‘শূন্য আজি গুলবাগিচা....’ by আশরাফুল ইসলাম ও একেএম রিপন আনসারী
সমকালীন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা হুমায়ূন আহমেদের দাফন সম্পন্ন হলো মঙ্গলবার দুপুরে। লেখকের ভাল লাগার অনুষঙ্গ শ্রাবণের প্রবল ধারায় এক অভূতপূর্ব অভ্যর্থনার মধ্য দিয়ে তার বিদায় পর্ব সম্পন্ন হয়।
বৃষ্টি থেকে নিজেদের রক্ষার কোনো চেষ্টাই ছিল না এসময় হুমায়ূন আহমেদের শেষ বিদায়ের মুহূর্ত উপস্থিত শুভানুধ্যায়ীদের। যেন অনেকটা বৃষ্টিতে নিজেকে সঁপে দেওয়ার চেষ্টাই ছিল সবার!
তবে আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, প্রিয় নুহাশপল্লীর লিচুগাছের পাশে খনন করা কবরে শুইয়ে দেওয়ার পরক্ষণই থেমে যায় শ্রাবণের অঝোর ধারা। বেশ কিছুক্ষণ খামতি দিয়ে আবারও নামে শ্রাবণের অঝোর ধারা।
নুহাশপল্লীতে কবর দেওয়া হলে অনিন্দ্যসুন্দর এই স্থানটি ভক্ত-অনুরাগীদের পদভারে স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারাতে পারে বলে জীবদ্দশায় হুমায়ূন আহমেদ যে আশঙ্কা করেছিলেন তাও অনেকটা সত্য হয়ে ওঠে।
প্রবল বর্ষণের মধ্যে প্রিয় লেখককে শেষ বিদায় জানাতে ভিড় করা শুভার্থীদের পদভারে নয়নাভিরাম নুহাশপল্লীর শ্যামল উদ্যান পরিণত হয় কর্দমাক্ত অঙ্গনে। যেন পুরনো রূপের সঙ্গে মেলানো যাচ্ছিল না নুহাশপল্লীকে।
আমৃত্যু নিসর্গপ্রেমী হুমায়ূন আহমেদ নুহাশপল্লীকে প্রাণাধিক ভালবাসতেন। এই অঙ্গনের প্রতিটি অংশেই লেগেছিল তার স্নেহাতুর হাতের কোমল স্পর্শ। প্রেমিক সেই মানুষটির অকাল প্রয়াণে তাই বৃক্ষগুলোও বিনম্র শ্রদ্ধায় অবনত হয়েছিল বিদায় বেলায়।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার পর দাফন প্রক্রিয়া শেষে ধীরে ধীরে সবাই ফিরতে শুরু করে নুহাশপল্লী থেকে। তিনটার মধ্যে নুহাশপল্লী ত্যাগ করেন হুমায়ূন আহমেদের ছোটভাই ড. জাফর ইকবাল, ছেলে নুহাশ, মেয়ে নোভা, শীলাসহ পরিবারের সদস্যদের অনেকেই। তবে সন্ধ্যার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত নুহাশপল্লী ত্যাগ করেননি স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, শাওনের মা তহুরা আলী এমপিসহ স্বজনদের অনেকেই। নুহাশপল্লীতেই রাত যাপন করবেন তারা।
এর আগে বেলা যতোই গড়াতে থাকে নুহাশপল্লীর বিশাল অঙ্গন ক্রমেই ফাঁকা হতে থাকে। গজারি বন ঘেরা নুহাশপল্লীর শ্যামল উদ্যানে অন্ধকার ঘনিয়ে আসতে থাকে। সেই অন্ধকারের মধ্যেই ক্রমশ: যেন মিশে যান আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা হুমায়ূন আহমেদ।
তবে আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, প্রিয় নুহাশপল্লীর লিচুগাছের পাশে খনন করা কবরে শুইয়ে দেওয়ার পরক্ষণই থেমে যায় শ্রাবণের অঝোর ধারা। বেশ কিছুক্ষণ খামতি দিয়ে আবারও নামে শ্রাবণের অঝোর ধারা।
নুহাশপল্লীতে কবর দেওয়া হলে অনিন্দ্যসুন্দর এই স্থানটি ভক্ত-অনুরাগীদের পদভারে স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারাতে পারে বলে জীবদ্দশায় হুমায়ূন আহমেদ যে আশঙ্কা করেছিলেন তাও অনেকটা সত্য হয়ে ওঠে।
প্রবল বর্ষণের মধ্যে প্রিয় লেখককে শেষ বিদায় জানাতে ভিড় করা শুভার্থীদের পদভারে নয়নাভিরাম নুহাশপল্লীর শ্যামল উদ্যান পরিণত হয় কর্দমাক্ত অঙ্গনে। যেন পুরনো রূপের সঙ্গে মেলানো যাচ্ছিল না নুহাশপল্লীকে।
আমৃত্যু নিসর্গপ্রেমী হুমায়ূন আহমেদ নুহাশপল্লীকে প্রাণাধিক ভালবাসতেন। এই অঙ্গনের প্রতিটি অংশেই লেগেছিল তার স্নেহাতুর হাতের কোমল স্পর্শ। প্রেমিক সেই মানুষটির অকাল প্রয়াণে তাই বৃক্ষগুলোও বিনম্র শ্রদ্ধায় অবনত হয়েছিল বিদায় বেলায়।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার পর দাফন প্রক্রিয়া শেষে ধীরে ধীরে সবাই ফিরতে শুরু করে নুহাশপল্লী থেকে। তিনটার মধ্যে নুহাশপল্লী ত্যাগ করেন হুমায়ূন আহমেদের ছোটভাই ড. জাফর ইকবাল, ছেলে নুহাশ, মেয়ে নোভা, শীলাসহ পরিবারের সদস্যদের অনেকেই। তবে সন্ধ্যার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত নুহাশপল্লী ত্যাগ করেননি স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, শাওনের মা তহুরা আলী এমপিসহ স্বজনদের অনেকেই। নুহাশপল্লীতেই রাত যাপন করবেন তারা।
এর আগে বেলা যতোই গড়াতে থাকে নুহাশপল্লীর বিশাল অঙ্গন ক্রমেই ফাঁকা হতে থাকে। গজারি বন ঘেরা নুহাশপল্লীর শ্যামল উদ্যানে অন্ধকার ঘনিয়ে আসতে থাকে। সেই অন্ধকারের মধ্যেই ক্রমশ: যেন মিশে যান আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা হুমায়ূন আহমেদ।
No comments