সাক্ষাৎকার-বাঙালির বৈপ্লবিক গুণাগুণ বইছে আমার রক্তেও by ড. অনিতা সেনগুপ্ত

সাক্ষাৎকার গ্রহণ : শেখ রোকন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার (ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস এজেন্সি) জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) সিনিয়র সিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ার ড. অনিতা সেনগুপ্তের পৈতৃক শিকড় তৎকালীন পূর্ববঙ্গ, এখনকার বাংলাদেশে।


মঙ্গল গ্রহে সর্বশেষ রোভার 'কিউরিসিটি'র ইডিএল_ এন্ট্রি, ডিসেন্ট অ্যান্ড ল্যান্ডিং টিমে নাসার বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীর যে ছোট্ট দলটি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে অনিতা তার সদস্য। তার দায়িত্ব ছিল মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর রোভারের প্যারাসুটটি কার্যকর করা। ২০০১ সাল থেকেই তিনি নাসার জেপিএলে কাজ করছেন। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী হিসেবে পদোন্নতির আগে তিনি যথাক্রমে লিড সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার, ইডিএল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার, সিনিয়র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, টাস্কা ম্যানেজার ও স্টাফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মাঝে তিন বছর নেতৃত্ব দিয়েছেন শুক্র গ্রহে রোভার এন্ট্রি সিস্টেমে। নাসার আগে ১৯৯৮-২০০১ পর্যন্ত অনিতা বোয়িং স্পেস অ্যান্ড কমিউনিকেশনের যথাক্রমে সায়েন্টিস্ট ও কগনিজেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন।
প্রবাসী বাঙালি শ্যামল সেনগুপ্তের মেয়ে অনিতা ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ২০০৫ সালে মহাকাশ প্রকৌশলে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিষয়ে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০০ সালে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৯৮ সালে বোস্টন ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক হন তিনি। অনিতার জন্ম স্কটল্যান্ডে। তিন বছর বয়সে তার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করে। ইংরেজির বাইরে তিনি স্প্যানিশ ও সীমিত পর্যায়ে হিন্দি জানেন। সমকালের পক্ষে সাক্ষাৎকারটি ই-মেইলে ইংরেজিতে গৃহীত
সমকাল : হ্যালো ড. অনিতা! মঙ্গল মিশনে আপনার টিমের সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ থেকে অভিনন্দন গ্রহণ করুন। অতি গুরুত্বপূর্ণ ও সীমিত এই টিমে একজন বাঙালি বংশোদ্ভূতকে দেখতে পেয়ে আমরা গর্বিত। ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম সারির একটি বাংলা সংবাদপত্রের পক্ষ থেকে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আমরা জানি, এ মুহূর্তে আপনি ডাক, টেলিফোন ও ই-মেইল বার্তায় প্লাবিত। এর মধ্যেও আপনি যদি আমাদের সংবাদপত্রে সাক্ষাৎকার আকারে প্রকাশের জন্য কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দিতে পারেন, তাহলে খুবই খুশি হবো।
অনিতা সেনগুপ্ত :অনেক ধন্যবাদ। আপনারা আমাকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করেছেন দেখে ভালো লাগছে। রোভার কিউরিসিটিকে পরিকল্পনামাফিক মঙ্গলের পৃষ্ঠে অবতরণ করাতে পেরে আমার অবিশ্বাস্যরকম আনন্দ হচ্ছে। বিশেষ করে প্যারাসুটটি তার দায়িত্ব পালন করেছে নিখুঁতভাবে। প্রযুক্তির দিক থেকে এক বিশাল লড়াইয়ে আমাদের টিমের জয় হয়েছে। আর আপনাদের প্রশ্নগুলো নিয়ে আমি স্কাইপি অথবা গুগল হ্যাঙআউটে বসতে পারি।
সমকাল :আমাদের জন্য সুবিধা হয় আপনি যদি ই-মেইলেই এর জবাব দেন। সে ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনার কাছে কিউরিসিটির মঙ্গল মিশন সম্পর্কে জানতে চাইব। প্রতিবেশী গ্রহটির পৃষ্ঠে মহাকাশযানের অবতরণের গুরুত্ব আপনি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন? মানবজাতির জন্য এর সুফল কতখানি?
