মঙ্গলে 'তুষারপাত'
মঙ্গল গ্রহে 'তুষারপাতে'র প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মঙ্গল পর্যবেক্ষণরত নাসার একটি উপগ্রহ পৃথিবীতে যে তথ্য পাঠিয়েছে তাতেই এ প্রমাণ স্পষ্ট। তবে 'ড্রাই আইস' নামে পরিচিত এই তুষার পানির তৈরি নয়, কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের তৈরি। গত মঙ্গলবার নাসার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
এই প্রথম সৌরজগতের কোথাও কার্বন ডাই-অক্সাইড তুষারপাতের কথা জানা গেল।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জমে যাওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসই 'ড্রাই আইস'। সাধারণত হিমাঙ্কের নিচের তাপমাত্রায় পানি জমে বরফ হয়। সেখানে হিমাঙ্কের নিচে ১২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস জমে ড্রাই আইস বা শুষ্ক বরফে পরিণত হয়। এই তাপমাত্রার অর্থ, সেখানকার পরিবেশ অকল্পনীয় ঠাণ্ডা। মঙ্গলের অনেক এলাকাই দেখতে পৃথিবীর মতো হলেও কার্বন ডাই-অক্সাইডের তুষারপাতের কারণে বিজ্ঞানীরা এখন মনে করছেন, গ্রহটির পরিবেশ পৃথিবীর পরিবেশ থেকে অনেকটাই আলাদা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তুষারপাত হয়েছে মঙ্গলের দক্ষিণ মেরুকে ঘিরে থাকা শীতকালীন মেঘ থেকে। গ্রহটিতে কার্বন ডাই-অক্সাইড বরফের উপস্থিতি ঋতুভিত্তিক। সময়ের সঙ্গে এর হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক ধরে মঙ্গলের দক্ষিণ মেরুর আইস ক্যাপের হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করে আসছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার প্যাসাডেনায় অবস্থিত নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) বিজ্ঞানী ও প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক পল হায়েন বলেন, 'কার্বন ডাই-অক্সাইডের তুষারের মেঘের প্রথম নিশ্চিত ইঙ্গিত এটি। আমরা স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি, মেঘগুলো মঙ্গলের বাতাসের কার্বন ডাই-অক্সাইডের মেঘ আর এগুলো তুষারপাত ঘটানোর মতো যথেষ্ট ভারী।' সূত্র : নাসা ওয়েবসাইট।
No comments