ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে অফিস আদালত ছিল কার্যত ফাঁকা
ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সরকারী অফিস-আদালত ছিল একেবারেই ফাঁকা। টানা সাত দিন ছুটির পর বুধবার অফিস-আদালত খুললেও তা সরগরম হয়ে ওঠেনি এখনও। কর্মস্থলে উপস্থিতির সংখ্যা ছিল একেবারেই কম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৃহস্পতিবারও এ অবস্থা চলবে। সাপ্তাহিক ছুটি শেষে আগামী রবিবার থেকে চিরচেনা চিত্র দেখা যাবে অফিস ও আদালতপাড়ায়।
জনপ্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে সকালে কর্মচারীদের উপস্থিতি খুব বেশি দেখা যায়নি। অনেকে বলছেন, উপস্থিতির হার ছিল ২৫ শতাংশের নিচে। পুরান ঢাকার আদালতপাড়া ও সুপ্রীমকোর্টেও বিচার প্রার্থী এবং আইনজীবীদের আনাগোনাও ছিল কম। অফিস-আদালত খোলার দিনে ঢাকার সড়কগুলোতে যে ভিড় দেখা যায়, তার দেখা এখনও মেলেনি। রাস্তাগুলোতে এখনও চলছে ঈদের আমেজ। রাস্তাগুলো একেবারেই ফাঁকা, নেই যানবাহনের ভিড় বা কোলাহল।
বুধবার সকালে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেখা যায় বারান্দায়, সিঁড়িতে, লিফটে, অফিস কক্ষে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও কোলাকুলি করতে। অনেকে গ্রামের বাড়ি থেকে সরাসরি অফিসে এসেছেন বলেও জানান। এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ১০টার পরও অফিসে ঢুকতে দেখা গেছে। অনেকে অফিসে এসে ঈদের কোলাকুলি শেষে গল্পগুজব করে সময় কাটিয়েছেন। আবার কোন কোন কর্মকর্তাকে কম্পিটারে বসে গেম খেলতে দেখা গেছে। ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে তেমন কোন কাজ হয়নি। গল্পগুজব আর চা পানের মধ্যেই কেটেছে উপস্থিত অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রথম কর্মদিবসটি।
অফিস করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। তাঁরা নিজ দফতরে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এবার ঈদ সুন্দর হয়েছে। দুর্ঘটনার সংবাদ তেমন শোনা যায়নি। তবে সাত দিন আমরা অফিস করতে পারিনি, এখন কাজে মন দিতে চাই। এবার ঈদ-উল-ফিতরের আগে জাতীয় শোক দিবস এবং শব-ই কদরের ছুটি মিলিয়ে টানা সাত দিন ছুটি পেয়েছেন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দীর্ঘ ছুটি পেয়ে অনেকেই গেছেন বাড়িতে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ঢাকার সায়েদাবাদে থাকি, এটিই স্থায়ী ঠিকানা। এবার ঈদে কয়েকদিন ছুটি পাওয়া গেছে। মেয়ের বিয়ে দিয়েছি ঝালকাঠিতে। মেয়েকে দেখতে যাওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল। তাই এবার মেয়ের বাড়ি ঘুরে এলাম।
ঈদের আগে সরকারী অফিস সর্বশেষ খোলা ছিল ১৪ আগস্ট মঙ্গলবার। ১৫ আগস্টের পর দিন বুধবার ছিল শব-ই কদরের ছুটি। এরপর আবার দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি। তারপর ২১ আগস্ট পর্যন্ত ছিল ঈদের ছুটি।
এ লম্বা ছুটির কারণে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সকল মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভাগ, অধিদফতর, পরিদফতর ও সংস্থা প্রধানদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের জন্য বলা হয়েছিল।
বুধবার সকালে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেখা যায় বারান্দায়, সিঁড়িতে, লিফটে, অফিস কক্ষে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও কোলাকুলি করতে। অনেকে গ্রামের বাড়ি থেকে সরাসরি অফিসে এসেছেন বলেও জানান। এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ১০টার পরও অফিসে ঢুকতে দেখা গেছে। অনেকে অফিসে এসে ঈদের কোলাকুলি শেষে গল্পগুজব করে সময় কাটিয়েছেন। আবার কোন কোন কর্মকর্তাকে কম্পিটারে বসে গেম খেলতে দেখা গেছে। ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে তেমন কোন কাজ হয়নি। গল্পগুজব আর চা পানের মধ্যেই কেটেছে উপস্থিত অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রথম কর্মদিবসটি।
অফিস করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। তাঁরা নিজ দফতরে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এবার ঈদ সুন্দর হয়েছে। দুর্ঘটনার সংবাদ তেমন শোনা যায়নি। তবে সাত দিন আমরা অফিস করতে পারিনি, এখন কাজে মন দিতে চাই। এবার ঈদ-উল-ফিতরের আগে জাতীয় শোক দিবস এবং শব-ই কদরের ছুটি মিলিয়ে টানা সাত দিন ছুটি পেয়েছেন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দীর্ঘ ছুটি পেয়ে অনেকেই গেছেন বাড়িতে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ঢাকার সায়েদাবাদে থাকি, এটিই স্থায়ী ঠিকানা। এবার ঈদে কয়েকদিন ছুটি পাওয়া গেছে। মেয়ের বিয়ে দিয়েছি ঝালকাঠিতে। মেয়েকে দেখতে যাওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল। তাই এবার মেয়ের বাড়ি ঘুরে এলাম।
ঈদের আগে সরকারী অফিস সর্বশেষ খোলা ছিল ১৪ আগস্ট মঙ্গলবার। ১৫ আগস্টের পর দিন বুধবার ছিল শব-ই কদরের ছুটি। এরপর আবার দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি। তারপর ২১ আগস্ট পর্যন্ত ছিল ঈদের ছুটি।
এ লম্বা ছুটির কারণে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সকল মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভাগ, অধিদফতর, পরিদফতর ও সংস্থা প্রধানদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের জন্য বলা হয়েছিল।
No comments