অনিতা সেনগুপ্ত : কিউরিসিটি হচ্ছে প্রথম রোভার যেটি মঙ্গলপৃষ্ঠে যে কোনো অণু অর্গানিক বা আমরা যে ধরনের প্রাণের অস্তিত্ব দেখে থাকি, তার বিকাশের ধাপগুলো শনাক্ত করতে সক্ষম। আমরা যদি সত্যি সত্যিই জানতে পারি যে, মঙ্গলের পৃষ্ঠে কোনো এক সময় প্রাণের অস্তিত্ব ছিল, তাহলে আমরা এই বার্তা পেতে পারি যে, মহাজগতে আমরা নিঃসঙ্গ নই। এর মধ্য দিয়ে আমরা কেন, কীভাবে পৃথিবীতে এসেছি, আমরা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডকে কীভাবে মূল্যায়ন করব_ এসব প্রশ্নে মৌলিক পরিবর্তন আসবে।
সমকাল :মঙ্গলে এই মিশনে আপনার ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই।
অনিতা সেনগুপ্ত : এই মিশনে আমি দায়িত্ব পালন করেছি এন্ট্রি, ডিসেন্ট অ্যান্ড ল্যান্ডিং সংক্ষেপে ইডিএল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। রোভার কিউরিসিটি অবতরণের সময় প্যারাসুটের সুপারসনিক কার্যকারিতার ব্যাপারে আমি নেতৃত্ব দিয়েছি। একইভাবে নেতৃত্ব দিয়েছি পৃথিবীতে অবস্থিত টার্মিনাল থেকে অবরোহণের সময় এর পেছনভাগের কার্যকারিতা যাচাইয়ের কাজে। আমরা এক নতুন ধরনের ফিজিক্স আবিষ্কার করেছি, যার মাধ্যমে তরল কাঠামোর মাধ্যমে সুপারসনিক গতির সময় রোভারের ধাতবপৃষ্ঠকে অশান্ত মহাজাগতিক প্রবাহ থেকে নমনীয় করে সুরক্ষিত রাখা যায়। একইভাবে মঙ্গলপৃষ্ঠে অবতরণের সময় উদ্ভূত ধূলি থেকে সুপারসনিক জেটটিকে সুরক্ষিত রাখা যায়। আমরা এমন একটি প্যারাসুট তৈরি ও পরীক্ষা করতে পেরেছি, যা মঙ্গলপৃষ্ঠে টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী। সব মিলিয়ে এই ছিল এবারের মঙ্গল মিশনে আমার কর্মতৎপরতার চুম্বক অংশ।
সমকাল :ঠিক কত আগে থেকে আপনি নাসার মতো প্রতিষ্ঠানে কাজ করার স্বপ্ন দেখেছিলেন?
