ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্র- মেয়াদ শেষ হলেও প্রয়োজনের তাগিদে শেষ হচ্ছে না চুক্তি by অরুণ কর্মকার
ভাড়াভিত্তিক ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক (রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল) বিদ্যুেকন্দ্রের মেয়াদ শেষ হলেও চুক্তি শেষ হচ্ছে না। কয়লা ও গ্যাসচালিত বড় বিদ্যুেকন্দ্রগুলোর বাস্তবায়ন ক্রমান্বয়ে পিছিয়ে যেতে থাকায় সরকারকে আরও অনেক দিন এসব কেন্দ্রের ওপর নির্ভর করতে হবে।
সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে বলা হচ্ছে, এ বছর থেকেই ভাড়াভিত্তিক ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্রের মেয়াদ শেষ হবে। আর যখন যেটির মেয়াদ শেষ হবে, তখন সেটির সঙ্গে সরকারের চুক্তি শেষ হবে। এভাবে ২০১৫ সালের মধ্যে এসব বিদ্যুেকন্দ্রের সঙ্গে সব চুক্তি শেষ হয়ে যাবে।
কিন্তু বাস্তবে এ বছরই শেষ হতো—এমন তিনটি চুক্তির মেয়াদ আগেই বাড়ানো হয়েছে। এর পরও এগুলোর একটির মেয়াদ আগামী মাসে (সেপ্টেম্বর) শেষ হবে। কিন্তু সেটির মেয়াদ আবারও বাড়ানো হতে পারে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। বাকি দুটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছর। কেন্দ্র তিনটি হচ্ছে: এগ্রিকোর খুলনা ৪০ মেগাওয়াট কেন্দ্র (ডিজেলচালিত); এনার্জি প্রিমার শাহজীবাজার ৫০ মেগাওয়াট (গ্যাসচালিত) ও সিলেট ৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র (গ্যাসচালিত)।
শেষ পর্যায়ে থাকা আরও তিনটি কেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সূত্র জানিয়েছে।
বিদ্যুত্ মন্ত্রণালয় ও বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কর্মকর্তারা বলেছেন, বিদ্যুতের চাহিদা যেভাবে বাড়ছে এবং বড় কেন্দ্রগুলোর কাজ যেভাবে পেছাচ্ছে, তাতে ভাড়াভিত্তিক ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে বিদ্যুত্ কেনার চুক্তি নবায়ন না করে উপায় থাকবে না।
এ কারণে ২০১৫ সাল নাগাদ বিদ্যুতে ভর্তুকি কমিয়ে আনা এবং গ্রাহকপর্যায়ে দাম স্থিতিশীল পর্যায়ে আনার সরকারি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে।
বর্তমান মহাজোট সরকারের আমলে সব মিলিয়ে তিনটি ভাড়াভিত্তিক এবং ১৭টি দ্রুত ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্র চালু হয়েছে। এর আগের রয়েছে আরও ১২টি।
আগামী বছর ১১টি: আগে উল্লেখ করা তিনটিসহ মোট ১১টি ভাড়াভিত্তিক ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছর। এ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে আশুগঞ্জ ৫৫ মেগাওয়াট, শিকলবাহা ৫৫ মেগাওয়াট, ঠাকুরগাঁও ৫০ মেগাওয়াট, খুলনা ৫৫ মেগাওয়াট, ঘোড়াশাল ১০০ মেগাওয়াট, ঘোড়াশাল ৫০ মেগাওয়াট ও নারায়ণগঞ্জের পাগলা ৫০ মেগাওয়াট। ঘোড়াশালের দুটি এবং আশুগঞ্জের একটি কেন্দ্র গ্যাসচালিত। সরকার এগুলোর মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়েই রেখেছে। কারণ, গ্যাসচালিত হওয়ায় এগুলোর বিদ্যুতের দাম কম।
