নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ- রিভিউ প্যানেলের রায়ের অপেক্ষা by মাসুদ মিলাদ
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) অপারেটর নিয়োগের দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগের শুনানির দিকে তাকিয়ে আছে বন্দর ব্যবহারকারী ও টার্মিনাল অপারেটররা। সরকারি সংস্থা—কেন্দ্রীয় ক্রয়সংক্রান্ত কারিগরি ইউনিটের (সিপিটিইউ) গঠন করা একটি রিভিউ প্যানেলে এই অভিযোগের শুনানি চলছে।
দরপত্রে অংশ নেওয়া দুটি প্রতিষ্ঠান অনিয়মের অভিযোগ তুললে এই পদক্ষেপ নেয় সরকারি সংস্থাটি। আলোচিত এই দরপত্র নিয়ে বিবাদের মীমাংসা নির্ভর করছে প্যানেলের রায়ের ওপর।
সিপিটিইউ সূত্রে জানা গেছে, ফিলিপাইনের ইন্টারন্যাশনাল কনটেইনার টার্মিনাল সার্ভিসেস (আইসিটিএস) গত ১৪ আগস্ট ‘সিপিটিইউ’-এর কাছে দরপত্রের শর্ত সংশোধনের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করে। দরপত্রে অংশ নেওয়া এই প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য সাবেক সচিব এম শামসুল হককে চেয়ারম্যান করে রিভিউ প্যানেলটি গঠন করা হয়।
এরপর গত ৩০ আগস্ট দরপত্র নিয়ে অভিযোগ করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক টার্মিনাল অপারেটর প্রতিষ্ঠান ‘দ্য পেনিনসুলার অ্যান্ড ওরিয়েন্ট স্টিম নেভিগেশন কোম্পানি’ (পিঅ্যান্ডও)। এই রিভিউ প্যানেলে ‘পিঅ্যান্ডও’ এর অভিযোগেরও শুনানি চলছে। শুনানি শেষে শিগগিরই রায় দেওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে একই অভিযোগ নিয়ে প্রকল্প পরিচালক, বন্দর চেয়ারম্যান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পায়নি প্রতিষ্ঠান দুটি। এসবের মধ্যে দরপত্রের কারিগরি ও আর্থিক যোগ্যতার অনেকগুলো শর্ত শিথিলের অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়, আইসিটিএসের অভিযোগের ওপর দুই দফা শুনানি হয়েছে। এখন পিঅ্যান্ডও অপারেটরের শুনানি চলছে। গত বুধবার প্রথম দফায় শুনানি শেষে বন্দরকে কয়েকটি অভিযোগের লিখিত জবাব দিতে বলেছে রিভিউ প্যানেল। আজ বৃহস্পতিবার বন্দর কর্তৃপক্ষ লিখিত জবাব দেওয়ার কথা রয়েছে। জানতে চাইলে এনসিটির প্রকল্প পরিচালক ক্যাপ্টেন নাজমুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, রিভিউ প্যানেলে এখনো শুনানি চলছে। তবে দরপত্র জমা নেওয়ার পর এখনো মূল্যায়ন করতে কোনো বাধা নেই। নথিপত্রে দেখা যায়, আড়াই বছর ধরে এই দরপত্রের গুরুত্বপূর্ণ অনেক শর্ত শিথিল ও বিলুপ্ত করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থ মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) কার্যালয়, প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘আইআইএফসি’-এর মতামত আমলে নেওয়া হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়সহ এই তিনটি সংস্থা দরপত্রে স্বচ্ছতা আনতে লিখিতভাবে নানা মতামত দিয়েছে। কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নেওয়ার যোগ্য হবে না—এমন আশঙ্কায় নৌমন্ত্রণালয় এসব মতামত বাস্তবায়ন করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ আগস্ট ৫৮২ কোটি টাকার নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দরপত্র জমা নেওয়া হয়। দরপত্রে অংশ নেয় দেশি-বিদেশি পাঁচটি কোম্পানি। দরপত্রে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনীর অভিযোগ এনে সাবেক মেয়র ও বন্দর উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী সরকারের উচ্চ পর্যায়ে চিঠি লেখালেখি ও নগরে সভা-সমাবেশ করেছেন। অপরদিকে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের পক্ষ নিয়ে মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে স্থানীয় সাংসদ এম এ লতিফও ব্যবহারকারীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘রিভিউ প্যানেলে রায়ের অপেক্ষায় আছি। রায় দেখে আমরা করণীয় নির্ধারণ করব।’
