তিতাসকে ৪৫০ কোটি টাকার গ্যাস বিল দিল কারা? by অরুণ কর্মকার
গ্রাহকদের পরিশোধ করা প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার গ্যাস বিল তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি তাদের রাজস্ব হিসাবে যুক্ত করতে পারছে না। কারণ, গ্যাস বিল হিসেবে গ্রাহকেরা এই টাকা তিতাসের ব্যাংক হিসাবে জমা দিলেও কোম্পানিটির রাজস্ব বিভাগের তালিকায় এঁদের কোনো গ্রাহক সংকেত নম্বর নেই।
সূত্রগুলো জানায়, সাধারণভাবে নতুন কোনো গ্রাহকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সংযোগ দেয়। এরপর তারা ফাইলটি পাঠায় রাজস্ব বিভাগে। সেখানে প্রত্যেক গ্রাহকের নামে একটি করে নম্বর (গ্রাহক সংকেত) বরাদ্দ করা হয়। ওই গ্রাহক সংকেতের বিপরীতে তাদের বিল জমা হয়।
কিন্তু ৪৫০ কোটি টাকা বিল জমা দেওয়া বিপুলসংখ্যক গ্রাহককে তিতাসের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ গ্যাস সংযোগ দিয়েছে। কিন্তু তাঁরা গ্রাহক সংকেত নম্বর পাননি। কারণ, তাঁদের সংযোগটি অবৈধ।
তিতাসের কর্মকর্তারা জানান, সংযোগ দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের ফাইল রাজস্ব বিভাগে পাঠানোর ক্ষেত্রে ভুল হয়ে থাকলে দু-একজনের ক্ষেত্রে হতে পারে। কিন্তু হাজার হাজার গ্রাহকের ক্ষেত্রে তা হওয়ার কথা নয়। আর রাজস্ব বিভাগের সূত্র বলছে, তাদের কাছে নতুন কোনো গ্রাহকের পূর্ণাঙ্গ ফাইল এলে গ্রাহক সংকেত নম্বর না বসানোর কোনো প্রশ্নই ওঠে না। কারণ, রাজস্ব বিভাগের প্রথম ও অন্যতম প্রধান কাজ এটি। তা ছাড়া কয়েক বছর ধরে প্রত্যেক গ্রাহককে বছর শেষে এই মর্মে একটি করে সনদপত্র দেওয়া হয় যে তাঁর পুরো বছরের বিল পরিশোধিত। ওই বছরের জন্য তাঁর কাছে তিতাসের কোনো পাওনা নেই। কাজেই ২০০৭-০৮ সালের কোনো গ্রাহকের গ্রাহক সংকেত নম্বর নিয়ে সমস্যা হলে তা ২০১২ সালে চিহ্নিত হওয়ার কথা নয়। এর আগেই ওই গ্রাহকের বার্ষিক সনদ নেওয়া বা দেওয়ার সময়ই সমস্যাটি চিহ্নিত হওয়ার কথা।
তাহলে এই অর্থের উৎস কী—জানতে চাইলে তিতাসের সূত্রগুলো জানায়, অবৈধ সংযোগ ছাড়া আর কোনো উৎসের কথা ভাবা যাচ্ছে না। তবে এর সব সংযোগই ২০০৯ ও ২০১০ সালে নতুন সংযোগ বন্ধ করার পর দেওয়া হয়েছে এমন নয়। তার আগেও অনেক সংযোগ দেওয়া হতে পারে। যে ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। তিতাসের অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যোগসাজশে এসব সংযোগ দিয়ে থাকতে পারেন।
খতিয়ে দেখতে কমিটি: জানতে চাইলে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল আজিজ খান প্রথম আলোকে বলেন, এ রকম বেশ কিছু বিল রয়েছে। ঠিক কত টাকা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। টাকার অঙ্ক নিরূপণ এবং এ রকম কেন ও কীভাবে হলো, তা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা কাজ করছে।
তিতাসের সূত্রগুলো জানায়, সরকার ২০০৯ সালের ২১ জুলাই থেকে শিল্প ও বাণিজ্যিক এবং ২০১০ সালের ১৩ জুলাই আবাসিক খাতে নতুন গ্যাসসংযোগ দেওয়া বন্ধ ঘোষণা করার পর থেকে বিভিন্ন কৌশলে যেসব গ্রাহককে সংযোগ দেওয়া হয়েছে তাঁদের কাছ থেকে ২০১১-১২ অর্থবছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বাড়তি বিল এসেছে। গত ২০ জুন প্রথম আলোতে এ-সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশের পর বিষয়টি খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপর একে একে জানা যায়, কয়েক বছর আগে সংযোগ পাওয়া অনেক গ্রাহকের বিলও তিতাসের কেন্দ্রীয় হিসাবে যুক্ত হচ্ছে না।
বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য তিতাসের অন্যতম মহাব্যবস্থাপক খালেকুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে যে কমিটি করা হয়েছে তাতে সদস্য হিসেবে আছেন পরিচালক (অর্থ) শঙ্কর কুমার দাস, মহাব্যবস্থাপক (রাজস্ব) মো. নজরুল ইসলাম এবং ব্যবস্থাপক (রাজস্ব নিয়ন্ত্রণ) ফজলুল হক মল্লিক (সদস্যসচিব)। কমিটিকে চলতি মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কিন্তু ৪৫০ কোটি টাকা বিল জমা দেওয়া বিপুলসংখ্যক গ্রাহককে তিতাসের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ গ্যাস সংযোগ দিয়েছে। কিন্তু তাঁরা গ্রাহক সংকেত নম্বর পাননি। কারণ, তাঁদের সংযোগটি অবৈধ।
তিতাসের কর্মকর্তারা জানান, সংযোগ দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের ফাইল রাজস্ব বিভাগে পাঠানোর ক্ষেত্রে ভুল হয়ে থাকলে দু-একজনের ক্ষেত্রে হতে পারে। কিন্তু হাজার হাজার গ্রাহকের ক্ষেত্রে তা হওয়ার কথা নয়। আর রাজস্ব বিভাগের সূত্র বলছে, তাদের কাছে নতুন কোনো গ্রাহকের পূর্ণাঙ্গ ফাইল এলে গ্রাহক সংকেত নম্বর না বসানোর কোনো প্রশ্নই ওঠে না। কারণ, রাজস্ব বিভাগের প্রথম ও অন্যতম প্রধান কাজ এটি। তা ছাড়া কয়েক বছর ধরে প্রত্যেক গ্রাহককে বছর শেষে এই মর্মে একটি করে সনদপত্র দেওয়া হয় যে তাঁর পুরো বছরের বিল পরিশোধিত। ওই বছরের জন্য তাঁর কাছে তিতাসের কোনো পাওনা নেই। কাজেই ২০০৭-০৮ সালের কোনো গ্রাহকের গ্রাহক সংকেত নম্বর নিয়ে সমস্যা হলে তা ২০১২ সালে চিহ্নিত হওয়ার কথা নয়। এর আগেই ওই গ্রাহকের বার্ষিক সনদ নেওয়া বা দেওয়ার সময়ই সমস্যাটি চিহ্নিত হওয়ার কথা।
তাহলে এই অর্থের উৎস কী—জানতে চাইলে তিতাসের সূত্রগুলো জানায়, অবৈধ সংযোগ ছাড়া আর কোনো উৎসের কথা ভাবা যাচ্ছে না। তবে এর সব সংযোগই ২০০৯ ও ২০১০ সালে নতুন সংযোগ বন্ধ করার পর দেওয়া হয়েছে এমন নয়। তার আগেও অনেক সংযোগ দেওয়া হতে পারে। যে ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। তিতাসের অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যোগসাজশে এসব সংযোগ দিয়ে থাকতে পারেন।
খতিয়ে দেখতে কমিটি: জানতে চাইলে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল আজিজ খান প্রথম আলোকে বলেন, এ রকম বেশ কিছু বিল রয়েছে। ঠিক কত টাকা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। টাকার অঙ্ক নিরূপণ এবং এ রকম কেন ও কীভাবে হলো, তা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা কাজ করছে।
তিতাসের সূত্রগুলো জানায়, সরকার ২০০৯ সালের ২১ জুলাই থেকে শিল্প ও বাণিজ্যিক এবং ২০১০ সালের ১৩ জুলাই আবাসিক খাতে নতুন গ্যাসসংযোগ দেওয়া বন্ধ ঘোষণা করার পর থেকে বিভিন্ন কৌশলে যেসব গ্রাহককে সংযোগ দেওয়া হয়েছে তাঁদের কাছ থেকে ২০১১-১২ অর্থবছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বাড়তি বিল এসেছে। গত ২০ জুন প্রথম আলোতে এ-সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশের পর বিষয়টি খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপর একে একে জানা যায়, কয়েক বছর আগে সংযোগ পাওয়া অনেক গ্রাহকের বিলও তিতাসের কেন্দ্রীয় হিসাবে যুক্ত হচ্ছে না।
বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য তিতাসের অন্যতম মহাব্যবস্থাপক খালেকুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে যে কমিটি করা হয়েছে তাতে সদস্য হিসেবে আছেন পরিচালক (অর্থ) শঙ্কর কুমার দাস, মহাব্যবস্থাপক (রাজস্ব) মো. নজরুল ইসলাম এবং ব্যবস্থাপক (রাজস্ব নিয়ন্ত্রণ) ফজলুল হক মল্লিক (সদস্যসচিব)। কমিটিকে চলতি মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
No comments