আসাদের প্রস্থান নিয়ে আলোচনায় রাজি সিরিয়া
সিরিয়ায় চলমান রক্তক্ষয়ী সহিংসতা নিরসনে দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী কাদরি জামিল বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রস্থানের উপায় নিয়ে আলোচনার জন্য সিরীয় কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত রয়েছে।’ মস্কো সফরে গিয়ে সিরিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাব দেন।
সিরিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট আসাদকে পদত্যাগ করতে হবে—এমন পূর্বশর্ত জুড়ে দিয়ে কোনো আলোচনায় কাঙ্ক্ষিত সমাধানে পৌঁছানো যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য যেকোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এমনকি আমরা প্রেসিডেন্ট আসাদের প্রস্থানের ব্যাপার নিয়েও আলোচনা করতে রাজি।’
তবে দামেস্কের রাজনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, প্রেসিডেন্ট আসাদ উপপ্রধানমন্ত্রী জামিলকে মস্কো পাঠিয়েছেন আগামী নভেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাব্য পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা করতে। ওই নির্বাচনে সব পক্ষের প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমতি দেওয়া হবে। এর মধ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসাদও রয়েছেন।
এর আগে গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিদ্রোহ দমনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহূত হলে তা হবে সীমা লঙ্ঘন। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি কোনো রাসায়নিক অস্ত্র মোতায়েন বা এর ব্যবহার দেখতে পাই, তাহলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে।’
সাংবাদিকদের ওবামা বলেন, জীবাণু অস্ত্রের মোতায়েন বা ব্যবহার ওই অঞ্চলে সহিংসতা আরও ছড়িয়ে দেবে। শুধু সিরিয়ায় নয়, ইসরায়েলসহ আশপাশের দেশগুলোতেও এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
ওবামার এই হুঁশিয়ারির মাত্র এক দিনের মাথায় মঙ্গলবার সিরিয়া সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে প্রেসিডেন্ট আসাদের প্রস্থানের ব্যাপারে আলোচনার ঘোষণা এল।
যদিও সিরিয়ায় একতরফা হামলা না চালাতে পশ্চিমা বিশ্বকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে রাশিয়া ও চীন। সিরিয়ার ওপর পশ্চিমা বিশ্ব একতরফাভাবে হামলা চালালে তা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদকে লঙ্ঘন করা হবে বলে মনে করছে রাশিয়া ও চীন।
রাশিয়ার কমারসান্ত পত্রিকায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তার উদ্ধতি দিয়ে বলা হয়েছে, রাশিয়া বিশ্বাস করে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারে সিরীয় কর্তৃপক্ষের কোনো অভিপ্রায় নেই। গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এদিকে কাদরি জামিলের প্রস্তাবের ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেছেন, ‘মস্কোর সংবাদ সম্মেলনে সিরিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন সে সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো আমরা দেখেছি। সত্যি বলতে কি, আমরা তাতে আশ্চর্য হওয়ার মতো নতুন কিছু পাইনি।’
চেচেন যোদ্ধার ছেলে নিহত
রাশিয়ার ইসলামপন্থী ওয়েবসাইট কাভকাজ সেন্টার গতকাল জানিয়েছে, সিরিয়ায় সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াইয়ে প্রয়াত একজন শীর্ষ চেচেন যোদ্ধার ছেলে নিহত হয়েছেন।
সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের পর চেচনিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সময় চেচেন বাহিনীর অন্যতম শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ছিলেন রাসলান গ্যালায়েভ। চেচেনদের পক্ষে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে রাসলান দুটি যুদ্ধে অংশ নেন। ২০০৪ সালে তিনি মারা যান।
শীর্ষ এই চেচেন যোদ্ধার ছেলে রুস্তম গ্যালায়েভ সিরিয়ার চলমান লড়াইয়ে বিদ্রোহীদের পক্ষে অংশ নেন। চলতি মাসের ১১ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে তিনি যুদ্ধাবস্থায় নিহত হন বলে ওয়েবসাইটটি জানিয়েছে। এএফপি, রয়টার্স।
তবে দামেস্কের রাজনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, প্রেসিডেন্ট আসাদ উপপ্রধানমন্ত্রী জামিলকে মস্কো পাঠিয়েছেন আগামী নভেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাব্য পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা করতে। ওই নির্বাচনে সব পক্ষের প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমতি দেওয়া হবে। এর মধ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসাদও রয়েছেন।
এর আগে গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিদ্রোহ দমনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহূত হলে তা হবে সীমা লঙ্ঘন। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি কোনো রাসায়নিক অস্ত্র মোতায়েন বা এর ব্যবহার দেখতে পাই, তাহলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে।’
সাংবাদিকদের ওবামা বলেন, জীবাণু অস্ত্রের মোতায়েন বা ব্যবহার ওই অঞ্চলে সহিংসতা আরও ছড়িয়ে দেবে। শুধু সিরিয়ায় নয়, ইসরায়েলসহ আশপাশের দেশগুলোতেও এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
ওবামার এই হুঁশিয়ারির মাত্র এক দিনের মাথায় মঙ্গলবার সিরিয়া সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে প্রেসিডেন্ট আসাদের প্রস্থানের ব্যাপারে আলোচনার ঘোষণা এল।
যদিও সিরিয়ায় একতরফা হামলা না চালাতে পশ্চিমা বিশ্বকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে রাশিয়া ও চীন। সিরিয়ার ওপর পশ্চিমা বিশ্ব একতরফাভাবে হামলা চালালে তা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদকে লঙ্ঘন করা হবে বলে মনে করছে রাশিয়া ও চীন।
রাশিয়ার কমারসান্ত পত্রিকায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তার উদ্ধতি দিয়ে বলা হয়েছে, রাশিয়া বিশ্বাস করে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারে সিরীয় কর্তৃপক্ষের কোনো অভিপ্রায় নেই। গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এদিকে কাদরি জামিলের প্রস্তাবের ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেছেন, ‘মস্কোর সংবাদ সম্মেলনে সিরিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন সে সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো আমরা দেখেছি। সত্যি বলতে কি, আমরা তাতে আশ্চর্য হওয়ার মতো নতুন কিছু পাইনি।’
চেচেন যোদ্ধার ছেলে নিহত
রাশিয়ার ইসলামপন্থী ওয়েবসাইট কাভকাজ সেন্টার গতকাল জানিয়েছে, সিরিয়ায় সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াইয়ে প্রয়াত একজন শীর্ষ চেচেন যোদ্ধার ছেলে নিহত হয়েছেন।
সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের পর চেচনিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সময় চেচেন বাহিনীর অন্যতম শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ছিলেন রাসলান গ্যালায়েভ। চেচেনদের পক্ষে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে রাসলান দুটি যুদ্ধে অংশ নেন। ২০০৪ সালে তিনি মারা যান।
শীর্ষ এই চেচেন যোদ্ধার ছেলে রুস্তম গ্যালায়েভ সিরিয়ার চলমান লড়াইয়ে বিদ্রোহীদের পক্ষে অংশ নেন। চলতি মাসের ১১ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে তিনি যুদ্ধাবস্থায় নিহত হন বলে ওয়েবসাইটটি জানিয়েছে। এএফপি, রয়টার্স।
No comments