সিপিটিইউ সূত্রে জানা গেছে, ফিলিপাইনের ইন্টারন্যাশনাল কনটেইনার টার্মিনাল সার্ভিসেস (আইসিটিএস) গত ১৪ আগস্ট ‘সিপিটিইউ’-এর কাছে দরপত্রের শর্ত সংশোধনের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করে। দরপত্রে অংশ নেওয়া এই প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য সাবেক সচিব এম শামসুল হককে চেয়ারম্যান করে রিভিউ প্যানেলটি গঠন করা হয়।
এরপর গত ৩০ আগস্ট দরপত্র নিয়ে অভিযোগ করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক টার্মিনাল অপারেটর প্রতিষ্ঠান ‘দ্য পেনিনসুলার অ্যান্ড ওরিয়েন্ট স্টিম নেভিগেশন কোম্পানি’ (পিঅ্যান্ডও)। এই রিভিউ প্যানেলে ‘পিঅ্যান্ডও’ এর অভিযোগেরও শুনানি চলছে। শুনানি শেষে শিগগিরই রায় দেওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে একই অভিযোগ নিয়ে প্রকল্প পরিচালক, বন্দর চেয়ারম্যান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পায়নি প্রতিষ্ঠান দুটি। এসবের মধ্যে দরপত্রের কারিগরি ও আর্থিক যোগ্যতার অনেকগুলো শর্ত শিথিলের অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়, আইসিটিএসের অভিযোগের ওপর দুই দফা শুনানি হয়েছে। এখন পিঅ্যান্ডও অপারেটরের শুনানি চলছে। গত বুধবার প্রথম দফায় শুনানি শেষে বন্দরকে কয়েকটি অভিযোগের লিখিত জবাব দিতে বলেছে রিভিউ প্যানেল। আজ বৃহস্পতিবার বন্দর কর্তৃপক্ষ লিখিত জবাব দেওয়ার কথা রয়েছে। জানতে চাইলে এনসিটির প্রকল্প পরিচালক ক্যাপ্টেন নাজমুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, রিভিউ প্যানেলে এখনো শুনানি চলছে। তবে দরপত্র জমা নেওয়ার পর এখনো মূল্যায়ন করতে কোনো বাধা নেই। নথিপত্রে দেখা যায়, আড়াই বছর ধরে এই দরপত্রের গুরুত্বপূর্ণ অনেক শর্ত শিথিল ও বিলুপ্ত করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থ মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) কার্যালয়, প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘আইআইএফসি’-এর মতামত আমলে নেওয়া হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়সহ এই তিনটি সংস্থা দরপত্রে স্বচ্ছতা আনতে লিখিতভাবে নানা মতামত দিয়েছে। কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নেওয়ার যোগ্য হবে না—এমন আশঙ্কায় নৌমন্ত্রণালয় এসব মতামত বাস্তবায়ন করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ আগস্ট ৫৮২ কোটি টাকার নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দরপত্র জমা নেওয়া হয়। দরপত্রে অংশ নেয় দেশি-বিদেশি পাঁচটি কোম্পানি। দরপত্রে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনীর অভিযোগ এনে সাবেক মেয়র ও বন্দর উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী সরকারের উচ্চ পর্যায়ে চিঠি লেখালেখি ও নগরে সভা-সমাবেশ করেছেন। অপরদিকে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের পক্ষ নিয়ে মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে স্থানীয় সাংসদ এম এ লতিফও ব্যবহারকারীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘রিভিউ প্যানেলে রায়ের অপেক্ষায় আছি। রায় দেখে আমরা করণীয় নির্ধারণ করব।’
No comments