এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠন- ড. ইউনূসের ভুয়া প্রচারের কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ ॥ অর্থমন্ত্রী
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রামীণ ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। ওই কমিটিতে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাখা হবে না। ঈদের ছুটি শেষে বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সার্চ কমিটি এমডি নিয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক আগ্রহপত্র আহ্বান করবে। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে।
সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান পদে ড. ইউনূসের নিয়োগ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, যিনি ইতোপূর্বে ব্যাংকের এমডি ছিলেন, তিনি কিছুতেই সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান হতে পারেন না। দুনিয়ার কোথাও তা নেই। এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে তিনি বলেন, তাঁকে নিয়োগ দিলে তিনি তাঁর ইচ্ছেমতো উত্তরসূরি নির্বাচন করবেন। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন এমডি যিনি হবেন, তিনিও ভাল চালাবেন।
এদিকে দু’দিন আগে অর্থাৎ সোমবার গ্রামীণ ব্যাংকের ‘সম্মান বা কার্যকারিতা’ খর্ব করে এমন পদক্ষেপ না নেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড সাংবাদিকদের বলেন, নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগে সরকারের নিয়োগকৃত চেয়ারম্যানকে ক্ষমতা দেয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের নেয়া সাম্প্রতিক পদক্ষেপে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগে যথেষ্ট স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ওই সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণব্যাংককে তিনি বাংলাদেশের সমাজে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বাকি বিশ্বের কাছে একটি আদর্শ বলে অভিহিত করেন নুল্যান্ড। গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ অবস্থান জানতে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তার জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখাপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড। যুক্তরাষ্ট্রের এই সংবাদ সম্মেলনের পর বিশ্বব্যাপী মিডিয়াতে নতুন করে আবার গ্রামীণ ব্যাংক আলোচনায় চলে আসে। অবশ্য এই সংবাদ সম্মেলনের পর ছুটি শেষে প্রথম কার্যদিবসে অর্থমন্ত্রীর ব্যস্ত সময় কাটে এ বিষয়টি নিয়ে। সকাল থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের বিষয়টি নিয়ে নিজ দফতরে কাজ করেন।
গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ওয়াশিংটনের আহ্বান প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এটাও ইউনূসের ভুয়া প্রচারণার কারণে। গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে আমাদের উদ্দেশ্য ভাল ও সৎ। এটা নিয়ে চিন্তার কারণ নেই।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক বাঁচাও বলে ড. ইউনূস যে প্রচারণা চালাচ্ছেন, তা ভুয়া। তাঁর এই ভুয়া প্রচারণার জন্য অনেকে চিঠি লিখে সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এদের মধ্যে একজন বিদেশী লেখকও রয়েছেন, যিনি এক সময় বাংলাদেশে কিছুদিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি তাঁর লেখায় সরকারের প্রতি চরম আক্রোশ প্রকাশ করেছেন।
সার্চ কমিটি গঠন প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের আইনে যে সংশোধনী আনা হয়েছে, ছুটির কারণে সেটা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি ও গেজেট আকারে প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। গেজেট প্রকাশের পর পরই সার্চ কমিটি গঠন করা হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার সবচেয়ে বড় কষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক যখন প্রতিষ্ঠা হয়, তখন ড. ইউনূসের কাছে এটা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। চ্যালেঞ্জটি আমিই তাঁকে দিয়েছিলাম। বলেছিলাম যে, আপনি এটা প্রমাণ করেন যে, ক্ষুদ্রঋণ ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল নয়। ইউনূস তা প্রমাণ করেছেন। কিন্তু তিনি নিজে তা বিশ্বাস করেন না।
