এশিয়ান ইয়ুথ কংগ্রেস, জাপান-এশিয়ার সম্ভাবনা by রাকিব মোজাহিদ
জাপানের ওসাকা শহরের এক হলরুম। মঞ্চের টেবিলের ওপর জড়সড় একটি রশি। হলরুম ভর্তি তরুণ দল। সিদ্ধান্ত নিতে হবে রশিটি গিঁটওয়ালা না শুধু প্যাঁচানো। দুই দলে ভাগ হয়ে গেল তরুণেরা। একদল বলছে, রশিটিতে গিঁট আছে। অন্য দল বলছে, রশিটি শুধু প্যাঁচানো। সময় সংক্ষিপ্ত, যেকোনো একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।
শেষমেশ এক সিদ্ধান্তে এল সবাই। রশিটি গিঁট দেওয়া। এবার অপেক্ষার পালা। আসলেই কি রশিটি গিঁট দেওয়া?
মঞ্চ থেকে ঘোষণা এল, ‘আমাদের চাওয়া পূর্ণ হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম উপস্থিত তরুণদের এক দলে আনতে। আর পরখ করার দরকার নেই রশিটি কোন অবস্থায় আছে।’ এভাবে ২৪টি দেশ থেকে আসা তরুণদের এক করেছিল এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নমূলক সংস্থা ‘কলম্ব প্ল্যান’। তাদের আয়োজনেই ‘মাদকমুক্ত এশিয়া’ স্লোগানে জাপানের ওসাকায় বসেছিল নবম এশিয়ান ইয়ুথ কংগ্রেস। সময়টা ছিল ৯ থেকে ১১ জুলাই। এই আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের তিন শিক্ষার্থী—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের এমফিল শিক্ষার্থী মুক্তা জাহান, ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎকৌশল ও ইলেকট্রনিক্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক ইমরান এবং এশিয়া প্যাশিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফারহানা সুলতানা।
কীভাবে অংশ নেওয়া হলো এই সম্মেলনে, এমন প্রশ্নে ইমরান জানালেন, ‘এ সম্পর্কে আমাকে জানিয়েছিল ফেসবুকে আমার এক ভারতীয় বন্ধু। তার মাধ্যমেই খবর পাই এ রকম একটি সম্মেলন হতে যাচ্ছে। এরপর যোগাযোগ করলাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে এবং আবেদন করলাম। প্রাথমিক বাছাইয়ের পর চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলাম কলম্ব প্ল্যাান থেকে।’
দলের সদস্য ফারহানা সুলতানা জানান, ‘এখানে অংশ নেওয়ার জন্য আমাদের মাদকবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টির জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করতে হয়েছিল।’ প্রকল্পের ধারণা দিয়েছেন মুক্তা। তিনি জানালেন, ‘আমাদের দেশের তরুণেরা মাদক নিতে শুরু করে ১৩ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। তাই আমরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছে যাব এবং তাদের মধ্যে দল তৈরি করব। এই দলগুলোই বিভিন্ন পথনাটক প্রদর্শনের মাধ্যমে মাদকের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরবে। এমনকি এই শিক্ষার্থীরাই চিহ্নিত করবে তাদের মাদকাসক্ত বন্ধুদের।’ আরও যোগ করেন ফারহানা, ‘প্রতি সপ্তাহে একজন শিক্ষার্থী মাদকবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানের একটি করে এসএমএস পাঠাবে তার সেই মাদকাসক্ত বন্ধুকে। এবং এই দলগুলো তাদের নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এ রকম দল খুলতে সহযোগিতা করবে। এতে দ্রুত এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে।’ ‘আর এই প্রকল্প দেখিয়ে আমরা সেরা পাঁচে জায়গা করে নিলাম!’ বিস্ময়ভরা গলায় এমনটাই জানালেন মুক্তা।
এর আগের দিককার আরও কিছু ঘটনা জানালেন ফারহানা, ‘এই প্রকল্প আমরা কীভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি, অর্থাৎ অর্থ সংগ্রহ, মিডিয়া কভারেজ, প্রকল্পের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি—এসব নিয়ে প্রথম দুই দিন হয়েছে প্রশিক্ষণ। তারপর হলো প্রকল্প উপস্থাপন।’
‘ফলে অনেক কিছু এই সুযোগে জানা হলো এবং বন্ধুত্বও গড়ে উঠল অন্য দেশ থেকে অংশ নেওয়া আরও অনেকের সঙ্গে।’ নিজেদের বাড়তি প্রাপ্তির কথা জানালেন ইমরান।
