বাঁধনের ফেরা
লম্বা বিরতির পর শোবিজে ফিরে এসেছেন বাঁধন। ঈদের নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন পুরোপুরি। তবে যেখানেই যান সঙ্গে থাকে পুতুলের মতো ফুটফুটে মেয়ে সায়রা। নাটকের শট দিয়ে এসেই মেয়েকে কোলে তুলে নেন। মেয়েটাও খুব লক্ষ্মী, মা ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে একদম চুপচাপ-শান্ত হয়ে বুয়ার কোলে মুখ লুকিয়ে রাখে। শট শেষ অমনি মায়ের প্রতি বাড়িয়ে দেয় দুটি হাত।
দীর্ঘ দেড় বছর অভিনয় থেকে দূরে থাকা বাঁধন সম্প্রতি আবার নিজের চেনা জায়গায় ফিরেছেন। এরই মধ্যে তিনি নতুন তিনটি নাটকে কাজ করেছেন। নাটক তিনটির দুটি নির্মাণ করেছেন চয়নিকা চৌধুরী। অন্যটি পরিচালনা করেছেন আরেফিন। নিজের অভিনয়ে ফেরা নিয়ে বাঁধন বলেন, আসলে এই সময়েই কাজ শুরু করব তা ভাবিনি। হঠাৎ করে একদিন পরিচালক চয়নিকা চৌধুরীর সঙ্গে গালগল্প করছিলাম। তখন তিনি আমাকে তার নাটকে কাজের প্রস্তাব করেন।
আমি সে সময় তাকে বলেছিলাম, আমার মেয়েকে রেখে আমি কীভাবে অভিনয় করব? পরিচালক আমাকে বললেন, আমার নাটকের স্পটে বিপাশা হায়াত, রিচি সোলায়মান, শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নিও তাদের সন্তানকে নিয়ে এসে অভিনয় করেছেন। তুইও তোর মেয়েকে নিয়ে আসবি। অভিনয়ের ফাঁকে ফাঁকে মেয়েকে দেখাশোনা করবি। কাজের কারণে তোর মেয়ের যেন কোনো কষ্ট না হয়, আমি সে সুযোগ তোকে দেব। একবার ভাবছিলাম, এভাবে কী আর কাজ করা যায়! পরে পরিচালক আমাকে ভালো করে বিষয়টি বোঝালেন। তাই শেষ পর্যন্ত আমি তার সঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়ে গেলাম। এভাবেই আমার কাজে ফেরা।
বাঁধন আরো বললেন, এরই মাঝে আমি তিনটি এক ঘণ্টার নাটকের কাজ শেষ করেছি। এর মধ্যে চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় কাজ করেছি ‘ধ্রুবতারা’ ও ‘প্রতিবেশী’ শিরোনামের দুটি নাটকে। আর আরেফিনের পরিচালনায় যে নাটকটিতে অভিনয় করেছি এর শিরোনাম ‘হাঙ্গামা’।
মেয়েকে নিয়ে শুটিং স্পটে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বাঁধন আরও বলেন, ‘শুটিংয়ের পুরো সময়টা আমার মেয়ে স্পটেই ছিল। আমি শটের বিরতিতে পাশের রুমে গিয়ে মেয়ের দেখাশোনা করে আসতাম। পরিচালকরা আমার মেয়েকে রাখার জন্য সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছিলেন। আমি মেয়েকে নিয়ে বেশ আরামেই কাজগুলো করেছি।’
নাটকগুলোতে অভিনয় প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, ‘আসলে আমি দেড় বছর পরে কাজে ফিরলাম বলে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে, আমি বোধ হয় অনেক ভেবে-চিন্তে খুব সিরিয়াস কোনো চরিত্র বা নাটকের মাধ্যমে আবার অভিনয়ে ফিরে দর্শকদের চমকে দেব। নাটকগুলোতে আমি আহামরি কোনো চরিত্রে কাজ করিনি। তবে আমি যেটুকু কাজই করেছি তাতে আমার আন্তরিকতা ছিল। আমি পরিচালকের কথামত কাজটি করার চেষ্টা করেছি। তবে আমার বিশ্বাস, কাজগুলোতে আমার অংশগ্রহণ দর্শকদের খারাপ লাগবে না।
মাঝখানে মিডিয়া থেকে দূরে থাকার সময়টাতে অভিনয়কে কতোটা মিস করেছেন জানতে চাইলে বাঁধন বললেন, আসলে সে সময়টা ছিল অন্যরকম। মেয়ে যখন আমার গর্ভে ছিল, সেই সময়টায় আমি ওকে নিয়ে কল্পনায় নানা রকম ছবি এঁকেছি। সে সময় আমার ভাবনার পুরোটা জুড়েই ছিল অনাগত সন্তান। আর মেয়ে জন্মের পর আমি ওকে নিয়ে এতই ব্যস্ত হয়ে পড়লাম যে, অন্য কিছু ভাবার সুযোগই ছিল না। মেয়ের দেখাশোনা করতে করতেই আমার দিনের বেশিরভাগ সময় চলে যেত। আর তাই তখন অভিনয়কে মিস করা হয়নি। তবে এখন আবার কাজ করার পর একটু একটু করে অভিনয় আমার ভেতরে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। অভিনয়কে আমি মিস করছি। এখন অভিনয়ের প্রতি আমার মধ্যে নতুন করে একটা টান তৈরি হয়েছে।
ইদানিং অবসর পেলেই বাঁধন টিভি দেখতে বসে যান। নিজের অভিনয় দেখার পাশাপাশি অন্যদের কাজও তিনি দেখেন। তবে মা হওয়ার আগের সময়ের চেয়ে পরের সময়গুলোতে তার টিভি দেখার সুযোগ কমই হয়। বাঁধন বলেন, ‘আসলে অভিনয় আমার কাছে প্রতি মুহূর্তে শেখার একটি বিষয়। নিজের এবং অন্যের কাজ দেখলে অনেক কিছু বোঝা যায়। আমার এখনও শেখার অনেক বাকি। নিজেকে প্রতি মুহূর্তে নানা চরিত্রের মাধ্যমে গড়তে ও ভাঙতে হলে অভিনয় শেখার কোনো বিকল্প নেই।’
নিজের পরের প্রজন্মেও কাজের মূল্যায়ন করতে বললে বাঁধন বলেন, ‘লাক্স থেকে আমার পর যারা বের হয়েছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ তো ভালোই করছে। এই মুহূর্তে বিদ্যা সিনহা মিম ও রাখির কথা মনে পড়ছে। ওরা তো ভালোই কাজ করছে।’
আমি সে সময় তাকে বলেছিলাম, আমার মেয়েকে রেখে আমি কীভাবে অভিনয় করব? পরিচালক আমাকে বললেন, আমার নাটকের স্পটে বিপাশা হায়াত, রিচি সোলায়মান, শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নিও তাদের সন্তানকে নিয়ে এসে অভিনয় করেছেন। তুইও তোর মেয়েকে নিয়ে আসবি। অভিনয়ের ফাঁকে ফাঁকে মেয়েকে দেখাশোনা করবি। কাজের কারণে তোর মেয়ের যেন কোনো কষ্ট না হয়, আমি সে সুযোগ তোকে দেব। একবার ভাবছিলাম, এভাবে কী আর কাজ করা যায়! পরে পরিচালক আমাকে ভালো করে বিষয়টি বোঝালেন। তাই শেষ পর্যন্ত আমি তার সঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়ে গেলাম। এভাবেই আমার কাজে ফেরা।
বাঁধন আরো বললেন, এরই মাঝে আমি তিনটি এক ঘণ্টার নাটকের কাজ শেষ করেছি। এর মধ্যে চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় কাজ করেছি ‘ধ্রুবতারা’ ও ‘প্রতিবেশী’ শিরোনামের দুটি নাটকে। আর আরেফিনের পরিচালনায় যে নাটকটিতে অভিনয় করেছি এর শিরোনাম ‘হাঙ্গামা’।
মেয়েকে নিয়ে শুটিং স্পটে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বাঁধন আরও বলেন, ‘শুটিংয়ের পুরো সময়টা আমার মেয়ে স্পটেই ছিল। আমি শটের বিরতিতে পাশের রুমে গিয়ে মেয়ের দেখাশোনা করে আসতাম। পরিচালকরা আমার মেয়েকে রাখার জন্য সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছিলেন। আমি মেয়েকে নিয়ে বেশ আরামেই কাজগুলো করেছি।’
নাটকগুলোতে অভিনয় প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, ‘আসলে আমি দেড় বছর পরে কাজে ফিরলাম বলে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে, আমি বোধ হয় অনেক ভেবে-চিন্তে খুব সিরিয়াস কোনো চরিত্র বা নাটকের মাধ্যমে আবার অভিনয়ে ফিরে দর্শকদের চমকে দেব। নাটকগুলোতে আমি আহামরি কোনো চরিত্রে কাজ করিনি। তবে আমি যেটুকু কাজই করেছি তাতে আমার আন্তরিকতা ছিল। আমি পরিচালকের কথামত কাজটি করার চেষ্টা করেছি। তবে আমার বিশ্বাস, কাজগুলোতে আমার অংশগ্রহণ দর্শকদের খারাপ লাগবে না।
মাঝখানে মিডিয়া থেকে দূরে থাকার সময়টাতে অভিনয়কে কতোটা মিস করেছেন জানতে চাইলে বাঁধন বললেন, আসলে সে সময়টা ছিল অন্যরকম। মেয়ে যখন আমার গর্ভে ছিল, সেই সময়টায় আমি ওকে নিয়ে কল্পনায় নানা রকম ছবি এঁকেছি। সে সময় আমার ভাবনার পুরোটা জুড়েই ছিল অনাগত সন্তান। আর মেয়ে জন্মের পর আমি ওকে নিয়ে এতই ব্যস্ত হয়ে পড়লাম যে, অন্য কিছু ভাবার সুযোগই ছিল না। মেয়ের দেখাশোনা করতে করতেই আমার দিনের বেশিরভাগ সময় চলে যেত। আর তাই তখন অভিনয়কে মিস করা হয়নি। তবে এখন আবার কাজ করার পর একটু একটু করে অভিনয় আমার ভেতরে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। অভিনয়কে আমি মিস করছি। এখন অভিনয়ের প্রতি আমার মধ্যে নতুন করে একটা টান তৈরি হয়েছে।
ইদানিং অবসর পেলেই বাঁধন টিভি দেখতে বসে যান। নিজের অভিনয় দেখার পাশাপাশি অন্যদের কাজও তিনি দেখেন। তবে মা হওয়ার আগের সময়ের চেয়ে পরের সময়গুলোতে তার টিভি দেখার সুযোগ কমই হয়। বাঁধন বলেন, ‘আসলে অভিনয় আমার কাছে প্রতি মুহূর্তে শেখার একটি বিষয়। নিজের এবং অন্যের কাজ দেখলে অনেক কিছু বোঝা যায়। আমার এখনও শেখার অনেক বাকি। নিজেকে প্রতি মুহূর্তে নানা চরিত্রের মাধ্যমে গড়তে ও ভাঙতে হলে অভিনয় শেখার কোনো বিকল্প নেই।’
নিজের পরের প্রজন্মেও কাজের মূল্যায়ন করতে বললে বাঁধন বলেন, ‘লাক্স থেকে আমার পর যারা বের হয়েছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ তো ভালোই করছে। এই মুহূর্তে বিদ্যা সিনহা মিম ও রাখির কথা মনে পড়ছে। ওরা তো ভালোই কাজ করছে।’
No comments