শাওনের আকুতিঃ ‘আমারে ছেড়ে তুমি কই গেলা’ by জেসমিন পাঁপড়ি
‘মরিলে কান্দিস না, আমার দায়...’
চির চেনা, চির আপন মানুষের প্রিয় এ গানটির কথা বোধ হয় ভুলেই গিয়েছিলন শাওন। আর তাই হয়তো নুহাশ পল্লীর অঝোর বৃষ্টির সঙ্গে চোখ মিলিয়ে কাঁদছিলেন বারবার। প্রিয় মানুষটিকে হারানোর শোকে মুহ্যমান শাওনের বারবার বিলাপ ছিল, “আমাকে ছেড়ে তুমি কই গেলা। কই গেলা তুমি।”
চির চেনা, চির আপন মানুষের প্রিয় এ গানটির কথা বোধ হয় ভুলেই গিয়েছিলন শাওন। আর তাই হয়তো নুহাশ পল্লীর অঝোর বৃষ্টির সঙ্গে চোখ মিলিয়ে কাঁদছিলেন বারবার। প্রিয় মানুষটিকে হারানোর শোকে মুহ্যমান শাওনের বারবার বিলাপ ছিল, “আমাকে ছেড়ে তুমি কই গেলা। কই গেলা তুমি।”
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের প্রাণহীন দেহ তারই হাতে গড়া নুহাশ পল্লীতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে পৌঁছে যান শাওনসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
নুহাশ পল্লীতে ঢুকেই দর্শনার্থী আর সাংবাদিকদের ভিড় উপেক্ষা করে তিনি প্রবেশ করেন তাদেরই থাকার নির্দিষ্ট ঘরে। যেখানে এর আগে বহুবার এসেছেন প্রিয় মানুষটির হাত ধরে। অথচ আজ তিনি নেই। এক বুক কষ্ট নিয়ে একাই প্রবেশ করতে হচ্ছে প্রিয় মানুষটির প্রিয় ঘরটিতে। সেই কষ্ট কান্না হয়ে বের হল যখন প্রবেশ মুখেই দেখা হয়ে যায় বহুদিনের পুরনো কর্মচারি নুরুল হকের সঙ্গে। খুব আপন ভেবে তারই হাত ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন শাওন। চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি নুরুল হক নিজেও।
কাঁদতে কাঁদতে নুরুল হক শাওনকে ধরে ঘরে নিয়ে যান।
এরপর ঘরের জানালা দিয়ে অদূরে কফিনে শুয়ে থাকা তার প্রিয় সন্তানদের প্রিয় বাবাকে বারবার দেখানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু দর্শনার্থী মানুষ আর মিডিয়া কর্মীদের ভিড়ে তখন সেটাও সম্ভব হচ্ছিল না। তখন ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে ভেতরেই অবস্থান করতে হয় তাকে।
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই জীবনের সবচেয়ে আপন অথচ সবচেয়ে দূরে চলে যাওয়া মানুষটিকে শেষবারের মত দেখার জন্য ডাক আসে তার। বৃষ্টি কাঁদা উপেক্ষা করে মা আর সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে তিনি ছুটে যান হুমায়ূনের প্রিয় লিচু তলার দিকে। সেখানেই একটি ছাউনির নিচে রাখা হয়েছিল হুমায়ূনের নিথর দেহ রাখা কফিনটি। সেখানে যেতেই আবারও কান্নায় ভেঙে পড়েন শাওন। শিশু পুত্র নিনাদকে নিয়েও কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করেন। অবশেষে অনেক কষ্ট করে সেখান থেকে ফেরানো হয় তাকে। নিরাপত্তা কর্মী আর তার মায়ের সহযোগিতায় ঘরের দিকে ফিরিয়ে আনা হয় তাকে।
শেষবারের মত নিজের প্রিয় জিমকে দেখে যখন ফিরে যাচ্ছিলেন হুমায়ূনের প্রিয় কুসুম, তখন তার জিমের কাছে বারবার একই আকুতি জানাচ্ছিলেন, “আমারে ছেড়ে তুমি কই গেলা? কই গেলা তুমি? কেন গেলা? আমি তোমারে ছাড়া কেমনে বাঁচব? তুমি আমাকে কার কাছে রেখে গেলা।”
এসময় শাওনের মা তহুরা আলী মেয়েকে নানাভাবে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন। শাওন মাকে উদ্দেশ্য করে একইভাবে বলতে থাকেন, “মাগো আমি কার কাছে থাকব? কেমনে বাঁচব?”
নুহাশ পল্লীতে ঢুকেই দর্শনার্থী আর সাংবাদিকদের ভিড় উপেক্ষা করে তিনি প্রবেশ করেন তাদেরই থাকার নির্দিষ্ট ঘরে। যেখানে এর আগে বহুবার এসেছেন প্রিয় মানুষটির হাত ধরে। অথচ আজ তিনি নেই। এক বুক কষ্ট নিয়ে একাই প্রবেশ করতে হচ্ছে প্রিয় মানুষটির প্রিয় ঘরটিতে। সেই কষ্ট কান্না হয়ে বের হল যখন প্রবেশ মুখেই দেখা হয়ে যায় বহুদিনের পুরনো কর্মচারি নুরুল হকের সঙ্গে। খুব আপন ভেবে তারই হাত ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন শাওন। চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি নুরুল হক নিজেও।
কাঁদতে কাঁদতে নুরুল হক শাওনকে ধরে ঘরে নিয়ে যান।
এরপর ঘরের জানালা দিয়ে অদূরে কফিনে শুয়ে থাকা তার প্রিয় সন্তানদের প্রিয় বাবাকে বারবার দেখানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু দর্শনার্থী মানুষ আর মিডিয়া কর্মীদের ভিড়ে তখন সেটাও সম্ভব হচ্ছিল না। তখন ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে ভেতরেই অবস্থান করতে হয় তাকে।
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই জীবনের সবচেয়ে আপন অথচ সবচেয়ে দূরে চলে যাওয়া মানুষটিকে শেষবারের মত দেখার জন্য ডাক আসে তার। বৃষ্টি কাঁদা উপেক্ষা করে মা আর সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে তিনি ছুটে যান হুমায়ূনের প্রিয় লিচু তলার দিকে। সেখানেই একটি ছাউনির নিচে রাখা হয়েছিল হুমায়ূনের নিথর দেহ রাখা কফিনটি। সেখানে যেতেই আবারও কান্নায় ভেঙে পড়েন শাওন। শিশু পুত্র নিনাদকে নিয়েও কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করেন। অবশেষে অনেক কষ্ট করে সেখান থেকে ফেরানো হয় তাকে। নিরাপত্তা কর্মী আর তার মায়ের সহযোগিতায় ঘরের দিকে ফিরিয়ে আনা হয় তাকে।
শেষবারের মত নিজের প্রিয় জিমকে দেখে যখন ফিরে যাচ্ছিলেন হুমায়ূনের প্রিয় কুসুম, তখন তার জিমের কাছে বারবার একই আকুতি জানাচ্ছিলেন, “আমারে ছেড়ে তুমি কই গেলা? কই গেলা তুমি? কেন গেলা? আমি তোমারে ছাড়া কেমনে বাঁচব? তুমি আমাকে কার কাছে রেখে গেলা।”
এসময় শাওনের মা তহুরা আলী মেয়েকে নানাভাবে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন। শাওন মাকে উদ্দেশ্য করে একইভাবে বলতে থাকেন, “মাগো আমি কার কাছে থাকব? কেমনে বাঁচব?”
No comments