসঙ্গ। নিরব একটু গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘আমার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখেন।’
কিন্তু নিরবের একটা সম্পর্কের কথা তো অনেকেই জানেন। এগিয়ে এলেন ইমন। বললেন, ‘ওটা নিরবের একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আমি বলব, আমাকে আর কয়েকটা দিন প্রেম করতে দিন।’
সে রকম কেউ আছে নাকি? ইমন হাসলেন। জানালেন, অনেক দিন ধরেই একটি মেয়ের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক। মেয়েটি ছোট পর্দা কিংবা বড় পর্দার কেউ নন। বললেন, ‘আমি এখনই এর বেশি কিছু জানাতে চাই না। তবে এটা নিশ্চিত করে বলছি, আমি তাঁকেই বিয়ে করব।’
নিজেরা অভিনয় করছেন, ছবি দেখেন? এবার দুজনই বেশ সরব। কারণ, তাঁদের দুজনেরই পছন্দ নতুন নতুন সিনেমা দেখা। বলিউড আর হলিউডের তো অবশ্যই। তাঁদের আরেকটি পছন্দ হলো গান শোনা।
ততক্ষণে প্রথম আলো কার্যালয়ে এসেছে শিশুশিল্পী মামুন; সবার কাছে এখন তাঁর আরেকটি পরিচয়—‘ঘেটুপুত্র কমলা’। ইমন আর নিরব এ সপ্তাহেই হুমায়ূন আহমেদের শেষ ছবি ঘেটুপুত্র কমলা দেখার পরিকল্পনা করেছেন। আড্ডা ছেড়ে তাঁরা দুজনই উঠে এলেন মামুনকে শুভেচ্ছা জানাতে। এরপর তাঁরা দুজন গিয়ে দাঁড়ালেন প্রথম আলো কার্যালয়ের দক্ষিণ পাশের চায়ের দোকানগুলো সামনে। সঙ্গে আলোকচিত্রী কবির হোসেন। বন্ধুদের আড্ডা শুরু হলো সেখানে।
ইমন ও নিরব বড় হয়েছেন আলাদাভাবে। পড়াশোনা করেছেন ভিন্ন ভিন্ন স্কুল ও কলেজে। তাঁদের প্রথম দেখা হয় র্যাম্পে। দুজনের শুরুটাই র্যাম্প মডেলিং দিয়ে। তখন বন্ধুত্ব হয়নি।
ইমন বললেন, ‘আমাদের বন্ধুত্ব হয়েছিল অনেক পরে, সোহাগ কমিউনিটি সেন্টারে। সেখানে আমরা ছিলাম ১৫ দিন। একই রুমে। অন্য রুমে ছিল বিন্দু আর মোনালিসা।’
সোহাগ কমিউনিটি সেন্টারে ১৫ দিন?
নিরব বললেন, ‘ওটা ছিল বাংলালিংকের “দেশ ৩” বিজ্ঞাপনচিত্রের কাজ। গ্রুমিংয়ের জন্য শুটিংয়ের ১৫ দিন আগে আমাদেরকে সেখানে নেওয়া হয়। একসঙ্গে অনেকটা সময়—নিজেদের মধ্যে একটা চমৎকার সম্পর্ক তৈরি হয়। বন্ধুত্ব।’
বন্ধুত্বের শুরুটা এভাবেই বর্ণনা করলেন তাঁরা। এরপর টিভি, চলচ্চিত্র আর বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করতে গিয়ে ধীরে ধীরে একজন আরেকজনের ওপর নির্ভর করতে শুরু করেন। ইমন বললেন, ‘এই মাধ্যমের বাইরে আমাদের বন্ধু আছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে তো কাজ কিংবা এখানকার মানুষজনকে নিয়ে কথা বলা যায় না। উচিতও হবে না। আমি আর নিরব নিজেদের মধ্যে অনেক কিছু আলোচনা করি। সময় পেলে নিজেদের মতো করে কিছুটা সময় কাটাই। আড্ডা দিই।’
নিরব বললেন, ‘যেখানে আমি ঠেকে যাই, ইমন সেখানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।’
