উইকিলিকস- অবরুদ্ধ জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বক্তৃতা: আমি একা নই by মত প্রকাশের অধিকার
শুনতে কি পাচ্ছেন আপনারা? আজ আমি এখানে। কারণ, আমি আজ আপনাদের সঙ্গে ওখানে থাকতে পারছি না। তবু আপনারা এসেছেন বলে ধন্যবাদ। আপনাদের সংকল্প আর তেজস্বিতাকে অভিবাদন।হুমকির পর হুমকি পাঠানো শেষে গত বুধবার রাতে পুলিশ আচানক এই দূতাবাস ভবনে ঢুকে পড়ে।
(খবর পেয়ে) আপনারা বেরিয়ে পড়েন এবং মধ্যরাতে এখানে জড়ো হয়ে নজরদারি করেন, টেনে আনেন দুনিয়ার নজর।
রাতের অন্ধকারে, দূতাবাসের ভেতরে বসে আমি টের পাচ্ছিলাম, পুলিশ দল বেঁধে পেছনের অগ্নিনিরাপত্তা পথ দিয়ে ভবনে ঢুকছে। তাহলেও আমি জানতাম, মানুষ সব দেখছে। আপনারা ছিলেন বলেই আমি তা ভাবতে পেরেছিলাম। আপনারাই ছিলেন আমার অভয়।
ওই রাতে দুনিয়া তাকিয়ে ছিল বলেই যুক্তরাজ্য সরকার ভিয়েনা কনভেনশন ছুড়ে ফেলতে পারেনি। আর দুনিয়া তাকিয়ে আছে। কারণ, আপনারা তাকিয়ে আছেন।
তাই আবারও অধিকার রক্ষার সংগ্রামকে কেউ নিরর্থক বললে অন্ধকারের মধ্যে ইকুয়েডরের দূতাবাসের সামনে আপনাদের পাহারার কথা তাদের মনে করিয়ে দেবেন। তাদের জানিয়ে দেবেন, কীভাবে সেদিন সকালে সূর্য উদিত হয়েছিল অন্য এক পৃথিবীর ওপর এবং এক সাহসী লাতিন আমেরিকান দেশ ইনসাফের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল।
সেই সব সাহসী মানুষকে ধন্যবাদ। রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন মঞ্জুর করে এবং আশ্রয় দিয়ে যে সাহস দেখিয়েছেন প্রেসিডেন্ট কোরেয়া, সে জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। আমি ইকুয়েডরের সরকারের প্রতি, বিশেষত দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিকার্ডো পাতিনোকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিবেচনা গ্রহণ করে তাঁরা ইকুয়েডরের সংবিধানের সর্বজনীন মানবাধিকারকেই সমুন্নত রেখেছেন। এই সংবিধানকে রক্ষা ও সমর্থনের জন্যও আমি ইকুয়েডরের জনগণকে অভিবাদন জানাই।
এই দূতাবাসের সব কর্মীর কাছে ঋণের কথাও আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। তাঁদের সবারই পরিবার লন্ডনে থাকে। এত হুমকির শিকার হওয়ার পরও তাঁরা আমার প্রতি অঢেল আন্তরিকতা ও উদারতা দেখিয়েছেন।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় গত শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি জরুরি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।
একই সঙ্গে আমি সেই সব দেশের জনগণ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট হয়েছে। বিশেষত বলতে চাই, আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি, কলম্বিয়া, এল সালভাদর, হন্ডুরাস, মেহিকো, নিকারাগুয়া, পেরু এবং ভেনেজুয়েলার সরকার ও জনগণের কথা।
সরকার বিপক্ষে থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইডেন ও অস্ট্রেলিয়ার যেসব মানুষ আমার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের কাছেও আমি ঋণী। সরকারের ভেতরের সেই সব বিচক্ষণ মানুষের প্রতিও আমি প্রণত, তাঁরা এখনো ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি বলছি, আপনাদের দিন আসবেই।
উইকিলিকসের কর্মী, সমর্থক ও তথ্যদাতাদেরও ধন্যবাদ। তাঁদের সাহস, দায়বদ্ধতা ও বিশ্বস্ততার কোনো তুলনা হয় না।
