ইন্টারনেট স্বাধীনতাকে সম্মান করুন : ভারতকে যুক্তরাষ্ট্র-* ২৪৫টি ওয়েব পেইজ ব্লক করে দিয়েছে দিল্লি -* ব্যাঙ্গালুরু থেকে ফেরা ট্রেনে হামলা, চার মুসলমান নিহত
ইন্টারনেটে অবাধ তথ্যপ্রবাহের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি ২৪৫টি ওয়েব পেইজের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে ভারত সরকার। এরই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র এ আহ্বান জানায়।
সম্প্রতি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এবং মুঠোফোনের ক্ষুদে বার্তায় গুজব ছড়ায় দক্ষিণ ভারতের শহরগুলোতে অবস্থান করা উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসামের মুসলমানদের ওপর হামলা চালানো হবে। এর ফলে দক্ষিণ ভারতের শহরগুলোতে বিভিন্ন চাকরি এবং পড়াশোনার সূত্রে অবস্থানকারী আসামের অধিবাসীরা দলে দলে শহর ত্যাগ করে। এদের বহনকারী একটি বিশেষ ট্রেন ব্যাঙ্গালুরু থেকে গত শনিবার পশ্চিমবঙ্গের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় ৪০-৪৫ জনের একটি দল হামলা চালায়। বিবিসি জানায়, অভিযোগ রয়েছে, ওই ট্রেন থেকে অন্তত চারজন মুসলমানকে মেরে ফেলে দেওয়া হয়। ট্রেনে অবস্থানকারী অন্যদের ওপরও লোহার রড ও চাকু দিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। বিবিসি গত মঙ্গলবার প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানায়। সম্প্রতি আসামের আদিবাসী বোরোদের সঙ্গে মুসলমানদের দফায় দফায় সংঘর্ষে ৭৭ জন নিহত হওয়ার পর ওই এলাকার অধিবাসীদের মধ্যে এমনিতেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই প্রেক্ষাপটে এ ঘটনা ঘটল।
এ ঘটনার জের ধরে বেশ কিছু ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি ইন্টারনেটের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। ভারত অভিযোগ করে, পাকিস্তান ও সৌদি আরব থেকে ইন্টারনেটে এসব উস্কানিমূলক খবর প্রচার করা হচ্ছে। সার্চ ইঞ্জিন গুগল এবং ফেসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোকেও সাবধান করে দেওয়া হয়েছে। তাদের পেইজগুলো থেকে উস্কানিমূলক মন্তব্য-ভিডিও ক্লিপিংস সরিয়ে ফেলার কথাও বলে ভারত সরকার। গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। অন্যথায় সাইটগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দেন টেলিযোগাযোগ সচিব আর চন্দ্রশেখর।
ভারত সরকারের এই পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করে গত মঙ্গলবার নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, 'আমরা জেনেছি উত্তর-পূর্ব ভারতীয়রা দক্ষিণ ভারতীয় শহরগুলো থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত তথ্য অনুযায়ী নিজেদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণেই ঘরে ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা।' সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'যখন ইন্টারনেট স্বাধীনতার বৃহত্তর প্রশ্ন আসবে, তখন এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান সম্পর্কে আপনারা জানেন। আমরা সব সময়ই ইন্টারনেটের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার পক্ষে।' ইন্টারনেটের ওপর ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরোপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এসব ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের তদন্ত অব্যাহত রাখার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আইনের শাসন, মৌলিক স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার বিষয়ে পূর্ব অঙ্গীকারের প্রতি সম্মান দেখাতে তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।'
তবে ইন্টারনেট স্বাধীনতার ব্যাপারে নিজেদের 'উদার' দৃষ্টিভঙ্গি এবং উইকিলিকসের ব্যাপারে তাদের নেতিবাচক অবস্থানসংক্রান্ত বৈপরিত্যের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'উইকিলিকস ইন্টারনেট স্বাধীনতার জন্য কিছুই করেনি। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসে সহায়তা করেছে।' সূত্র : বিবিসি, আল-জাজিরা, জিনিউজ।
এ ঘটনার জের ধরে বেশ কিছু ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি ইন্টারনেটের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। ভারত অভিযোগ করে, পাকিস্তান ও সৌদি আরব থেকে ইন্টারনেটে এসব উস্কানিমূলক খবর প্রচার করা হচ্ছে। সার্চ ইঞ্জিন গুগল এবং ফেসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোকেও সাবধান করে দেওয়া হয়েছে। তাদের পেইজগুলো থেকে উস্কানিমূলক মন্তব্য-ভিডিও ক্লিপিংস সরিয়ে ফেলার কথাও বলে ভারত সরকার। গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। অন্যথায় সাইটগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দেন টেলিযোগাযোগ সচিব আর চন্দ্রশেখর।
ভারত সরকারের এই পদক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করে গত মঙ্গলবার নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, 'আমরা জেনেছি উত্তর-পূর্ব ভারতীয়রা দক্ষিণ ভারতীয় শহরগুলো থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত তথ্য অনুযায়ী নিজেদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণেই ঘরে ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা।' সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'যখন ইন্টারনেট স্বাধীনতার বৃহত্তর প্রশ্ন আসবে, তখন এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান সম্পর্কে আপনারা জানেন। আমরা সব সময়ই ইন্টারনেটের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার পক্ষে।' ইন্টারনেটের ওপর ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরোপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এসব ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের তদন্ত অব্যাহত রাখার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আইনের শাসন, মৌলিক স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার বিষয়ে পূর্ব অঙ্গীকারের প্রতি সম্মান দেখাতে তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।'
তবে ইন্টারনেট স্বাধীনতার ব্যাপারে নিজেদের 'উদার' দৃষ্টিভঙ্গি এবং উইকিলিকসের ব্যাপারে তাদের নেতিবাচক অবস্থানসংক্রান্ত বৈপরিত্যের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'উইকিলিকস ইন্টারনেট স্বাধীনতার জন্য কিছুই করেনি। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসে সহায়তা করেছে।' সূত্র : বিবিসি, আল-জাজিরা, জিনিউজ।
No comments