ইমন আর নিরব দেশের বাইরে নিজেদের বন্ধুত্বটাকে নাকি বেশি উপভোগ করেন। ইমন বললেন, ‘আমরা দুজন প্রায়ই একসঙ্গে দেশের বাইরে যাই। বিজ্ঞাপনচিত্রের কাজ, ছবির শুটিং, শো থাকে। ইদানীং গিয়েছিলাম ব্যাংককে। সারা রাত আমরা ছিলাম হোটেলের বাইরে। রাস্তায় ঘুরেছি, গল্প করেছি। হোটেলে ফিরেছি ভোরবেলা।’
নিরব বললেন, ‘কোনো আড্ডায় আমরা একসঙ্গে থাকলে সেখানে অন্য কেউ আর কথা বলার সুযোগ পায় না। আমরাই জমিয়ে রাখি।’
তাঁরা একসঙ্গে একমাত্র নাটকে অভিনয় করেছেন। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে চয়নিকা চৌধুরী তৈরি করেছিলেন নাটক এফএম সংবেদ। এই নাটকে ইমন আর নিরবের সঙ্গে ছিলেন জয়া আহসান। এখন দুই বন্ধু একটি ছবিতে কাজ করছেন, নাম এই তো ভালোবাসা। পরিচালক শাহীন কবীর।
সম্প্রতি ইমন আর নিরব মিলে একটি অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান করেছেন। নাম দিয়েছেন পেজ থ্রি কমিউনিকেশন। ঈদের আগে নিরব তাঁর কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে ঢাকার শুক্রবাদে মেট্রো শপিং মলের চতুর্থ তলায় ‘ও হো’ নামের একটা ফ্যাশন হাউস খুলেছেন। ইমন এখন ক্যাফে সিনেমা হল খোলার পরিকল্পনা করছেন। জানালেন, এখানে একই সঙ্গে মানুষ খাবার খাবে এবং সিনেমা উপভোগ করবে। ঢাকার কয়েকটি স্থানে জায়গা খুঁজছেন তিনি। পেয়ে গেলে শিগগিরই শুরু করতে চান।
এবার বিয়ের প্রসঙ্গ। নিরব একটু গম্ভীর হয়ে বললেন, ‘আমার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখেন।’
কিন্তু নিরবের একটা সম্পর্কের কথা তো অনেকেই জানেন। এগিয়ে এলেন ইমন। বললেন, ‘ওটা নিরবের একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আমি বলব, আমাকে আর কয়েকটা দিন প্রেম করতে দিন।’
সে রকম কেউ আছে নাকি? ইমন হাসলেন। জানালেন, অনেক দিন ধরেই একটি মেয়ের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক। মেয়েটি ছোট পর্দা কিংবা বড় পর্দার কেউ নন। বললেন, ‘আমি এখনই এর বেশি কিছু জানাতে চাই না। তবে এটা নিশ্চিত করে বলছি, আমি তাঁকেই বিয়ে করব।’
নিজেরা অভিনয় করছেন, ছবি দেখেন? এবার দুজনই বেশ সরব। কারণ, তাঁদের দুজনেরই পছন্দ নতুন নতুন সিনেমা দেখা। বলিউড আর হলিউডের তো অবশ্যই। তাঁদের আরেকটি পছন্দ হলো গান শোনা।
ততক্ষণে প্রথম আলো কার্যালয়ে এসেছে শিশুশিল্পী মামুন; সবার কাছে এখন তাঁর আরেকটি পরিচয়—‘ঘেটুপুত্র কমলা’। ইমন আর নিরব এ সপ্তাহেই হুমায়ূন আহমেদের শেষ ছবি ঘেটুপুত্র কমলা দেখার পরিকল্পনা করেছেন। আড্ডা ছেড়ে তাঁরা দুজনই উঠে এলেন মামুনকে শুভেচ্ছা জানাতে। এরপর তাঁরা দুজন গিয়ে দাঁড়ালেন প্রথম আলো কার্যালয়ের দক্ষিণ পাশের চায়ের দোকানগুলো সামনে। সঙ্গে আলোকচিত্রী কবির হোসেন। বন্ধুদের আড্ডা শুরু হলো সেখানে।
No comments