পরিবার ও সন্তানদের থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে বাধ্য হওয়া এক পিতা আমি। তোমরা আমাকে ক্ষমা কোরো, সোনামানিক। শিগগিরই আমি তোমাদের সঙ্গে মিলব।
হুমকির মুখেও উইকিলিকস দাঁড়িয়ে আছে। টিকে আছে মত প্রকাশের অধিকার এবং আমাদের সামাজিক সবলতা। এই মুহূর্তটিকে আমরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বোধোদয়ের জন্য কাজে লাগাতে চাই। তারা কি তাদের রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলে প্রোথিত বিপ্লবী মূল্যবোধে ফিরতে পারবে? আরও বিপজ্জনক ও নিপীড়নকারী এক দুনিয়ার দিকে আমাদের সবাইকে টেনে নিয়ে যাওয়া থেকে বিরত হবে কি দেশটি? সেই দুনিয়ায় সাংবাদিকেরা প্রতিহিংসার ভয়ে ভীত এবং নাগরিকেরা কথা বলে অন্ধকারে, ফিসফিস করে।
যুক্তরাষ্ট্রকে পথ বদলাতে হবেই। আমি প্রেসিডেন্ট ওবামার কাছে আহ্বান জানাই, উচিত কাজটি করুন। যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই উইকিলিকসের বিরুদ্ধে ডাইনি নিধনের কায়দায় চালানো তত্পরতা বন্ধ করতে হবে। বন্ধ করতে হবে এফবিআইয়ের কুতদন্ত।
আমাদের কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে রুজু করা মামলা না চালানোর প্রতিজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই করতে হবে। দুনিয়ার সামনে অঙ্গীকার করতে হবে, ক্ষমতাবানদের গোপন অপরাধকর্মের ওপর আলো ফেলার দায়ে তারা আর কোনো সাংবাদিককে তাড়া করে ফিরবে না। উইকিলিকসই হোক বা হোক নিউইয়র্ক টাইমস; কোনো সংবাদ সংস্থাকে শাস্তি দেওয়ার নির্বোধ বাতচিত্ তাদের বন্ধ করতে হবে। গুমর ফাঁসকারীদের (হুইসল ব্লোয়ার্স) বিরুদ্ধে মার্কিন প্রশাসনের যুদ্ধের অবসান হতে হবে।
থমাস ড্রেক, উইলিয়াম বিন্নে, জন কিরকৌসহ অন্য সব বীরোচিত গুমর ফাঁসকারীদের অবশ্যই—অবশ্যই রেয়াত দিতে হবে। জনগণের তথ্য জানার অধিকারের সেবক হওয়ার দায়ে যে দুর্ভোগ তাদের সইতে হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এবং সেই তরুণ মার্কিন সৈনিক, যিনি এখনো সামরিক কারাগারে বন্দী, মাসের পর মাস যিনি টানা নির্যাতিত হয়েছেন বলেজানিয়েছে জাতিসংঘ, দুই বছর বিনা বিচারে বন্দী থাকার পরও এখনো যাঁকে আদালতের সামনে নেওয়া হয়নি; সেই ব্র্যাডলি ম্যানিংকে মুক্তি দিতে হবে।
আমি ব্র্যাডলি ম্যানিংয়ের মুক্তি চাই।
যে অভিযোগে ব্র্যাডলি ম্যানিংকে আটক করা হয়েছে, তা সত্য হলে তো তিনি বিরাট এক বীর। তিনি আমাদের সবার সামনে সত্যের দিশারি হয়ে আছেন। তিনিই এখন দুনিয়ার পয়লা নম্বর রাজবন্দী।
ব্র্যাডলি ম্যানিংয়ের মুক্তি চাই।
গত বুধবার, ব্র্যাডলি ম্যানিংয়ের বিনা বিচারে বন্দিত্বের ৮১৫তম দিন অতিবাহিত হলো। অথচ আইনে ১২০ দিনের বেশি আটক থাকার বিধান নেই।
গত বৃহস্পতিবার, টুইটারে সামান্য একটা মন্তব্য করার জন্য বাহরাইনের মানবাধিকার কেন্দ্রের সভাপতি আমার বন্ধু নাবিল রজবকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁর অপরাধ, তিনি নাকি রাজনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়েছেন।
নিপীড়কেরা সবখানে ঐক্যবদ্ধ। জবাবে আমাদেরও চাই অটল ঐক্য আর গভীর সংকল্প।
লন্ডনের দি ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকা থেকে নেওয়া
ইংরেজি থেকে অনুবাদ ফারুক ওয়াসিফ