অনিতা সেনগুপ্ত :মহাকাশ অনুসন্ধানের ব্যাপারে আমি ছয় বছর বয়স থেকেই আগ্রহী ছিলাম। পড়াশোনার ধারা হিসেবে আমি মহাকাশ প্রকৌশলকেই বেছে নিয়েছিলাম; কারণ আমি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে, নতুন নতুন বিষয় আবিষ্কার পছন্দ করতাম। আমি সবসময়ই জানতাম আমি কী করতে চাই। ফলে নাসায় আসার রাস্তা খুঁজে পাওয়াটা আমার জন্য খুব কঠিন ব্যাপার ছিল না।
সমকাল :নাসায় যাওয়ার সেই সফর আপনি কীভাবে সম্ভব করে তুললেন আমরা বিস্তারিত জানতে চাই।
অনিতা সেনগুপ্ত :স্কুল পর্যায়েই আমার লক্ষ্য স্থির ছিল এবং মহাকাশ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে আমার দিক থেকে সর্বোচ্চ ভালো করার চেষ্টা চালিয়ে গেছি। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ের পড়াশোনার সময়ও বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি মহাকাশ প্রকৌশলকে বেছে নিয়েছিলাম। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে মহাকাশ বিষয় পড়াশোনার জন্যই কেবল আমি ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে যাই এবং ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যালিফোর্নিয়ায় নভশ্চরণবিজ্ঞান (অ্যাসট্রনটিকস) বিষয়ে ভর্তি হই। ব্যবহারিক অভিজ্ঞতার জন্য পরে তিন বছর আমি মহাকাশ বিষয়ক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নভোযান চালনা ও উপগ্রহ যোগাযোগ নিয়ে কাজ করেছি। এরপর নাসার স্টাফ হিসেবে যোগ দেই এবং জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরিতে আয়ন ইঞ্জিনের বিকাশের ওপর কাজ করি। জেপিএলে কাজ করার সময়ই আমি মহাকাশ প্রকৌশল নিয়ে পিএইচডি পর্যায়ে পড়াশোনা শুরু করি। ডক্টরেট (আয়ন থ্রাস্টার নিয়ে) সম্পন্ন করার পর আমি জেপিএল নিয়েই সম্পূর্ণ মনোযোগ নিবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিই এবং মঙ্গল বিজ্ঞান ল্যাবরেটরিতে ইডিএল সিস্টেম নিয়ে কাজ করতে থাকি। সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সাবসিস্টেম যেটি সেই প্যারাসুট তৈরির বিষয়েই নেতৃত্বের দায়িত্ব বেছে নিই আমি। তারপর ছয় বছর কেটে গেছে এবং মঙ্গলপৃষ্ঠে উল্লেখযোগ্য একটি রোভার অবতরণে সক্ষম হয়েছি। কর্মজীবনের জন্য এ ছিল এক উত্তেজনাপূর্ণ ভ্রমণ।
সমকাল :কর্মজীবনে আপনার পরবর্তী স্বপ্ন কী?
অনিতা সেনগুপ্ত :আমি ইতিমধ্যেই কর্মজীবনের স্বপ্ন ছুঁয়ে ফেলেছি। পরবর্তী স্বপ্ন হতে পারে আমার নিজের মঙ্গলগ্রহে যাওয়া এবং আমাদের তৈরি প্যারাসুট ও কিউরিসিটিকে সচক্ষে দেখা। সেটা হবে সত্যিই বিস্ময়কর!
সমকাল :আপনার সাফল্য নিশ্চয়ই বাংলার আরও তরুণ-তরুণীকে মহাকাশ প্রকৌশলী হতে অনুপ্রাণিত করবে। তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?
অনিতা সেনগুপ্ত : আমি তাদের কঠোর পড়াশোনা করতে বলব। বলব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে যত বেশি সম্ভব গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করতে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইঞ্জিনিয়ারিং (মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, কম্পিউটার সায়েন্স) বিষয়ে পড়াশোনা করেও পরে মহাকাশ প্রকৌশলী হওয়া যায়। তারপর বিভিন্ন মহাকাশ কোম্পানিতে বা রাষ্ট্রীয় মহাকাশ সংস্থায় ইন্টার্নশিপ করার পরামর্শ দেব আমি। বিশেষ করে তরুণীদের বলব আমার পদাঙ্ক অনুসরণ করতে। আমি দিনের পর দিন কী করেছি, তা তারা দেখতে পারে। মহাকাশ বিজ্ঞানে আমাদের আরও নারীর অংশগ্রহণ দরকার। এখানে নারী-পুরুষ বৈচিত্র্য যত বাড়বে, তত ক্রমবর্ধমান বিচিত্র সমস্যার বৈচিত্র্যময় সমাধান আমরা পেতে থাকব। তরুণীদের আমি বলব, আমি যদি পারি, তোমরাও পারবে। খোদ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো দরকার। তরুণীদের বলব ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে বুদ্ধিবৃত্তিক প্রণোদনামূলক পেশা, একটি স্থিতিশীল পেশা, একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। ভবিষ্যতের বৈশ্বিক বাজারের জন্য এটি একটি আকর্ষণীয় পেশা।
সমকাল :আমরা জানি, আপনার পূর্বপুরুষ বাঙালি ছিলেন। তাদের বসবাস ছিল পূর্ব বাংলায় বা এখনকার বাংলাদেশে...
