মনমোহনের পদত্যাগ দাবিতে পার্লামেন্টে বিরোধীদের বিক্ষোভ
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের পদত্যাগ দাবিতে গতকাল বুধবারও সরগরম ছিল ভারতের পার্লামেন্টের দুই কক্ষ। প্রধান বিরোধী দল বিজেপি বলেছে, মনমোহন পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। অন্য দলগুলো অবশ্য এ বিষয়ে পার্লামেন্টে আলোচনার কথা বলেছে।
সরকার এ বিষয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। কয়লা ব্লক বরাদ্দ নিয়ে সম্প্রতি এক প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই ভারতীয় পার্লামেন্টে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।
কয়লা ব্লক বরাদ্দ নিয়ে গত সপ্তাহে ভারতের কম্পট্রলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন বেসরকারি কম্পানিকে কয়লা ব্লক বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এর ফলে গত বছর মার্চ পর্যন্ত সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১ দশমিক ৮৫ লাখ কোটি রুপি (তিন হাজার ৭০০ কোটি ডলার)।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের জুলাই থেকে ২০০৯ সালের মে পর্যন্ত কয়লা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন মনমোহন সিং। তবে এ কাজের সঙ্গে মনমোহনের জড়িত থাকার কথা প্রতিবেদনের কোথাও উল্লেখ নেই। প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছে।
পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় গতকাল সকালে অধিবেশন শুরুর কিছুক্ষণ পরই বিরোধীরা হট্টগোল শুরু করে। তারা 'প্রধানমন্ত্রী গদি ছাড়ো' স্লোগান দিতে শুরু করে। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে স্পিকার বাধ্য হন অধিবেশন মুলতবি করতে। পরে ১২টার দিকে পুনরায় অধিবেশন বসলে তারা আবার হৈচৈ শুরু করে। এ কারণে দুপুর ২টা পর্যন্ত পুনরায় রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতবি করা হয়। এ ছাড়া পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায়ও হট্টগোল করেছে বিরোধীরা। ফলে এ অধিবেশনও মুলতবি করতে বাধ্য হন স্পিকার মীরা কুমার। তবে রাজ্যসভায় যখন বিরোধীরা হট্টগোল করছিল সে সময় সেখানে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন না। একই কারণে গত মঙ্গলবারও পার্লামেন্টের দুই কক্ষেই অধিবেশন মুলতবি করা হয়।
বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা অরুণ জেটলি বলেন, 'দায় স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা পার্লামেন্টে অচলাবস্থা তৈরি করে রাখব। কয়লা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালে অপরাধের জন্য তাঁকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।' তবে শিব সেনা, জনতা দল-ইউনাইটেড (জেডি-ইউ), তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি), বিজু জনতা দল (জিজেডি) ও অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবির মুনেত্রা কাজাগাম (এআইএডিএমকে) পার্টি পার্লামেন্টে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেও এ বিষয়ে আলোচনা করার প্রস্তাব দিয়েছে। পার্লামেন্টে দুই কক্ষেই এ বিষয়ে আলোচনা করতে রাজি বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। গতকাল লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ভি নারায়াণাস্বামী বলেছেন, বিরোধীরা আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে না। একই ধরনের মন্তব্য করেছেন পার্লামেন্টবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রাজিব শুকলা। সূত্র : এএফপি, হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি।
কয়লা ব্লক বরাদ্দ নিয়ে গত সপ্তাহে ভারতের কম্পট্রলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন বেসরকারি কম্পানিকে কয়লা ব্লক বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এর ফলে গত বছর মার্চ পর্যন্ত সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১ দশমিক ৮৫ লাখ কোটি রুপি (তিন হাজার ৭০০ কোটি ডলার)।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের জুলাই থেকে ২০০৯ সালের মে পর্যন্ত কয়লা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন মনমোহন সিং। তবে এ কাজের সঙ্গে মনমোহনের জড়িত থাকার কথা প্রতিবেদনের কোথাও উল্লেখ নেই। প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছে।
পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় গতকাল সকালে অধিবেশন শুরুর কিছুক্ষণ পরই বিরোধীরা হট্টগোল শুরু করে। তারা 'প্রধানমন্ত্রী গদি ছাড়ো' স্লোগান দিতে শুরু করে। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে স্পিকার বাধ্য হন অধিবেশন মুলতবি করতে। পরে ১২টার দিকে পুনরায় অধিবেশন বসলে তারা আবার হৈচৈ শুরু করে। এ কারণে দুপুর ২টা পর্যন্ত পুনরায় রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতবি করা হয়। এ ছাড়া পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায়ও হট্টগোল করেছে বিরোধীরা। ফলে এ অধিবেশনও মুলতবি করতে বাধ্য হন স্পিকার মীরা কুমার। তবে রাজ্যসভায় যখন বিরোধীরা হট্টগোল করছিল সে সময় সেখানে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন না। একই কারণে গত মঙ্গলবারও পার্লামেন্টের দুই কক্ষেই অধিবেশন মুলতবি করা হয়।
বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা অরুণ জেটলি বলেন, 'দায় স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা পার্লামেন্টে অচলাবস্থা তৈরি করে রাখব। কয়লা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালে অপরাধের জন্য তাঁকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।' তবে শিব সেনা, জনতা দল-ইউনাইটেড (জেডি-ইউ), তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি), বিজু জনতা দল (জিজেডি) ও অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবির মুনেত্রা কাজাগাম (এআইএডিএমকে) পার্টি পার্লামেন্টে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেও এ বিষয়ে আলোচনা করার প্রস্তাব দিয়েছে। পার্লামেন্টে দুই কক্ষেই এ বিষয়ে আলোচনা করতে রাজি বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। গতকাল লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ভি নারায়াণাস্বামী বলেছেন, বিরোধীরা আলোচনা থেকে সরে যেতে পারে না। একই ধরনের মন্তব্য করেছেন পার্লামেন্টবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রাজিব শুকলা। সূত্র : এএফপি, হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি।
No comments