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ: উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা এবং দুনিয়া কাঁপানো মার্কিন গোপন দলিল ফাঁসকারী সাইবার অ্যাক্টিভিজমের নায়ক। ১৯ আগস্ট তিনি লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে দুই মাস আত্মগোপন করে থাকার পর প্রকাশ্যে হাজির হয়ে এই বক্তৃতা করেন।
রাতের অন্ধকারে, দূতাবাসের ভেতরে বসে আমি টের পাচ্ছিলাম, পুলিশ দল বেঁধে পেছনের অগ্নিনিরাপত্তা পথ দিয়ে ভবনে ঢুকছে। তাহলেও আমি জানতাম, মানুষ সব দেখছে। আপনারা ছিলেন বলেই আমি তা ভাবতে পেরেছিলাম। আপনারাই ছিলেন আমার অভয়।
ওই রাতে দুনিয়া তাকিয়ে ছিল বলেই যুক্তরাজ্য সরকার ভিয়েনা কনভেনশন ছুড়ে ফেলতে পারেনি। আর দুনিয়া তাকিয়ে আছে। কারণ, আপনারা তাকিয়ে আছেন।
তাই আবারও অধিকার রক্ষার সংগ্রামকে কেউ নিরর্থক বললে অন্ধকারের মধ্যে ইকুয়েডরের দূতাবাসের সামনে আপনাদের পাহারার কথা তাদের মনে করিয়ে দেবেন। তাদের জানিয়ে দেবেন, কীভাবে সেদিন সকালে সূর্য উদিত হয়েছিল অন্য এক পৃথিবীর ওপর এবং এক সাহসী লাতিন আমেরিকান দেশ ইনসাফের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল।
সেই সব সাহসী মানুষকে ধন্যবাদ। রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন মঞ্জুর করে এবং আশ্রয় দিয়ে যে সাহস দেখিয়েছেন প্রেসিডেন্ট কোরেয়া, সে জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। আমি ইকুয়েডরের সরকারের প্রতি, বিশেষত দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিকার্ডো পাতিনোকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিবেচনা গ্রহণ করে তাঁরা ইকুয়েডরের সংবিধানের সর্বজনীন মানবাধিকারকেই সমুন্নত রেখেছেন। এই সংবিধানকে রক্ষা ও সমর্থনের জন্যও আমি ইকুয়েডরের জনগণকে অভিবাদন জানাই।
এই দূতাবাসের সব কর্মীর কাছে ঋণের কথাও আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। তাঁদের সবারই পরিবার লন্ডনে থাকে। এত হুমকির শিকার হওয়ার পরও তাঁরা আমার প্রতি অঢেল আন্তরিকতা ও উদারতা দেখিয়েছেন।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় গত শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি জরুরি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।
একই সঙ্গে আমি সেই সব দেশের জনগণ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট হয়েছে। বিশেষত বলতে চাই, আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি, কলম্বিয়া, এল সালভাদর, হন্ডুরাস, মেহিকো, নিকারাগুয়া, পেরু এবং ভেনেজুয়েলার সরকার ও জনগণের কথা।
সরকার বিপক্ষে থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইডেন ও অস্ট্রেলিয়ার যেসব মানুষ আমার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের কাছেও আমি ঋণী। সরকারের ভেতরের সেই সব বিচক্ষণ মানুষের প্রতিও আমি প্রণত, তাঁরা এখনো ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি বলছি, আপনাদের দিন আসবেই।
উইকিলিকসের কর্মী, সমর্থক ও তথ্যদাতাদেরও ধন্যবাদ। তাঁদের সাহস, দায়বদ্ধতা ও বিশ্বস্ততার কোনো তুলনা হয় না।
পরিবার ও সন্তানদের থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে বাধ্য হওয়া এক পিতা আমি। তোমরা আমাকে ক্ষমা কোরো, সোনামানিক। শিগগিরই আমি তোমাদের সঙ্গে মিলব।