সামনে কি এই প্রকল্প নিয়ে কাজ করা হবে? এমন প্রশ্নে ফারহানা জানালেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সোশ্যাল অ্যাওয়ার্নেস ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত আছি। ক্লাবের অন্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা শিগগিরই এই প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করব।’
মঞ্চ থেকে ঘোষণা এল, ‘আমাদের চাওয়া পূর্ণ হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম উপস্থিত তরুণদের এক দলে আনতে। আর পরখ করার দরকার নেই রশিটি কোন অবস্থায় আছে।’ এভাবে ২৪টি দেশ থেকে আসা তরুণদের এক করেছিল এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নমূলক সংস্থা ‘কলম্ব প্ল্যান’। তাদের আয়োজনেই ‘মাদকমুক্ত এশিয়া’ স্লোগানে জাপানের ওসাকায় বসেছিল নবম এশিয়ান ইয়ুথ কংগ্রেস। সময়টা ছিল ৯ থেকে ১১ জুলাই। এই আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের তিন শিক্ষার্থী—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের এমফিল শিক্ষার্থী মুক্তা জাহান, ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎকৌশল ও ইলেকট্রনিক্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক ইমরান এবং এশিয়া প্যাশিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফারহানা সুলতানা।
কীভাবে অংশ নেওয়া হলো এই সম্মেলনে, এমন প্রশ্নে ইমরান জানালেন, ‘এ সম্পর্কে আমাকে জানিয়েছিল ফেসবুকে আমার এক ভারতীয় বন্ধু। তার মাধ্যমেই খবর পাই এ রকম একটি সম্মেলন হতে যাচ্ছে। এরপর যোগাযোগ করলাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে এবং আবেদন করলাম। প্রাথমিক বাছাইয়ের পর চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলাম কলম্ব প্ল্যাান থেকে।’
দলের সদস্য ফারহানা সুলতানা জানান, ‘এখানে অংশ নেওয়ার জন্য আমাদের মাদকবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টির জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করতে হয়েছিল।’ প্রকল্পের ধারণা দিয়েছেন মুক্তা। তিনি জানালেন, ‘আমাদের দেশের তরুণেরা মাদক নিতে শুরু করে ১৩ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। তাই আমরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছে যাব এবং তাদের মধ্যে দল তৈরি করব। এই দলগুলোই বিভিন্ন পথনাটক প্রদর্শনের মাধ্যমে মাদকের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরবে। এমনকি এই শিক্ষার্থীরাই চিহ্নিত করবে তাদের মাদকাসক্ত বন্ধুদের।’ আরও যোগ করেন ফারহানা, ‘প্রতি সপ্তাহে একজন শিক্ষার্থী মাদকবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানের একটি করে এসএমএস পাঠাবে তার সেই মাদকাসক্ত বন্ধুকে। এবং এই দলগুলো তাদের নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এ রকম দল খুলতে সহযোগিতা করবে। এতে দ্রুত এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে।’ ‘আর এই প্রকল্প দেখিয়ে আমরা সেরা পাঁচে জায়গা করে নিলাম!’ বিস্ময়ভরা গলায় এমনটাই জানালেন মুক্তা।
এর আগের দিককার আরও কিছু ঘটনা জানালেন ফারহানা, ‘এই প্রকল্প আমরা কীভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি, অর্থাৎ অর্থ সংগ্রহ, মিডিয়া কভারেজ, প্রকল্পের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি—এসব নিয়ে প্রথম দুই দিন হয়েছে প্রশিক্ষণ। তারপর হলো প্রকল্প উপস্থাপন।’
‘ফলে অনেক কিছু এই সুযোগে জানা হলো এবং বন্ধুত্বও গড়ে উঠল অন্য দেশ থেকে অংশ নেওয়া আরও অনেকের সঙ্গে।’ নিজেদের বাড়তি প্রাপ্তির কথা জানালেন ইমরান।
সামনে কি এই প্রকল্প নিয়ে কাজ করা হবে? এমন প্রশ্নে ফারহানা জানালেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সোশ্যাল অ্যাওয়ার্নেস ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত আছি। ক্লাবের অন্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা শিগগিরই এই প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করব।’
No comments