বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ-জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন মিয়ুং বাক
বড় ভাই ও সাবেক সহযোগীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং বাক। ঘুষ কেলেঙ্কারির দায়ে ভাই লি সাং দেউক এবং সরকারের সাবেক কয়েক কর্মকর্তা গ্রেপ্তারের প্রায় দুই সপ্তাহ পর গতকাল মঙ্গলবার জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন তিনি।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তাঁর এই বক্তব্য প্রচারিত হয়।
ক্ষমতাসীন দল গ্র্যান্ড ন্যাশনাল পার্টির সাবেক সদস্য লি সাং দেউকের (৭৬) বিরুদ্ধে আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত দুটি ব্যাংকের কাছ থেকে ৬০ কোটি ওয়ান (পাঁচ লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার) ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিনিময়ে ব্যাংক দুটিকে সরকারি নিরীক্ষণ (অডিট) এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেন তিনি। ২০০৭ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে তিনি এই অর্থ নেন। প্রবীণ এ নেতা এর আগে ছয়বার পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। চলতি বছরের শুরুতে ওই ব্যাংক দুটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত ১১ জুলাই দেউককে গ্রেপ্তার করা হয়। একই অভিযোগে সাবেক ঊর্ধ্বতন যোগাযোগ কর্মকর্তা চোই সি-জাং, সাবেক উপসংস্কৃতিমন্ত্রী শিন জায়ে-মিন এবং অর্থনৈতিক জ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক উপমন্ত্রী পার্ক ইয়ং-জুনকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
টেলিভিশনে প্রচারিত সংক্ষিপ্ত বার্তায় মিয়ুং বাক বলেন, 'এসব ঘটনায় জনগণের মধ্যে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তার জন্য আমি মাথা নুইয়ে ক্ষমা চাইছি। আমার ঘনিষ্ঠদের মধ্যে এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনায় আমি মর্মাহত।' ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনা আগামী ডিসেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারছেন না মিউং বাক। আগামী ফেব্রুয়ারিতে তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
মিয়ুং বাকের আগের তিনজন প্রেসিডেন্টের আত্মীয়দের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। পরিবারসহ নিজের বিরুদ্ধে কোটি কোটি ডলারের দুর্নীতির মামলা হওয়ায় ২০০৯ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট রোহ মু হিউন আত্মহত্যা করেন। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
ক্ষমতাসীন দল গ্র্যান্ড ন্যাশনাল পার্টির সাবেক সদস্য লি সাং দেউকের (৭৬) বিরুদ্ধে আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত দুটি ব্যাংকের কাছ থেকে ৬০ কোটি ওয়ান (পাঁচ লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার) ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিনিময়ে ব্যাংক দুটিকে সরকারি নিরীক্ষণ (অডিট) এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেন তিনি। ২০০৭ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে তিনি এই অর্থ নেন। প্রবীণ এ নেতা এর আগে ছয়বার পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। চলতি বছরের শুরুতে ওই ব্যাংক দুটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত ১১ জুলাই দেউককে গ্রেপ্তার করা হয়। একই অভিযোগে সাবেক ঊর্ধ্বতন যোগাযোগ কর্মকর্তা চোই সি-জাং, সাবেক উপসংস্কৃতিমন্ত্রী শিন জায়ে-মিন এবং অর্থনৈতিক জ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক উপমন্ত্রী পার্ক ইয়ং-জুনকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
টেলিভিশনে প্রচারিত সংক্ষিপ্ত বার্তায় মিয়ুং বাক বলেন, 'এসব ঘটনায় জনগণের মধ্যে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তার জন্য আমি মাথা নুইয়ে ক্ষমা চাইছি। আমার ঘনিষ্ঠদের মধ্যে এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনায় আমি মর্মাহত।' ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনা আগামী ডিসেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারছেন না মিউং বাক। আগামী ফেব্রুয়ারিতে তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
মিয়ুং বাকের আগের তিনজন প্রেসিডেন্টের আত্মীয়দের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। পরিবারসহ নিজের বিরুদ্ধে কোটি কোটি ডলারের দুর্নীতির মামলা হওয়ায় ২০০৯ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট রোহ মু হিউন আত্মহত্যা করেন। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments