নবজাতকের প্রথম ‘টিকা’ শালদুধ by বি এইচ নাজমা ইয়াসমীন
সহযোগী অধ্যাপক, শিশু বিভাগ, নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।নবজাতকের প্রথম ‘টিকা’ অবশ্যই শিশু জন্মের প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যে খাওয়াতে হবে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায়, এই টিকার নাম ‘কলস্ট্রাম’। সাধারণ মানুষের কাছে যা ‘শালদুধ’ নামে পরিচিত। জন্মের পরপর যত দ্রুত সম্ভব এটি নবজাতককে দিতে হবে।
সাধারণত যেকোনো রোগের টিকা দেওয়ার দু-চার সপ্তাহ পর টিকা কার্যকর হয় অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। কিছু টিকা আছে, যা একাধিক ডোজ দেওয়ার পর শিশু সেই বিশেষ রোগটি প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়। কিন্তু ‘শালদুধ’—বিশেষ গুণসম্পন্ন বলে তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর এবং একই সঙ্গে অনেক রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। আর সে জন্যই শালদুধ হচ্ছে শিশুর প্রথম টিকা।
শিশু জন্মের পরপরই এসে পড়ে অসংখ্য জীবাণুময় এক পরিবেশে, বিশেষ করে আমাদের মতো দেশে। তাই তাকে সুরক্ষার জন্য যত দ্রুত সম্ভব শালদুধ দিতে হবে। শিশুর জন্মের প্রথম দু-তিন দিন মায়ের বুকে শালদুধ আসে। দৈনিক ১৫ থেকে ৩০ মিলি লিটার পর্যন্ত ঘন আঠাল হলুদাভ শালদুধ তৈরি হয়। পরিমাণে কম হলেও জন্মের পর একটি শিশুর খাবার হিসেবে, রোগ প্রতিরোধক হিসেবে যা যা প্রয়োজন এর সবই শালদুধে আছে। এতে সাধারণ দুধের চেয়ে অনেক বেশি রোগ প্রতিরোধক উপাদান আছে। যেমন ইম্যুনুগ্লোবোলিন, এনজাইম, গ্রোথ ফ্যাক্টর, শ্বেতকণিকা ইত্যাদি। এ ছাড়া আছে প্রায় ১০ গুণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, সোডিয়াম এবং জিংক। আর সে জন্যই শালদুধ হবে সব শিশুর জীবনের প্রথম টিকা এবং একই সঙ্গে প্রথম খাবার।
শালদুধ ল্যাকজেটিভ হিসেবে কাজ করে। ফলে এটি খেলে শিশুর কালো পায়খানা বা মিকোনিয়াম সহজে বের হয়ে যায়। মিকোনিয়াম বেশি সময় খাদ্যনালিতে থাকলে শিশুর জন্ডিস হতে পারে। সুস্থ শিশু পেতে হলে সব শিশুকে শালদুধ দিতে হবে। ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধু বুকের দুধ দিতে হবে। এ সময় শিশুকে অন্য কোনো প্রকার তরল, এমনকি পানি খাওয়ানোরও প্রয়োজন নেই। ছয় মাস পূর্ণ হওয়ার পর শিশুকে বুকের দুধের পাশাপাশি অল্প অল্প করে বড়দের খাবার দিতে হবে। শিশু দুই বছর বয়স পর্যন্ত অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি বুকের দুধ খাবে।
শিশু জন্মের পরপরই এসে পড়ে অসংখ্য জীবাণুময় এক পরিবেশে, বিশেষ করে আমাদের মতো দেশে। তাই তাকে সুরক্ষার জন্য যত দ্রুত সম্ভব শালদুধ দিতে হবে। শিশুর জন্মের প্রথম দু-তিন দিন মায়ের বুকে শালদুধ আসে। দৈনিক ১৫ থেকে ৩০ মিলি লিটার পর্যন্ত ঘন আঠাল হলুদাভ শালদুধ তৈরি হয়। পরিমাণে কম হলেও জন্মের পর একটি শিশুর খাবার হিসেবে, রোগ প্রতিরোধক হিসেবে যা যা প্রয়োজন এর সবই শালদুধে আছে। এতে সাধারণ দুধের চেয়ে অনেক বেশি রোগ প্রতিরোধক উপাদান আছে। যেমন ইম্যুনুগ্লোবোলিন, এনজাইম, গ্রোথ ফ্যাক্টর, শ্বেতকণিকা ইত্যাদি। এ ছাড়া আছে প্রায় ১০ গুণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, সোডিয়াম এবং জিংক। আর সে জন্যই শালদুধ হবে সব শিশুর জীবনের প্রথম টিকা এবং একই সঙ্গে প্রথম খাবার।
শালদুধ ল্যাকজেটিভ হিসেবে কাজ করে। ফলে এটি খেলে শিশুর কালো পায়খানা বা মিকোনিয়াম সহজে বের হয়ে যায়। মিকোনিয়াম বেশি সময় খাদ্যনালিতে থাকলে শিশুর জন্ডিস হতে পারে। সুস্থ শিশু পেতে হলে সব শিশুকে শালদুধ দিতে হবে। ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধু বুকের দুধ দিতে হবে। এ সময় শিশুকে অন্য কোনো প্রকার তরল, এমনকি পানি খাওয়ানোরও প্রয়োজন নেই। ছয় মাস পূর্ণ হওয়ার পর শিশুকে বুকের দুধের পাশাপাশি অল্প অল্প করে বড়দের খাবার দিতে হবে। শিশু দুই বছর বয়স পর্যন্ত অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি বুকের দুধ খাবে।
No comments