সবগুলো কেন্দ্রের মালিকই নিজ নিজ কেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য তদবির চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যে কয়েকজন লিখিতভাবেও পিডিবির কাছে মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছেন।
২০১৪ সালে আটটি: ভাড়াভিত্তিক ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক আটটি কেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৪ সালে। এর মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াটের মেয়াদ শেষ হবে ওই বছরের জানুয়ারি মাসে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৭০ মেগাওয়াট কেন্দ্রের মেয়াদ ফেব্রুয়ারি, মদনগঞ্জ ১০২ মেগাওয়াট কেন্দ্রের মেয়াদ মার্চ এবং ঘোড়াশাল ৭৮ ও আশুগঞ্জ ৮০ মেগাওয়াট কেন্দ্র দুটির মেয়াদ এপ্রিলে শেষ হবে।
২০১৪ সালের মে মাসে মেয়াদ শেষ হবে আশুগঞ্জের ৫৩ মেগাওয়াট কেন্দ্রটির। জুনে শেষ হবে সিদ্ধিরগঞ্জের আরেকটি ১০০ মেগাওয়াট কেন্দ্রের মেয়াদ। অক্টোবরে মেয়াদ শেষ হবে বগুড়া ২০ মেগাওয়াট কেন্দ্রটির।
মেয়াদ শেষ হলেই এগুলোর সঙ্গে সরকার চুক্তির অবসান ঘটাবে কিনা, কিংবা ঘটাতে পারবে কিনা, তা নিশ্চিত নয়। এ বিষয়টি নির্ভর করছে বড় কেন্দ্রগুলো স্থাপনে অগ্রগতির ওপর।
সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সূত্র জানায়, আগামী বছর দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা হবে প্রায় সাড়ে আট হাজার মেগাওয়াট, যা এ বছরের সর্বোচ্চ উত্পাদনের চেয়ে দুই হাজার মেগাওয়াটের কিছু বেশি। অথচ আগামী বছরের মধ্যে নতুন উত্পাদনে আসবে মাত্র এক হাজার মেগাওয়াটের মতো। নতুন কেন্দ্রের মধ্যে সিরাজগঞ্জ ১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্রে এ বছরের সেপ্টেম্বরেই উত্পাদন শুরু হওয়ার কথা। হরিপুর ৪৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্রের প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এবং বাকিটুকু আগামী বছরের মধ্যে চালু হওয়ার কথা। মেঘনাঘাট (দ্বিতীয় পর্যায়) ৪৫০ মেগাওয়াটের ৩০০ মেগাওয়াটও আগামী বছর চালু হওয়ার কথা।
কিন্তু বাস্তবে এ বছরই শেষ হতো—এমন তিনটি চুক্তির মেয়াদ আগেই বাড়ানো হয়েছে। এর পরও এগুলোর একটির মেয়াদ আগামী মাসে (সেপ্টেম্বর) শেষ হবে। কিন্তু সেটির মেয়াদ আবারও বাড়ানো হতে পারে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। বাকি দুটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছর। কেন্দ্র তিনটি হচ্ছে: এগ্রিকোর খুলনা ৪০ মেগাওয়াট কেন্দ্র (ডিজেলচালিত); এনার্জি প্রিমার শাহজীবাজার ৫০ মেগাওয়াট (গ্যাসচালিত) ও সিলেট ৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র (গ্যাসচালিত)।
শেষ পর্যায়ে থাকা আরও তিনটি কেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সূত্র জানিয়েছে।
বিদ্যুত্ মন্ত্রণালয় ও বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কর্মকর্তারা বলেছেন, বিদ্যুতের চাহিদা যেভাবে বাড়ছে এবং বড় কেন্দ্রগুলোর কাজ যেভাবে পেছাচ্ছে, তাতে ভাড়াভিত্তিক ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে বিদ্যুত্ কেনার চুক্তি নবায়ন না করে উপায় থাকবে না।
