জঙ্গী নেতা আটক

জঙ্গীরা এখনও গোপনে তাদের তৎপরতা চালানোর চেষ্টা করছে। সম্প্রতি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে মোঃ ইউনুস নামে এক জঙ্গী নেতাকে গ্রেফতার করেছে। তিনি পাকিস্তানভিত্তিক ইসলামী জঙ্গী সংগঠন জঈশ-ই-মোহাম্মদের অন্যতম সংগঠক বলে জানা গেছে।


তার বিরুদ্ধে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের নিয়ে তৎপরতা চালানোর অভিযোগও রয়েছে। তার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথাও শোনা যায়। পাকিস্তানভিত্তিক কিছু জঙ্গী সংগঠন বাংলাদেশে নানা পর্যায়ে এখনও যে তৎপরতার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে এই গ্রেফতার তার অন্যতম প্রমাণ।
পাকিস্তানভিত্তিক জঈশ-ই-মোহাম্মদের বাংলাদেশের অন্যতম সংগঠককে এমন এক সময় গ্রেফতার করা হলো, যখন সারাদেশে সেই ভয়াল ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার ৭ বছর পূর্তি পালিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) দেশের গুরুত্বপূর্ণ ৪ শতাধিক স্থানে প্রায় সাড়ে ৫শ’ বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। এই সিরিজ বোমা হামলার মাধ্যমে তারা সারাদেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। এই বোমা হামলায় বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারায়। এই ‘প্রতীকী ঘটনার’ মধ্য দিয়ে জেএমবি মূলত দেশব্যাপী মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের জন্য হুমকি সৃষ্টি করে। নানা সময়ে দেখা গেছে কট্টরপন্থী জঙ্গীদের সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধীদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম ধারণ করে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে থাকে।
অভিযোগ রয়েছে, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় স্থাপিত কিছু কওমি মাদ্রাসার সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এসব মাদ্রাসায় এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, বাংলা ভাষা ও বাঙালী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রচার চালায়। একই সঙ্গে নিজস্ব পাঠ্যসূচীর মাধ্যমে কিছু মাদ্রাসায় ছাত্রছাত্রীদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এমন অভিযোগও রয়েছে এরা যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। সরকারের উচিত জঙ্গী সংগঠনসমূহের বিরুদ্ধে আরও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।আইনের শাসন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে এটা প্রয়োজন।

No comments

Powered by Blogger.