প্রবাসীরা এমআরপি পাবেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে by রোজিনা ইসলাম
বিদেশে অবস্থানরত প্রায় ৮০ লাখ বাংলাদেশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে (আউটসোর্সিং) যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট—এমআরপি) পেতে যাচ্ছেন। প্রথম পর্যায়ে সাত লাখ পাসপোর্ট পাচ্ছেন মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশিরা। আজ বৃহস্পতিবার এর দরপত্র প্রক্রিয়া নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হবে।
স্বরাষ্ট্রসচিব সি কিউ কে মুশতাক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিটি দেশে স্থানীয়ভাবে দরপত্র আহ্বান করে এ কাজে দক্ষ ব্যক্তিদের প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে। প্রথমে মালয়েশিয়ায় ঠিকাদার নিয়োগ করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (আইসিএ) শর্ত অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ সময়ের পরে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট ছাড়া হাতে লেখা পাসপোর্ট গ্রহণ করা হবে না। কিন্তু ২০১৫ সালের মধ্যে এমআরপি পাসপোর্ট দেওয়ার বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে হলে সরকারকে অনেক জনবল ও এমআরপি উপযোগী যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে হবে, যা হবে অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, মিশনগুলো প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে গতিতে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট সরবরাহ করছে, তাতে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সবাইকে এটা দেওয়া সম্ভব হবে না। ইতিমধ্যে মালয়েশিয়ায় এ পদ্ধতি অনুসরণ করে ভারত তাদের নাগরিকদের যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট সরবরাহ করেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, ২০টি মিশনে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট দেওয়ার যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। এসব যন্ত্রের মাধ্যমে ৩ আগস্ট পর্যন্ত সৌদি আরবে দেওয়া হয়েছে ৪১ হাজার ২৯৯টি, ইউএইতে ২৪ হাজার ৩২৫টি, মালয়েশিয়ায় তিন হাজার ৮৪৪টি, ওমানে তিন হাজার ৩৯৫টি, কুয়েতে ১৮ হাজার ৫২৯টি, সিঙ্গাপুরে দুই হাজার ৩৯৫টি এবং বাহরাইনে এক হাজার ৩৮৮টি। এ হারে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট দেওয়া হলে ২০১৫ সালের মধ্যে সব প্রবাসীকে এমআরপি দেওয়া সম্ভব হবে না। এ কারণে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দ্রুত যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, মালয়েশিয়ার দুই লাখ ৬৫ হাজার হাতে লেখা পাসপোর্ট বৈধ করা হয়েছে। যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট পেতে ১০ ডলার করে দিতে হবে প্রবাসীদের।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০১১ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবে প্রায় ২৬ লাখ, আরব আমিরাতে সাড়ে ২০ লাখ, মালয়েশিয়ায় সাত লাখ, ওমানে পাঁচ লাখ ২৫ হাজার, সিঙ্গাপুরে তিন লাখ ৬৪ হাজার, বাহরাইনে দুই লাখ ২৬ হাজার, কাতারে এক লাখ ৮০ হাজার, লিবিয়ায় এক লাখ, লেবাননে ৬৬ হাজার, ইতালিতে ৪০ হাজার, জর্ডানে ৩২ হাজার, ব্রুনাই ২৮ লাখ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৬ হাজার, মরিশাসে ২২ হাজার, মিসরে ১৩ হাজার, যুক্তরাজ্যে ১০ হাজার, সুদানে আট হাজার, ইরাকে তিন হাজার, জাপানে ৭৭০, অন্যান্য দেশে এক লাখ ৫০ হাজারসহ মোট ৮০ লাখ জনশক্তি পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা, ইতালি, ব্রিটেনসহ অন্যান্য দেশে অনেক বাংলাদেশি চাকরি বা নাগরিকত্ব সূত্রে অবস্থান করছেন।
সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (আইসিএ) শর্ত অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ সময়ের পরে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট ছাড়া হাতে লেখা পাসপোর্ট গ্রহণ করা হবে না। কিন্তু ২০১৫ সালের মধ্যে এমআরপি পাসপোর্ট দেওয়ার বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে হলে সরকারকে অনেক জনবল ও এমআরপি উপযোগী যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে হবে, যা হবে অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, মিশনগুলো প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে গতিতে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট সরবরাহ করছে, তাতে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সবাইকে এটা দেওয়া সম্ভব হবে না। ইতিমধ্যে মালয়েশিয়ায় এ পদ্ধতি অনুসরণ করে ভারত তাদের নাগরিকদের যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট সরবরাহ করেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, ২০টি মিশনে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট দেওয়ার যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। এসব যন্ত্রের মাধ্যমে ৩ আগস্ট পর্যন্ত সৌদি আরবে দেওয়া হয়েছে ৪১ হাজার ২৯৯টি, ইউএইতে ২৪ হাজার ৩২৫টি, মালয়েশিয়ায় তিন হাজার ৮৪৪টি, ওমানে তিন হাজার ৩৯৫টি, কুয়েতে ১৮ হাজার ৫২৯টি, সিঙ্গাপুরে দুই হাজার ৩৯৫টি এবং বাহরাইনে এক হাজার ৩৮৮টি। এ হারে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট দেওয়া হলে ২০১৫ সালের মধ্যে সব প্রবাসীকে এমআরপি দেওয়া সম্ভব হবে না। এ কারণে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দ্রুত যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, মালয়েশিয়ার দুই লাখ ৬৫ হাজার হাতে লেখা পাসপোর্ট বৈধ করা হয়েছে। যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট পেতে ১০ ডলার করে দিতে হবে প্রবাসীদের।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০১১ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবে প্রায় ২৬ লাখ, আরব আমিরাতে সাড়ে ২০ লাখ, মালয়েশিয়ায় সাত লাখ, ওমানে পাঁচ লাখ ২৫ হাজার, সিঙ্গাপুরে তিন লাখ ৬৪ হাজার, বাহরাইনে দুই লাখ ২৬ হাজার, কাতারে এক লাখ ৮০ হাজার, লিবিয়ায় এক লাখ, লেবাননে ৬৬ হাজার, ইতালিতে ৪০ হাজার, জর্ডানে ৩২ হাজার, ব্রুনাই ২৮ লাখ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৬ হাজার, মরিশাসে ২২ হাজার, মিসরে ১৩ হাজার, যুক্তরাজ্যে ১০ হাজার, সুদানে আট হাজার, ইরাকে তিন হাজার, জাপানে ৭৭০, অন্যান্য দেশে এক লাখ ৫০ হাজারসহ মোট ৮০ লাখ জনশক্তি পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা, ইতালি, ব্রিটেনসহ অন্যান্য দেশে অনেক বাংলাদেশি চাকরি বা নাগরিকত্ব সূত্রে অবস্থান করছেন।
No comments