এ কারণে ২০১৫ সাল নাগাদ বিদ্যুতে ভর্তুকি কমিয়ে আনা এবং গ্রাহকপর্যায়ে দাম স্থিতিশীল পর্যায়ে আনার সরকারি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে।
বর্তমান মহাজোট সরকারের আমলে সব মিলিয়ে তিনটি ভাড়াভিত্তিক এবং ১৭টি দ্রুত ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্র চালু হয়েছে। এর আগের রয়েছে আরও ১২টি।
আগামী বছর ১১টি: আগে উল্লেখ করা তিনটিসহ মোট ১১টি ভাড়াভিত্তিক ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছর। এ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে আশুগঞ্জ ৫৫ মেগাওয়াট, শিকলবাহা ৫৫ মেগাওয়াট, ঠাকুরগাঁও ৫০ মেগাওয়াট, খুলনা ৫৫ মেগাওয়াট, ঘোড়াশাল ১০০ মেগাওয়াট, ঘোড়াশাল ৫০ মেগাওয়াট ও নারায়ণগঞ্জের পাগলা ৫০ মেগাওয়াট। ঘোড়াশালের দুটি এবং আশুগঞ্জের একটি কেন্দ্র গ্যাসচালিত। সরকার এগুলোর মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়েই রেখেছে। কারণ, গ্যাসচালিত হওয়ায় এগুলোর বিদ্যুতের দাম কম।
সবগুলো কেন্দ্রের মালিকই নিজ নিজ কেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য তদবির চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যে কয়েকজন লিখিতভাবেও পিডিবির কাছে মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছেন।
২০১৪ সালে আটটি: ভাড়াভিত্তিক ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক আটটি কেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৪ সালে। এর মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াটের মেয়াদ শেষ হবে ওই বছরের জানুয়ারি মাসে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৭০ মেগাওয়াট কেন্দ্রের মেয়াদ ফেব্রুয়ারি, মদনগঞ্জ ১০২ মেগাওয়াট কেন্দ্রের মেয়াদ মার্চ এবং ঘোড়াশাল ৭৮ ও আশুগঞ্জ ৮০ মেগাওয়াট কেন্দ্র দুটির মেয়াদ এপ্রিলে শেষ হবে।
২০১৪ সালের মে মাসে মেয়াদ শেষ হবে আশুগঞ্জের ৫৩ মেগাওয়াট কেন্দ্রটির। জুনে শেষ হবে সিদ্ধিরগঞ্জের আরেকটি ১০০ মেগাওয়াট কেন্দ্রের মেয়াদ। অক্টোবরে মেয়াদ শেষ হবে বগুড়া ২০ মেগাওয়াট কেন্দ্রটির।
মেয়াদ শেষ হলেই এগুলোর সঙ্গে সরকার চুক্তির অবসান ঘটাবে কিনা, কিংবা ঘটাতে পারবে কিনা, তা নিশ্চিত নয়। এ বিষয়টি নির্ভর করছে বড় কেন্দ্রগুলো স্থাপনে অগ্রগতির ওপর।
সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সূত্র জানায়, আগামী বছর দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা হবে প্রায় সাড়ে আট হাজার মেগাওয়াট, যা এ বছরের সর্বোচ্চ উত্পাদনের চেয়ে দুই হাজার মেগাওয়াটের কিছু বেশি। অথচ আগামী বছরের মধ্যে নতুন উত্পাদনে আসবে মাত্র এক হাজার মেগাওয়াটের মতো। নতুন কেন্দ্রের মধ্যে সিরাজগঞ্জ ১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্রে এ বছরের সেপ্টেম্বরেই উত্পাদন শুরু হওয়ার কথা। হরিপুর ৪৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্রের প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এবং বাকিটুকু আগামী বছরের মধ্যে চালু হওয়ার কথা। মেঘনাঘাট (দ্বিতীয় পর্যায়) ৪৫০ মেগাওয়াটের ৩০০ মেগাওয়াটও আগামী বছর চালু হওয়ার কথা।
No comments