সদরঘাট টার্মিনাল- অরাজকতা দ্রুত দূর হোক
সদরঘাট টার্মিনালে ফের অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির দায় কেবল 'আকাশি বাহিনী' হিসেবে পরিচিত কিছুসংখ্যক কুলির ওপর চাপিয়ে দেওয়া চলে না। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বা বিআইডবি্লউটিএর দায়িত্বশীল ব্যক্তিদেরই এ জন্য জবাবদিহি করতে হবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তারা এটা করতে আদৌ ইচ্ছুক কি-না। বিআইডবি্লউটিএ গত বছরের ১ জুলাই থেকে ইজারা প্রথা বাতিল করে। এতে সদরঘাট দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করা হাজার হাজার যাত্রীর সুবিধা হয়। মালপত্র পরিবহনের জন্য তাদের কাছে বলপূর্বক টোল আদায় বন্ধ হয়ে যায়। আমরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। সব মহল থেকে জানানো হয় সাধুবাদ। যাত্রী হয়রানি বন্ধের পাশাপাশি টার্মিনালের বাহ্যিক চেহারায়ও পরিবর্তন আসে। এলাকাটি পরিচ্ছন্ন হয়ে উঠেছিল, টাউট-বাটপাড়ের দাপটও কমে যায়। সেবার মান বাড়ে_ যে কোনো সভ্য দেশে এটাই নিয়ম হওয়া উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সদরঘাটে এর ব্যত্যয় ঘটল। এর কারণ কে অনুসন্ধান করবে? আমরা আশা করেছিলাম, টার্মিনালের ভেতরের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানোর পর কর্তৃপক্ষ সদরঘাটে যাতায়াত পথের অসহনীয় যানজট কমানোর প্রতি মনোযোগ প্রদান করবে। কিন্তু হা-হতোস্মি! নতুন কিছু করবে কী তারা, পুরনো সমস্যাই যে ফিরে এসেছে। মঙ্গলবার সমকালের 'সদরঘাট টার্মিনাল : অরাজকতাই বিধিলিপি!' শিরোনামের খবরে বলা হয়েছে, নৌপরিবহনমন্ত্রী বিষয়টি অবহিত নন। এটা ঠিক যে, তার মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ এবং কর্মপরিসর ব্যাপক। কিন্তু তারপরও প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী যে টার্মিনাল ব্যবহার করে, তার সমস্যা সম্পর্কে অবহিত থাকা এবং যথাযথ সমাধানের জন্য নির্দেশনা প্রদানের বিষয়টিকে উপেক্ষা করার উপায় নেই। 'নতুন সদরঘাট' গড়ে তোলার পথে বিআইডবি্লউটিএ অনেক বাধা-বিঘ্নের সম্মুখীন হয়েছিল এবং তা নিরসনে মন্ত্রণালয়কে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। তাদের ভালো উদ্যোগ নস্যাৎ করতে যে অপচেষ্টা শুরু হয়েছে, সেটা দৃঢ় পদক্ষেপে মোকাবেলা করে ফের যাত্রীস্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হবে_
এটাই প্রত্যাশিত।
এটাই প্রত্যাশিত।
No comments