আসামে দাঙ্গায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে জাতিগত দাঙ্গায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ জনে। গতকাল মঙ্গলবার কোকরাঝাড় ও চিরাং জেলায় নতুন করে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সোমবার রাত থেকে দাঙ্গাকারীদের দেখামাত্র পুলিশকে গুলির নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।


কর্তৃপক্ষ গতকাল জানিয়েছে, কোকরাঝাড়ে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টার পরিবর্তে অনির্দিষ্টকালের জন্য ২৪ ঘণ্টার কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। তবে চিরাং ও ধুবরি জেলায় আগের মতোই রাত্রীকালীন কারফিউ বহাল থাকবে। বোড়ো জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে বসতিস্থাপনকারী মুসলিমদের এ সংঘর্ষ বনগাইগাঁও নামের আরেকটি জেলায়ও ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সরকারের অধীন বোড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের প্রধান হাগ্রামা মোহিলারি বলেন, 'সোমবার রাতভর কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ জনে।' তিনি জানান, গতকাল পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে সরকারি ভবন, বিদ্যালয় ও শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের দুই জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী নীলামনি সেন ও পৃথ্বী মাঝিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। সে মোতাবেক গতকালই তাঁদের সেখানে পেঁৗছানোর কথা ছিল। আজ সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা কোকরাঝাড় যাবেন।
গত ৬ জুলাই কোকরাঝাড়ে মহিবুল ইসলাম ও আবদুল সিদ্দিক শেখ নামের দুই মুসলিম ছাত্র অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে গুরুতর আহত হয়। এর জেরে শুক্রবার রাতে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। মহিবুল অল বোড়োল্যান্ড মাইনরিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (এবিএমএসইউ) কর্মী এবং সিদ্দিক অল আসাম মাইনরিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (এএএমএসইউ) কর্মী। সূত্র : এএফপি, পিটিআই।

No comments

Powered by Blogger.