অনিতা সেনগুপ্ত : আমার পিতার দিকের পরিবার ছিল পূর্ববঙ্গের। দেশ বিভাগের আগেই তারা কলকাতায় বসবাস শুরু করেন। আমার পরিবারের কেউ কেউ আজকের বাংলাদেশে থাকতে পারেন; কিন্তু আমি দুর্ভাগ্যবশত তাদের ব্যাপারে কিছু জানি না। যদি খোঁজ পাওয়া যায়, আমি জানতে আগ্রহী।
সমকাল :বাংলাদেশে আপনার পিতৃপুরুষদের অবস্থান কোন জেলায় ছিল? তাদের সম্পর্কে আরেকটু বিস্তারিত বলবেন কি?
অনিতা সেনগুপ্ত :আমি শুধু এতটুকু জানি যে, আমার দাদার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ছিল পূর্ব বাংলায়। দুর্ভাগ্য যে তাদের জনপদ বা শহরের নাম জানি না।
সমকাল : এখনকার বাংলাদেশ সম্পর্কে কতটা জানেন? ভারতে কখনও এসেছিলেন?
অনিতা সেনগুপ্ত : আমার জন্ম আসলে স্কটল্যান্ডে। তিন বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চলে আসি। তারপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রেই। একবার শুধু স্বল্প সময়ের জন্য ভারতে গিয়েছিলাম। বাংলাদেশে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। তবে যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে গিয়েছি, আমি ধারণা করতে পারি যে বাংলাদেশের ভাষা, সংস্কৃতি ও খাবারদাবার কেমন হতে পারে।
সমকাল :বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতি সম্পর্কে আপনি কতটা জানেন?
অনিতা সেনগুপ্ত :আমি খুব বেশি জানি না। কিন্তু আমি জানি বাঙালি সংস্কৃতি হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশের সমৃদ্ধতম ও সুন্দরতম সংস্কৃতিগুলোর একটি। বিশেষ করে সঙ্গীত, কাব্য ও সাহিত্য। আমি এও জানি, বঙ্গীয় ব-দ্বীপ দার্শনিক, তার্কিক ও বিপ্লবীতে পরিপূর্ণ। বাংলা ভাষার মাধ্যমে তারা চিন্তার বৈপ্লবিক পন্থা নির্দেশ করে এসেছে যুগে যুগে। আমার অন্যান্য ভারতীয় বন্ধুরা বলে থাকে যে বাঙালিরা হচ্ছে বিপ্লবের পথনির্দেশক। সেটা তারা প্রশংসা অর্থেই বলে থাকে। যদিও আমার জন্ম বাংলায় হয়নি; আমি দেখতে পাই যে জাতিগত এসব গুণের কিছু কিছু আমার রক্তেও বইছে!
আমি বাংলাকে খুবই ভালোবাসি। বাঙালি নারী হিসেবে আমি গর্ববোধ করি।
সমকাল :আমরা আশা করতে পারি, আপনি একদিন বাংলাদেশ ভ্রমণে আসবেন।
অনিতা সেনগুপ্ত :আমিও তেমনটি আশা করি। আমি আমার শিকড়ের মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী। কেবল সুযোগ ও আমন্ত্রণের অপেক্ষায় আছি।
সমকাল :আমাদের অনুরোধে সাড়া দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
অনিতা সেনগুপ্ত :আপনাদেরও ধন্যবাদ। প্রশ্নোত্তরের সঙ্গে দুটি আলোকচিত্রও পাঠালাম। আপনাদের কাজে লাগতে পারে। আমি যদিও বাংলা পড়তে পারি না; তারপরও সাক্ষাৎকারটি ছাপা হওয়ার পর দেখতে আগ্রহী। আশা করি পাঠাবেন।
 

No comments

Powered by Blogger.