পদ্মা সেতু প্রকল্প-এডিবি সহায়তার অন্য প্রকল্প নিয়ে শঙ্কা by জাহাঙ্গীর শাহ
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা পাঁচটি প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে দাতাদের সঙ্গে তৈরি সংকটের সমাধান না হলে পাঁচটি প্রকল্পের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তৈরি করা এক সারসংক্ষেপে এ কথা বলা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি বাতিলের পর গত প্রায় এক মাসে প্রকল্পের প্রধান সহ-অর্থায়নকারী এডিবির ঢাকা কার্যালয়ের সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগের ওপর ভিত্তি করে ইআরডি এ সারসংক্ষেপ তৈরি করে। ইআরডি আরও বলছে, বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পদক্ষেপ দেখতে চায় এ সংস্থাটি।
ইআরডি এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিশ্বব্যাংকের শর্ত অনুযায়ী সৈয়দ আবুল হোসেনের পদত্যাগের আগে। সরকার এখন আশা করছে, এর ফলে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে এবং সমস্যার সমাধান হবে। ইআরডি সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর কারণে অন্যান্য প্রকল্পের ওপরও প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থেকে সরকার বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করেছে। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা সফল হলে অন্য প্রকল্পগুলোতে কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না বলেই ইআরডির কর্মকর্তারা মনে করেন।
ইআরডির প্রতিবেদন: স্বাস্থ্য, কৃষি ও আর্থিক খাতের পাঁচটি প্রকল্প নিয়ে শঙ্কার কথা বলা হয়েছে ইআরডির প্রতিবেদনে। এগুলো হলো: আবহাওয়া পরিবর্তননির্ভর শস্যবিমা প্রকল্প, সড়ক ও মহাসড়ক প্রকল্পের প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিশালীকরণ, আখাউড়া-লাকসাম দ্বৈত রেলট্র্যাক প্রকল্প, শহরভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প এবং পুঁজিবাজার শক্তিশালীকরণ প্রকল্প। চলতি বছরেই এসব প্রকল্প এডিবির বোর্ড সভায় অনুমোদনের কথা রয়েছে।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর তেরেখা খোর উদ্বৃতি দিয়ে ইআরডির সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, কান্ট্রি ডিরেক্টর ইঙ্গিত দিয়েছেন, এ বছর এডিবির বোর্ড সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা পাঁচটি প্রকল্প সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার—অন্য সহ-অর্থায়নকারীরা তা দেখতে চায়। এর সন্তোষজনক অগ্রগতি না হলে ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলো শঙ্কায় পড়বে এটাই স্বাভাবিক। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করায় অন্ধকার কেটে যাবে।
সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে এডিবি সরে আসার ঘোষণা দেওয়ার পর এক মাস ধরে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর তেরেসা খো কয়েক দফায় অর্থমন্ত্রী ও ইআরডি সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠকে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের করা দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে এডিবি।
এডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ যদি না নেয় তবে এডিবির পক্ষে একই প্রকল্পে অর্থায়ন করা সম্ভব নয়। কেননা, বিশ্বব্যাংক ও এডিবি সুশাসন ও জবাবদিহির ক্ষেত্রে একই মানদণ্ড অনুসরণ করে। ফলে এডিবি এ প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়াবে। বিশ্বব্যাংকসহ কিংবা ছাড়া এ প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়টি পুনরায় সম্ভাবনার বিষয়টি পেছনে চলে যাবে।
চলতি ৩১ জুলাই এডিবির সঙ্গে পদ্মা সেতু নির্মাণের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। প্রকল্পটি বাঁচিয়ে রাখতে এর আগেই অর্থমন্ত্রী এডিবির প্রধান কার্যালয়ে সফরের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে ইআরডির সারসংক্ষেপে। তবে গত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রীর ম্যানিলা সফরের কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়। এডিবির সদর দপ্তর ম্যানিলায়।
বাংলাদেশের জন্য প্রণীত এডিবির কান্ট্রি পার্টনারশিপ স্ট্র্যাটেজির (সিপিএস) আওতায় ২০১১-১৫ সময়কালের মধ্যে সাড়ে চার শ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
ইআরডি এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিশ্বব্যাংকের শর্ত অনুযায়ী সৈয়দ আবুল হোসেনের পদত্যাগের আগে। সরকার এখন আশা করছে, এর ফলে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে এবং সমস্যার সমাধান হবে। ইআরডি সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর কারণে অন্যান্য প্রকল্পের ওপরও প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থেকে সরকার বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করেছে। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা সফল হলে অন্য প্রকল্পগুলোতে কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না বলেই ইআরডির কর্মকর্তারা মনে করেন।
ইআরডির প্রতিবেদন: স্বাস্থ্য, কৃষি ও আর্থিক খাতের পাঁচটি প্রকল্প নিয়ে শঙ্কার কথা বলা হয়েছে ইআরডির প্রতিবেদনে। এগুলো হলো: আবহাওয়া পরিবর্তননির্ভর শস্যবিমা প্রকল্প, সড়ক ও মহাসড়ক প্রকল্পের প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিশালীকরণ, আখাউড়া-লাকসাম দ্বৈত রেলট্র্যাক প্রকল্প, শহরভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প এবং পুঁজিবাজার শক্তিশালীকরণ প্রকল্প। চলতি বছরেই এসব প্রকল্প এডিবির বোর্ড সভায় অনুমোদনের কথা রয়েছে।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর তেরেখা খোর উদ্বৃতি দিয়ে ইআরডির সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, কান্ট্রি ডিরেক্টর ইঙ্গিত দিয়েছেন, এ বছর এডিবির বোর্ড সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা পাঁচটি প্রকল্প সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার—অন্য সহ-অর্থায়নকারীরা তা দেখতে চায়। এর সন্তোষজনক অগ্রগতি না হলে ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলো শঙ্কায় পড়বে এটাই স্বাভাবিক। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করায় অন্ধকার কেটে যাবে।
সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে এডিবি সরে আসার ঘোষণা দেওয়ার পর এক মাস ধরে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর তেরেসা খো কয়েক দফায় অর্থমন্ত্রী ও ইআরডি সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠকে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের করা দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে এডিবি।
এডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ যদি না নেয় তবে এডিবির পক্ষে একই প্রকল্পে অর্থায়ন করা সম্ভব নয়। কেননা, বিশ্বব্যাংক ও এডিবি সুশাসন ও জবাবদিহির ক্ষেত্রে একই মানদণ্ড অনুসরণ করে। ফলে এডিবি এ প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়াবে। বিশ্বব্যাংকসহ কিংবা ছাড়া এ প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়টি পুনরায় সম্ভাবনার বিষয়টি পেছনে চলে যাবে।
চলতি ৩১ জুলাই এডিবির সঙ্গে পদ্মা সেতু নির্মাণের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। প্রকল্পটি বাঁচিয়ে রাখতে এর আগেই অর্থমন্ত্রী এডিবির প্রধান কার্যালয়ে সফরের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে ইআরডির সারসংক্ষেপে। তবে গত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রীর ম্যানিলা সফরের কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়। এডিবির সদর দপ্তর ম্যানিলায়।
বাংলাদেশের জন্য প্রণীত এডিবির কান্ট্রি পার্টনারশিপ স্ট্র্যাটেজির (সিপিএস) আওতায় ২০১১-১৫ সময়কালের মধ্যে সাড়ে চার শ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
No comments