লেবাননে সংঘাত নিহত ১০-'আসাদের ক্ষমতা ত্যাগের উপায় নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত সিরিয়া'
প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরে যাওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে সিরীয় কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত। গতকাল বুধবার রাশিয়া সফররত সিরিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী কাদরি জামিল এ কথা জানিয়েছেন। তবে আসাদের পদত্যাগই আলোচনার একমাত্র পূর্বশর্ত হতে পারে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে লেবাননের উত্তরাঞ্চলে সিরিয়া বিরোধের জের ধরে দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লেবাননের ত্রিপোলি শহরে সুনি্ন ও আলায়িতি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। প্রেসিডেন্ট আসাদ নিজে আলায়িতি গোষ্ঠীভুক্ত। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভরত বিদ্রোহীরা মূলত সুনি্ন সম্প্রদায়ের। সিরিয়ার প্রতিবেশী লেবাননের ত্রিপোলি শহরে এ দুই সম্প্রদায়ের লোকজনেরই বসবাস।
সিরিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী কাদরি জামিল প্রেসিডেন্ট বাশারের সরে যাওয়ার পথ খুঁজতে সিরিয়া আলোচনায় প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের অজুহাত খোঁজার অভিযোগে পশ্চিমা বিশ্বকে অভিযুক্ত করেন। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই ল্যাভরভও একই কথা বলেছেন। মস্কোয় জামিলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'সিরিয়ায় বিদেশিদের সামরিক হস্তক্ষেপ সহ্য করা হবে না'।
যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য বলেছে, জামিলের কথায় নতুন কিছু নেই। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, 'সত্যি বলতে গেলে এসব কথায় নতুন কিছুই পাইনি আমরা।' তিনি বাশারের পদত্যাগই সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ বলে উল্লেখ করেন। এর আগে গত সোমবার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হুঁশিয়ার করে বলেন, সিরিয়া চলমান সংঘাতে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের চেষ্টা করলে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে সামরিক হস্তক্ষেপ করতে পারে। তিনি বলেন, "রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের আলামত পাওয়া গেলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সামরিক হস্তক্ষেপের 'রেডলাইন'।"
এদিকে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি ত্রিপোলিতে চলমান 'অনর্থক লড়াই' বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সিরিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে ত্রিপোলির জনগণের উদ্দেশে বলেন, 'অন্য কারো যুদ্ধের জন্য নিজেদের অস্ত্রে পরিণত করার সুযোগ কাউকে দেবেন না।' গত সোমবার থেকে শহরের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সংঘর্ষে ভারি অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। সরকার অবশ্য শুরু থেকেই সিরিয়া সংকট থেকে নিজেদের দূরে রাখার চেষ্টা করছে। আশঙ্কা রয়েছে, সিরিয়ার সমস্যা লেবাননকেও আবারও গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে। অতীতে গোষ্ঠীগত বিভক্তির কারণেই লেবাননে ১৫ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ হয়।
এদিকে সিরিয়ার বৃহত্তম শহর আলেপ্পোতে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। বিদ্রোহীরা জানায়, গতকাল বুধবারও সেখানে সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় ডজনখানেক লোক নিহত হয়েছে। তাদের দাবি, শহরের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা এখনো তাদের দখলে। তবে এর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, আল-জাজিরা।
সিরিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী কাদরি জামিল প্রেসিডেন্ট বাশারের সরে যাওয়ার পথ খুঁজতে সিরিয়া আলোচনায় প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের অজুহাত খোঁজার অভিযোগে পশ্চিমা বিশ্বকে অভিযুক্ত করেন। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই ল্যাভরভও একই কথা বলেছেন। মস্কোয় জামিলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'সিরিয়ায় বিদেশিদের সামরিক হস্তক্ষেপ সহ্য করা হবে না'।
যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য বলেছে, জামিলের কথায় নতুন কিছু নেই। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, 'সত্যি বলতে গেলে এসব কথায় নতুন কিছুই পাইনি আমরা।' তিনি বাশারের পদত্যাগই সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ বলে উল্লেখ করেন। এর আগে গত সোমবার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হুঁশিয়ার করে বলেন, সিরিয়া চলমান সংঘাতে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের চেষ্টা করলে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে সামরিক হস্তক্ষেপ করতে পারে। তিনি বলেন, "রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের আলামত পাওয়া গেলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সামরিক হস্তক্ষেপের 'রেডলাইন'।"
এদিকে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি ত্রিপোলিতে চলমান 'অনর্থক লড়াই' বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সিরিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে ত্রিপোলির জনগণের উদ্দেশে বলেন, 'অন্য কারো যুদ্ধের জন্য নিজেদের অস্ত্রে পরিণত করার সুযোগ কাউকে দেবেন না।' গত সোমবার থেকে শহরের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সংঘর্ষে ভারি অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। সরকার অবশ্য শুরু থেকেই সিরিয়া সংকট থেকে নিজেদের দূরে রাখার চেষ্টা করছে। আশঙ্কা রয়েছে, সিরিয়ার সমস্যা লেবাননকেও আবারও গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে। অতীতে গোষ্ঠীগত বিভক্তির কারণেই লেবাননে ১৫ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ হয়।
এদিকে সিরিয়ার বৃহত্তম শহর আলেপ্পোতে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। বিদ্রোহীরা জানায়, গতকাল বুধবারও সেখানে সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় ডজনখানেক লোক নিহত হয়েছে। তাদের দাবি, শহরের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা এখনো তাদের দখলে। তবে এর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, আল-জাজিরা।
No comments