ঈদের পর কী আসছে?- প্রধানমন্ত্রী কী বললেন
প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের দিন সকালে গণভবনের দরজা সর্বস্তরের মানুষের জন্য খোলা ছিল। প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় দাবি করেছেন যে এবার সবাই উত্সাহের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে পেরেছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখা ও কম দামে জিনিসপত্র সরবরাহ নিশ্চিত করার কৃতিত্ব দাবি করে তিনি বলেন,
এগুলো করতে না পারলে তো কেউ ছেড়ে কথা বলত না। এর মাধ্যমে তিনি প্রকারান্তরে গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকাকে স্বীকার করে নিলেন। প্রশাসনের ব্যর্থতা তুলে ধরে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণই দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের কাজ।
পবিত্র রমজান মাসে জিনিসপত্রের দাম মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে ছিল। লোডশেডিংও তেমন ছিল না। ঈদের আগে প্রায় প্রতিবছরই ব্যাংকে তারল্য-সংকট দেখা দেয়, কলমানি রেট বেড়ে যায়। এবার সে রকম দেখা যায়নি। ছিনতাই-ডাকাতিও কম। ঈদে বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেনি। এসবই সত্য। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ঈদের পর সামনের দিনগুলোতে দেশবাসীর জন্য কী অপেক্ষা করছে? রমজান মাসে অবরোধ-ঘেরাও-হরতাল বন্ধ ছিল, এখন সেসব জনদুর্ভোগ আবার শুরু হবে কি না?
প্রধান বিরোধী দলের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতার ব্যাপারে ক্ষমতাসীন দলের নতুন উদ্যোগের কথা এখনো শোনা যায়নি। অথচ দ্রব্যমূল্য বা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার অন্যতম শর্ত হলো রাজনীতিতে সহনশীলতা বজায় রাখা। সে ক্ষেত্রে আশাবাদী হওয়ার মতো কোনো সুসংবাদ পাওয়া যাচ্ছে না। বরং দুই নেত্রীর মধ্যে আস্থার সংকট দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে।
এখন রাজনীতিতে প্রধান আলোচ্য বিষয় হলো নির্বাচন। বিরোধী দল বলছে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল বলছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, সেখানে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে মন্ত্রী থাকতে পারেন। প্রধান বিরোধী দল এতে রাজি নয়। দেশের দুই প্রধান দল আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে দুই বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে।
রমজান মাসে যতটুকু শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিস্থিতি ছিল, তা ধরে রাখতে হলে ক্ষমতাসীন দলকে নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে কোনো না কোনো রূপে আলোচনার কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রথম ও প্রধান পদক্ষেপ হিসেবে দেশবাসীকে এই মর্মে আশ্বস্ত করতে হবে যে, নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের ওপর ক্ষমতাসীন দল সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে চায়। এটা নিশ্চিত করতে হলে আলোচনার বিকল্প নেই।
ঈদের দিন প্রধানমন্ত্রী দেশের পরিস্থিতি নিয়ে যে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন, তা অচিরেই অন্তঃসারশূন্য বলে প্রতিভাত হবে, যদি বিরোধী দলের আস্থা অর্জনে সরকার ব্যর্থ হয়। ঈদের পর এখন দেশবাসীকে যেন হরতালের অস্থিরতায় ঠেলে দেওয়া না হয়, সে ব্যাপারে দেশবাসী সরকারের সক্রিয় উদ্যোগ আশা করে।
পবিত্র রমজান মাসে জিনিসপত্রের দাম মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে ছিল। লোডশেডিংও তেমন ছিল না। ঈদের আগে প্রায় প্রতিবছরই ব্যাংকে তারল্য-সংকট দেখা দেয়, কলমানি রেট বেড়ে যায়। এবার সে রকম দেখা যায়নি। ছিনতাই-ডাকাতিও কম। ঈদে বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেনি। এসবই সত্য। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ঈদের পর সামনের দিনগুলোতে দেশবাসীর জন্য কী অপেক্ষা করছে? রমজান মাসে অবরোধ-ঘেরাও-হরতাল বন্ধ ছিল, এখন সেসব জনদুর্ভোগ আবার শুরু হবে কি না?
প্রধান বিরোধী দলের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতার ব্যাপারে ক্ষমতাসীন দলের নতুন উদ্যোগের কথা এখনো শোনা যায়নি। অথচ দ্রব্যমূল্য বা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার অন্যতম শর্ত হলো রাজনীতিতে সহনশীলতা বজায় রাখা। সে ক্ষেত্রে আশাবাদী হওয়ার মতো কোনো সুসংবাদ পাওয়া যাচ্ছে না। বরং দুই নেত্রীর মধ্যে আস্থার সংকট দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে।
এখন রাজনীতিতে প্রধান আলোচ্য বিষয় হলো নির্বাচন। বিরোধী দল বলছে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল বলছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, সেখানে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে মন্ত্রী থাকতে পারেন। প্রধান বিরোধী দল এতে রাজি নয়। দেশের দুই প্রধান দল আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে দুই বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে।
রমজান মাসে যতটুকু শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিস্থিতি ছিল, তা ধরে রাখতে হলে ক্ষমতাসীন দলকে নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে কোনো না কোনো রূপে আলোচনার কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রথম ও প্রধান পদক্ষেপ হিসেবে দেশবাসীকে এই মর্মে আশ্বস্ত করতে হবে যে, নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের ওপর ক্ষমতাসীন দল সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে চায়। এটা নিশ্চিত করতে হলে আলোচনার বিকল্প নেই।
ঈদের দিন প্রধানমন্ত্রী দেশের পরিস্থিতি নিয়ে যে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন, তা অচিরেই অন্তঃসারশূন্য বলে প্রতিভাত হবে, যদি বিরোধী দলের আস্থা অর্জনে সরকার ব্যর্থ হয়। ঈদের পর এখন দেশবাসীকে যেন হরতালের অস্থিরতায় ঠেলে দেওয়া না হয়, সে ব্যাপারে দেশবাসী সরকারের সক্রিয় উদ্যোগ আশা করে।
No comments