হুমকির মুখেও উইকিলিকস দাঁড়িয়ে আছে। টিকে আছে মত প্রকাশের অধিকার এবং আমাদের সামাজিক সবলতা। এই মুহূর্তটিকে আমরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বোধোদয়ের জন্য কাজে লাগাতে চাই। তারা কি তাদের রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলে প্রোথিত বিপ্লবী মূল্যবোধে ফিরতে পারবে? আরও বিপজ্জনক ও নিপীড়নকারী এক দুনিয়ার দিকে আমাদের সবাইকে টেনে নিয়ে যাওয়া থেকে বিরত হবে কি দেশটি? সেই দুনিয়ায় সাংবাদিকেরা প্রতিহিংসার ভয়ে ভীত এবং নাগরিকেরা কথা বলে অন্ধকারে, ফিসফিস করে।
যুক্তরাষ্ট্রকে পথ বদলাতে হবেই। আমি প্রেসিডেন্ট ওবামার কাছে আহ্বান জানাই, উচিত কাজটি করুন। যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই উইকিলিকসের বিরুদ্ধে ডাইনি নিধনের কায়দায় চালানো তত্পরতা বন্ধ করতে হবে। বন্ধ করতে হবে এফবিআইয়ের কুতদন্ত।
আমাদের কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে রুজু করা মামলা না চালানোর প্রতিজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই করতে হবে। দুনিয়ার সামনে অঙ্গীকার করতে হবে, ক্ষমতাবানদের গোপন অপরাধকর্মের ওপর আলো ফেলার দায়ে তারা আর কোনো সাংবাদিককে তাড়া করে ফিরবে না। উইকিলিকসই হোক বা হোক নিউইয়র্ক টাইমস; কোনো সংবাদ সংস্থাকে শাস্তি দেওয়ার নির্বোধ বাতচিত্ তাদের বন্ধ করতে হবে। গুমর ফাঁসকারীদের (হুইসল ব্লোয়ার্স) বিরুদ্ধে মার্কিন প্রশাসনের যুদ্ধের অবসান হতে হবে।
থমাস ড্রেক, উইলিয়াম বিন্নে, জন কিরকৌসহ অন্য সব বীরোচিত গুমর ফাঁসকারীদের অবশ্যই—অবশ্যই রেয়াত দিতে হবে। জনগণের তথ্য জানার অধিকারের সেবক হওয়ার দায়ে যে দুর্ভোগ তাদের সইতে হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এবং সেই তরুণ মার্কিন সৈনিক, যিনি এখনো সামরিক কারাগারে বন্দী, মাসের পর মাস যিনি টানা নির্যাতিত হয়েছেন বলেজানিয়েছে জাতিসংঘ, দুই বছর বিনা বিচারে বন্দী থাকার পরও এখনো যাঁকে আদালতের সামনে নেওয়া হয়নি; সেই ব্র্যাডলি ম্যানিংকে মুক্তি দিতে হবে।
আমি ব্র্যাডলি ম্যানিংয়ের মুক্তি চাই।
যে অভিযোগে ব্র্যাডলি ম্যানিংকে আটক করা হয়েছে, তা সত্য হলে তো তিনি বিরাট এক বীর। তিনি আমাদের সবার সামনে সত্যের দিশারি হয়ে আছেন। তিনিই এখন দুনিয়ার পয়লা নম্বর রাজবন্দী।
ব্র্যাডলি ম্যানিংয়ের মুক্তি চাই।
গত বুধবার, ব্র্যাডলি ম্যানিংয়ের বিনা বিচারে বন্দিত্বের ৮১৫তম দিন অতিবাহিত হলো। অথচ আইনে ১২০ দিনের বেশি আটক থাকার বিধান নেই।
গত বৃহস্পতিবার, টুইটারে সামান্য একটা মন্তব্য করার জন্য বাহরাইনের মানবাধিকার কেন্দ্রের সভাপতি আমার বন্ধু নাবিল রজবকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁর অপরাধ, তিনি নাকি রাজনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়েছেন।
নিপীড়কেরা সবখানে ঐক্যবদ্ধ। জবাবে আমাদেরও চাই অটল ঐক্য আর গভীর সংকল্প।
লন্ডনের দি ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকা থেকে নেওয়া
ইংরেজি থেকে অনুবাদ ফারুক ওয়াসিফ
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ: উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা এবং দুনিয়া কাঁপানো মার্কিন গোপন দলিল ফাঁসকারী সাইবার অ্যাক্টিভিজমের নায়ক। ১৯ আগস্ট তিনি লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে দুই মাস আত্মগোপন করে থাকার পর প্রকাশ্যে হাজির হয়ে এই বক্তৃতা করেন।
No comments