ড. ইউনূস নিজেই গ্রামীণ ব্যাংক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন বলেও অর্থমন্ত্রী মন্তব্য করে বলেন, সরকার ড. ইউনূসকে গ্রামীণব্যাংক থেকে বিচ্ছিন্ন করেনি। আদালতে যাওয়ার আগে আমি ড. ইউনূসকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের পরামর্শ দিয়েছিলাম। পাশাপাশি গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে তাঁর যাতে একটি সম্পর্ক থাকে সে জন্য তাঁকে ব্যাংকটির আজীবন একটি সম্মানজনক পদ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেটা গ্রহণ করেননি।
ইউনূস বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ঋণের প্রবক্তা। তিনি একজন নোবেল বিজয়ী, তাঁকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি। তিনি গ্রামীণব্যাংকের এমডি ছিলেন। ওই ব্যাংকের বিধিমালা তার হাতেই প্রণীত হয়েছে। তাঁর নিজের তৈরি বিধান অনুযায়ীই তিনি ব্যাংকটির এমডি পদে থাকতে পারেন না। কিন্তু এটাকে পাশ কাটিয়ে তিনি এমন একটা বিধান চালুর চেষ্টা চালিয়েছেন যাতে করে তিনি আজীবন গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদে থাকতে পারেন। বাংলাদেশ ব্যাংক এটা মেনে নেয়নি।’
প্রসঙ্গক্রমে মন্ত্রী আরও বলেন, পদত্যাগ করার পর ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে নানা ধরনের প্রচারণা চালাতে থাকেন। ফলে প্রথমদিকে তাদের মধ্যে এক ধরনের অনিশ্চয়তা কাজ করছিল, কিন্তু পরে তারা দেখেছে যে সবকিছুই আগের মতো চলছে, সরকার কোন পরিবর্তন বা হস্তক্ষেপ করছে না। এখন তাঁরা স্বাভাবিক কাজ-কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১২ মে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান ড. ইউনূস। গত বছর প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ইউনূসকে সরকার অব্যাহতি দেয়ার পর থেকে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান গ্রামীণ ব্যাংকের ওই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
ইউনূসকে অব্যাহতি দেওয়া এবং এমডি নিয়োগে গ্রামীণ ব্যাংক আইন সংশোধন নিয়ে দেশে ও দেশের বাইরেও সমালোচনায় রয়েছে সরকার। বয়সসীমা অতিক্রান্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে ইউনূসকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে হেরে ইউনূস নিজেই পদত্যাগ করেন।
এর পর গত ২ আগস্ট মন্ত্রিসভা গ্রামীণ ব্যাংক আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী এই ব্যাংকের এমডি মনোনয়ন দেবে পরিচালনা বোর্ড। তবে এক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের সুপারিশ লাগবে। ইউনূস বলে আসছেন, সরকারমনোনীত চেয়ারম্যানের মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ এর সদস্যদের কাছ থেকে ‘কেড়ে’ নেয়া হচ্ছে।
সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান পদে ড. ইউনূসের নিয়োগ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, যিনি ইতোপূর্বে ব্যাংকের এমডি ছিলেন, তিনি কিছুতেই সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান হতে পারেন না। দুনিয়ার কোথাও তা নেই। এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে তিনি বলেন, তাঁকে নিয়োগ দিলে তিনি তাঁর ইচ্ছেমতো উত্তরসূরি নির্বাচন করবেন। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন এমডি যিনি হবেন, তিনিও ভাল চালাবেন।
এদিকে দু’দিন আগে অর্থাৎ সোমবার গ্রামীণ ব্যাংকের ‘সম্মান বা কার্যকারিতা’ খর্ব করে এমন পদক্ষেপ না নেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড সাংবাদিকদের বলেন, নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগে সরকারের নিয়োগকৃত চেয়ারম্যানকে ক্ষমতা দেয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের নেয়া সাম্প্রতিক পদক্ষেপে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগে যথেষ্ট স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ওই সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণব্যাংককে তিনি বাংলাদেশের সমাজে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বাকি বিশ্বের কাছে একটি আদর্শ বলে অভিহিত করেন নুল্যান্ড। গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ অবস্থান জানতে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তার জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখাপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড। যুক্তরাষ্ট্রের এই সংবাদ সম্মেলনের পর বিশ্বব্যাপী মিডিয়াতে নতুন করে আবার গ্রামীণ ব্যাংক আলোচনায় চলে আসে। অবশ্য এই সংবাদ সম্মেলনের পর ছুটি শেষে প্রথম কার্যদিবসে অর্থমন্ত্রীর ব্যস্ত সময় কাটে এ বিষয়টি নিয়ে। সকাল থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের বিষয়টি নিয়ে নিজ দফতরে কাজ করেন।
গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ওয়াশিংটনের আহ্বান প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এটাও ইউনূসের ভুয়া প্রচারণার কারণে। গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে আমাদের উদ্দেশ্য ভাল ও সৎ। এটা নিয়ে চিন্তার কারণ নেই।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক বাঁচাও বলে ড. ইউনূস যে প্রচারণা চালাচ্ছেন, তা ভুয়া। তাঁর এই ভুয়া প্রচারণার জন্য অনেকে চিঠি লিখে সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এদের মধ্যে একজন বিদেশী লেখকও রয়েছেন, যিনি এক সময় বাংলাদেশে কিছুদিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি তাঁর লেখায় সরকারের প্রতি চরম আক্রোশ প্রকাশ করেছেন।
সার্চ কমিটি গঠন প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের আইনে যে সংশোধনী আনা হয়েছে, ছুটির কারণে সেটা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি ও গেজেট আকারে প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। গেজেট প্রকাশের পর পরই সার্চ কমিটি গঠন করা হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার সবচেয়ে বড় কষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক যখন প্রতিষ্ঠা হয়, তখন ড. ইউনূসের কাছে এটা একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। চ্যালেঞ্জটি আমিই তাঁকে দিয়েছিলাম। বলেছিলাম যে, আপনি এটা প্রমাণ করেন যে, ক্ষুদ্রঋণ ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল নয়। ইউনূস তা প্রমাণ করেছেন। কিন্তু তিনি নিজে তা বিশ্বাস করেন না।
ড. ইউনূস নিজেই গ্রামীণ ব্যাংক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন বলেও অর্থমন্ত্রী মন্তব্য করে বলেন, সরকার ড. ইউনূসকে গ্রামীণব্যাংক থেকে বিচ্ছিন্ন করেনি। আদালতে যাওয়ার আগে আমি ড. ইউনূসকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের পরামর্শ দিয়েছিলাম। পাশাপাশি গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে তাঁর যাতে একটি সম্পর্ক থাকে সে জন্য তাঁকে ব্যাংকটির আজীবন একটি সম্মানজনক পদ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেটা গ্রহণ করেননি।
ইউনূস বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ঋণের প্রবক্তা। তিনি একজন নোবেল বিজয়ী, তাঁকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি। তিনি গ্রামীণব্যাংকের এমডি ছিলেন। ওই ব্যাংকের বিধিমালা তার হাতেই প্রণীত হয়েছে। তাঁর নিজের তৈরি বিধান অনুযায়ীই তিনি ব্যাংকটির এমডি পদে থাকতে পারেন না। কিন্তু এটাকে পাশ কাটিয়ে তিনি এমন একটা বিধান চালুর চেষ্টা চালিয়েছেন যাতে করে তিনি আজীবন গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদে থাকতে পারেন। বাংলাদেশ ব্যাংক এটা মেনে নেয়নি।’
প্রসঙ্গক্রমে মন্ত্রী আরও বলেন, পদত্যাগ করার পর ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে নানা ধরনের প্রচারণা চালাতে থাকেন। ফলে প্রথমদিকে তাদের মধ্যে এক ধরনের অনিশ্চয়তা কাজ করছিল, কিন্তু পরে তারা দেখেছে যে সবকিছুই আগের মতো চলছে, সরকার কোন পরিবর্তন বা হস্তক্ষেপ করছে না। এখন তাঁরা স্বাভাবিক কাজ-কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১২ মে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান ড. ইউনূস। গত বছর প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ইউনূসকে সরকার অব্যাহতি দেয়ার পর থেকে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান গ্রামীণ ব্যাংকের ওই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
ইউনূসকে অব্যাহতি দেওয়া এবং এমডি নিয়োগে গ্রামীণ ব্যাংক আইন সংশোধন নিয়ে দেশে ও দেশের বাইরেও সমালোচনায় রয়েছে সরকার। বয়সসীমা অতিক্রান্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে ইউনূসকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে হেরে ইউনূস নিজেই পদত্যাগ করেন।
এর পর গত ২ আগস্ট মন্ত্রিসভা গ্রামীণ ব্যাংক আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী এই ব্যাংকের এমডি মনোনয়ন দেবে পরিচালনা বোর্ড। তবে এক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের সুপারিশ লাগবে। ইউনূস বলে আসছেন, সরকারমনোনীত চেয়ারম্যানের মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ এর সদস্যদের কাছ থেকে ‘কেড়ে’ নেয়া হচ্ছে।
No comments