ক্ষমতায়ন-প্রথম নারী নভোচারী
মহাকাশে যাওয়ার ব্যাপারটি স্বপ্নের এক বিষয় অনেকের জন্যই। মহাশূন্যে নারীর পদচারণ শুরু হয় ১৯৬৩ সালে। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের পাশাপাশি এশিয়া অঞ্চলেরও একজন নারী মহাকাশে পাড়ি জমিয়েছিলেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নভোচারী ও নভোখেয়াযান বিশেষজ্ঞ কল্পনা চাওলা আরও ছয়জন নভোচারীসহ ২০০৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি কলাম্বিয়া নভোখেয়াযান বিপর্যয়ে মারা যান।
নারীমঞ্চে এর আগে পৃথিবীর প্রথম নারী মহাকাশচারীসহ কয়েকজনকে নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল। আজ থাকছেএশিয়া মহাদেশের তিনটি দেশের প্রথম নারী হিসেবে মহাশূন্যে ভ্রমণকারী তিনজনকে নিয়ে এবারের আয়োজন।
চিয়াকি মুকাই
বায়ু ও মহাশূন্যযান চালানো বিশেষজ্ঞ খুঁজতে ১৯৮৫ সালে জাপানের ন্যাশনাল স্পেস এজেন্সিতে একটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। স্পেসল্যাব জে নামের এ প্রতিযোগিতায় সেরা তিনজন নারীর মধ্যে একজন নির্বাচিত হন জাপানের চিয়াকি মুকাই। এ প্রতিযোগিতার আগে চিয়াকি একজন মহাশূন্যযান বিশেষজ্ঞ হিসেবে আরেকটি মিশনেও কাজ করেন। প্রতিযোগিতায় সেরা হওয়ার সুবাধে জাপানের প্রথম নারী হিসেবে মহাশূন্যে যান তিনি এবং দুবার মহাশূন্যে যাওয়া একমাত্র নারী তিনি। ১৯৯৪ সালে একবার এবং ১৯৯৮ সালে একবার মহাশূন্য পাড়ি দেন চিয়াকি। দুবারে তিনি ৫৬৬ ঘণ্টা মহাশূন্যে কাটান। পেশায় চিকিৎসক চিয়াকির জন্ম ১৯৫২ সালের ৬ মে। কিইয়ো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিসিন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেন তিনি। মহাকাশ নিয়ে আগ্রহ থাকায় এ বিষয়ে বিভিন্ন সমেয়ই খোঁজখবর রাখতেন চিয়াকি। আর তাই এ নিয়ে যখন প্রতিযোগিতা আহ্বান করা হয়, তিনি তাতে অংশ নেন। জাপানের প্রথম নারী হিসেবে মহাশূন্যে যাওয়ায় তিনি দেশে-বিদেশে পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার। নিজের কাজের বাইরে স্কুবা ডাইভিং, টেনিস, গলফ, ছবি তোলা আর ভ্রমণের শখ রয়েছে চিয়াকির। বর্তমানে কিইয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত তিনি।
ই সো ইয়ন
কোরিয়ান অ্যাস্ট্রোনেট প্রোগ্রামের আওতায় দেশটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় মহাকাশচারী নির্বাচনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়। আর এতে ২০০৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত দুজনের মধ্যে একজন ছিলেন ই সো ইয়ন। তবে পরের বছর ই সো ইয়নকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করা হয় আরেক নির্বাচিত কো সানকে। পরবর্তী সময়ে ২০০৮ সালে কো সানকে রাশিয়ায় পাঠানো হয় প্রশিক্ষণের জন্য। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে নিয়ম ভাঙার অভিযোগে তাঁকে বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়। এতেই আবার সুযোগ পেয়ে যান ই সো ইয়ন এবং এর সুবাধে প্রথম কোরিয়ান নারী হিসেবে মহাশূন্যে যাওয়ার সুযোগ পান তিনি। চিয়াকি মুকাইয়ের পর এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় নারী হিসেবে মহাশূন্য পাড়ি দেন তিনি। ১৯৭৮ সালের ২ জুন দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্ম নেওয়া ই সো ইয়ন ছোটবেলা থেকে আগ্রহী ছিলেন বিজ্ঞানের প্রতি। কোরিয়া অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করা ইয়ন বায়োটেক প্রযুক্তির ওপর পিএইচডি অর্জন করেন। গবেষক হিসেবে মহাকাশ ভ্রমণে নানা বিষয়ে তিনি পরীক্ষা চালান, যা পরবর্তীকালে নভোচারীদের জন্য কাজে লেগেছে।
লিউ ইয়াং
ছোটবেলা থেকে বিমানে কাজ করার স্বপ্ন দেখতেন লিউ ইয়াং। একসময় নিজের স্বপ্ন পূরণ হয়, যখন ১৯৯৭ সালে পাইলট হিসেবে যোগ দেন পিপলস রিপাবলিক আর্মি এয়ারফোর্সে। আর্মিতে তিনি যোদ্ধা পাইলট হিসেবে পরিচিত। চলতি বছরের ১৬ জুন তিনি মহাকাশ পাড়ি দিয়েছেন প্রথম চীনা নারী হিসেবে। ১৯৬৩ সালের এই দিনেই প্রথম নারী হিসেবে মহাকাশ ভ্রমণ করেছিলেন ভালেন্তিনা তেরেশকোভা। ৪৯ বছর পর একই দিনে মহাকাশ ভ্রমণ করে লিউ ইয়াং জানান, আমি সত্যিই অভিভূত যে, যেদিন প্রথম নারী মহাকাশে গিয়েছিলেন, সেই একই তারিখে আমিও যেতে পেরেছি। ২০২০ সালের মধ্যে মহাকাশে একটি স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চীনের মহাকাশ অভিযানের একজন অভিযাত্রী হিসেবে যাওয়া লিউ ইয়াং কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার সদস্য। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত লিউ ইয়াং মহাকাশ নিয়ে আরও কাজ করতে চান। গ্রন্থনা: নুরুন্নবী চৌধুরী, তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া ও ওয়েবসাইট
চিয়াকি মুকাই
বায়ু ও মহাশূন্যযান চালানো বিশেষজ্ঞ খুঁজতে ১৯৮৫ সালে জাপানের ন্যাশনাল স্পেস এজেন্সিতে একটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। স্পেসল্যাব জে নামের এ প্রতিযোগিতায় সেরা তিনজন নারীর মধ্যে একজন নির্বাচিত হন জাপানের চিয়াকি মুকাই। এ প্রতিযোগিতার আগে চিয়াকি একজন মহাশূন্যযান বিশেষজ্ঞ হিসেবে আরেকটি মিশনেও কাজ করেন। প্রতিযোগিতায় সেরা হওয়ার সুবাধে জাপানের প্রথম নারী হিসেবে মহাশূন্যে যান তিনি এবং দুবার মহাশূন্যে যাওয়া একমাত্র নারী তিনি। ১৯৯৪ সালে একবার এবং ১৯৯৮ সালে একবার মহাশূন্য পাড়ি দেন চিয়াকি। দুবারে তিনি ৫৬৬ ঘণ্টা মহাশূন্যে কাটান। পেশায় চিকিৎসক চিয়াকির জন্ম ১৯৫২ সালের ৬ মে। কিইয়ো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিসিন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেন তিনি। মহাকাশ নিয়ে আগ্রহ থাকায় এ বিষয়ে বিভিন্ন সমেয়ই খোঁজখবর রাখতেন চিয়াকি। আর তাই এ নিয়ে যখন প্রতিযোগিতা আহ্বান করা হয়, তিনি তাতে অংশ নেন। জাপানের প্রথম নারী হিসেবে মহাশূন্যে যাওয়ায় তিনি দেশে-বিদেশে পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার। নিজের কাজের বাইরে স্কুবা ডাইভিং, টেনিস, গলফ, ছবি তোলা আর ভ্রমণের শখ রয়েছে চিয়াকির। বর্তমানে কিইয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত তিনি।
ই সো ইয়ন
কোরিয়ান অ্যাস্ট্রোনেট প্রোগ্রামের আওতায় দেশটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় মহাকাশচারী নির্বাচনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়। আর এতে ২০০৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত দুজনের মধ্যে একজন ছিলেন ই সো ইয়ন। তবে পরের বছর ই সো ইয়নকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করা হয় আরেক নির্বাচিত কো সানকে। পরবর্তী সময়ে ২০০৮ সালে কো সানকে রাশিয়ায় পাঠানো হয় প্রশিক্ষণের জন্য। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে নিয়ম ভাঙার অভিযোগে তাঁকে বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়। এতেই আবার সুযোগ পেয়ে যান ই সো ইয়ন এবং এর সুবাধে প্রথম কোরিয়ান নারী হিসেবে মহাশূন্যে যাওয়ার সুযোগ পান তিনি। চিয়াকি মুকাইয়ের পর এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় নারী হিসেবে মহাশূন্য পাড়ি দেন তিনি। ১৯৭৮ সালের ২ জুন দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্ম নেওয়া ই সো ইয়ন ছোটবেলা থেকে আগ্রহী ছিলেন বিজ্ঞানের প্রতি। কোরিয়া অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করা ইয়ন বায়োটেক প্রযুক্তির ওপর পিএইচডি অর্জন করেন। গবেষক হিসেবে মহাকাশ ভ্রমণে নানা বিষয়ে তিনি পরীক্ষা চালান, যা পরবর্তীকালে নভোচারীদের জন্য কাজে লেগেছে।
লিউ ইয়াং
ছোটবেলা থেকে বিমানে কাজ করার স্বপ্ন দেখতেন লিউ ইয়াং। একসময় নিজের স্বপ্ন পূরণ হয়, যখন ১৯৯৭ সালে পাইলট হিসেবে যোগ দেন পিপলস রিপাবলিক আর্মি এয়ারফোর্সে। আর্মিতে তিনি যোদ্ধা পাইলট হিসেবে পরিচিত। চলতি বছরের ১৬ জুন তিনি মহাকাশ পাড়ি দিয়েছেন প্রথম চীনা নারী হিসেবে। ১৯৬৩ সালের এই দিনেই প্রথম নারী হিসেবে মহাকাশ ভ্রমণ করেছিলেন ভালেন্তিনা তেরেশকোভা। ৪৯ বছর পর একই দিনে মহাকাশ ভ্রমণ করে লিউ ইয়াং জানান, আমি সত্যিই অভিভূত যে, যেদিন প্রথম নারী মহাকাশে গিয়েছিলেন, সেই একই তারিখে আমিও যেতে পেরেছি। ২০২০ সালের মধ্যে মহাকাশে একটি স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চীনের মহাকাশ অভিযানের একজন অভিযাত্রী হিসেবে যাওয়া লিউ ইয়াং কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার সদস্য। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত লিউ ইয়াং মহাকাশ নিয়ে আরও কাজ করতে চান। গ্রন্থনা: নুরুন্নবী চৌধুরী, তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া ও ওয়েবসাইট
No comments