চলচ্চিত্র শিল্পের দুর্দিন-সুদিন ফেরাতে উদ্যোগ নিতে হবে
সিনেমা দর্শকদের অনেকেরই হয়তো জানা নেই বাংলাদেশের প্রথম প্রেক্ষাগৃহটির নাম। নিউ পিকচার হাউস নামের সেই সিনেমা হলটির নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত শাবিস্তান নামে টিকে থাকলেও বাণিজ্যিক আগ্রাসনের কাছে হার মেনেছে ঐতিহ্য। দেশের প্রথম সিনেমা হল হিসেবে এ প্রেক্ষাগৃহের একটি ঐতিহাসিক মূল্য ছিল।
কিন্তু সেখানে অর্থের কাছে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে ইতিহাস। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় নির্মিত পিকচার হাউসে প্রথম দিকে নির্বাক চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হতো। পরে এটি পরিণত হয় ঢাকাবাসীর বিনোদনের প্রধান কেন্দ্রে। কিন্তু ঐতিহাসিক এ প্রেক্ষাগৃহ সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নিউ পিকচার হাউস থেকে শাবিস্তান হয়েও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারেনি। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকার অনেক সিনেমা হলই বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে আরো শতাধিক সিনেমা হল। মালিকদের যুক্তি, ক্রমাগত লোকসান, চাঁদাবাজি, প্রশাসনের অসহযোগিতা এবং মানসম্মত সিনেমার অভাবে তাঁরা এ ব্যবসা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। পুরান ঢাকার শাবিস্তানের মতো অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংসের মখোমুখি। ভালো নেই বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প। আগে যেখানে বছরে শতাধিক ছবি নির্মিত হতো, এখন সেখানে নির্মিত ছবির সংখ্যা হাতেগোনা।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের দুর্দিন শুরু বিগত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে। এক শ্রেণীর নির্মাতার পোশাকি কিংবা অ্যাকশন ছবির নামে অশ্লীল ছবি নির্মাণের হিড়িক পড়ে যায় তখন। হলমুখী দর্শক হল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। যেখানে একসময় ঈদ উৎসব মাথায় রেখে বছরের একটি বড় সংখ্যক চলচ্চিত্র মুক্তি পাওয়ার রেওয়াজ ছিল, সেখানে প্রযোজকদের বিনিয়োগভীতির কারণে প্রতিবছর মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির সংখ্যা কমছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার তথ্য থেকে দেখা যায়, যেখানে ২০০৫-০৬ অর্থবছরে মুক্তি পেয়েছিল ১০০টি ছবি, সেখানে ২০১১-১২-তে মাত্র ১১টি ছবি মুক্তি পেয়েছে এফডিসি থেকে। প্রতিবছর আনুপাতিক হারে কমেছে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির সংখ্যা।
দর্শকদের অনেকেই অভিযোগ করেন, আমাদের এখানে কাহিনীর পাশাপাশি মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলো কারিগরি দিক থেকেই মানসম্মত নয়। স্বীকার করতে হবে, এখানে অধিকাংশ ছবির কাজ হয় ১৯৬০ সালের যন্ত্রপাতি দিয়ে। আবার যাঁরা কাজ করেন, তাঁদেরও যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে। দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের সুদিন ফিরিয়ে আনতে সরকার-নির্মাতা_সবাইকে ঐকান্তিক ও ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ নিতে হবে।
চলচ্চিত্র আমাদের সংস্কৃতির একটি প্রধান অঙ্গ। দেশ থেকে সুস্থ চলচ্চিত্রের ধারা যাতে হারিয়ে না যায়, তার জন্য এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। চলচ্চিত্র শিল্পের মাধ্যম হচ্ছে প্রেক্ষাগৃহ। দেশের সিনেমা হলগুলো দর্শকদের উপযোগী করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার, নির্মাতা, প্রযোজক-পরিবেশক-প্রদর্শকদের মিলিত উদ্যোগ পারে এ শিল্পকে নতুন জীবন এনে দিতে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মহলের উদ্যোগী ভূমিকাই আমাদের কাম্য।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের দুর্দিন শুরু বিগত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে। এক শ্রেণীর নির্মাতার পোশাকি কিংবা অ্যাকশন ছবির নামে অশ্লীল ছবি নির্মাণের হিড়িক পড়ে যায় তখন। হলমুখী দর্শক হল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। যেখানে একসময় ঈদ উৎসব মাথায় রেখে বছরের একটি বড় সংখ্যক চলচ্চিত্র মুক্তি পাওয়ার রেওয়াজ ছিল, সেখানে প্রযোজকদের বিনিয়োগভীতির কারণে প্রতিবছর মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির সংখ্যা কমছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার তথ্য থেকে দেখা যায়, যেখানে ২০০৫-০৬ অর্থবছরে মুক্তি পেয়েছিল ১০০টি ছবি, সেখানে ২০১১-১২-তে মাত্র ১১টি ছবি মুক্তি পেয়েছে এফডিসি থেকে। প্রতিবছর আনুপাতিক হারে কমেছে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির সংখ্যা।
দর্শকদের অনেকেই অভিযোগ করেন, আমাদের এখানে কাহিনীর পাশাপাশি মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলো কারিগরি দিক থেকেই মানসম্মত নয়। স্বীকার করতে হবে, এখানে অধিকাংশ ছবির কাজ হয় ১৯৬০ সালের যন্ত্রপাতি দিয়ে। আবার যাঁরা কাজ করেন, তাঁদেরও যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে। দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের সুদিন ফিরিয়ে আনতে সরকার-নির্মাতা_সবাইকে ঐকান্তিক ও ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ নিতে হবে।
চলচ্চিত্র আমাদের সংস্কৃতির একটি প্রধান অঙ্গ। দেশ থেকে সুস্থ চলচ্চিত্রের ধারা যাতে হারিয়ে না যায়, তার জন্য এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। চলচ্চিত্র শিল্পের মাধ্যম হচ্ছে প্রেক্ষাগৃহ। দেশের সিনেমা হলগুলো দর্শকদের উপযোগী করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার, নির্মাতা, প্রযোজক-পরিবেশক-প্রদর্শকদের মিলিত উদ্যোগ পারে এ শিল্পকে নতুন জীবন এনে দিতে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মহলের উদ্যোগী ভূমিকাই আমাদের কাম্য।
No comments