বেহাল সড়ক-চেতনা ফিরবে কবে!
গত বছর দুয়েক ধরেই আলোচনার শীর্ষে সড়ক-মহাসড়কের বেহাল দশা। দেশের অনেক সড়ক-মহাসড়কই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে এসব রাস্তায় চলাচল করতে হয়। ফলে সড়ক-মহাসড়ক এখনো আতঙ্কের আরেক নাম। বেহাল দশার এসব সড়কে দুর্ঘটনা যেন অবধারিত।
দেশের প্রায় সব সড়ক-মহাসড়কে প্রতিদিন কোনো না কোনো দুর্ঘটনা ঘটে। কয়েকটি দুর্ঘটনার পর পথে নামতেই এখন ভয় হয় মানুষের। যেভাবে মূল্যবান প্রাণ যাচ্ছে বেহাল সড়ক-মহাসড়কে, তাতে জীবনের নিরাপত্তার প্রশ্নটিই এখন সবচেয়ে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। কোনো সড়কই এখন যেন কারো জন্যই নিরাপদ নয়। দেশের সব সড়ক-মহাসড়কই এখন একেকটি মৃত্যুফাঁদ। বেহাল দশার অনেক সড়ক-মহাসড়ক কবে যে চলাচলের উপযোগী হবে, তা কেউ জানে না।
এমনই এক দুর্ভোগের সড়কের কথা উঠে এসেছে কালের কণ্ঠের প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়েছে, দুই মাস ধরে সন্ধ্যার পর এ পথ অতিক্রম করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। মাত্র ২০ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে চার ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়। জায়গাটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। এই মহাসড়কের চট্টগ্রাম সিটি গেট থেকে মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট পর্যন্ত প্রায় পুরো এলাকা এখন এবড়ো-খেবড়ো। কয়েক মাস আগে দেখা দেওয়া গর্তগুলো বিশালাকারে পরিণত হয়েছে। মূল কার্পেটিং উঠে গেছে। অথচ এ অবস্থায় মহাসড়কের বর্তমান তত্ত্বাবধানকারী প্রতিষ্ঠান চার লেন প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদের আগে বড় ধরনের মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই। অন্যদিকে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হয়েছে, যেকোনো মূল্যে মেরামত করতে হবে, অন্যথায় পরিস্থিতি আরো জটিল হবে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কের বারইয়ারহাটে বিশাল আকারের অসংখ্য গভীর গর্তে অতি সাবধানতার পরও যানবাহনের চাকা আটকে পড়ছে। চলাচলকারী যানবাহনের কোনোটি পার হতে পারছে, কোনোটি আটকে থাকছে দীর্ঘক্ষণ। যে সড়কে চলাচল করতে এত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে, সেই সড়কটি মেরামত করা হচ্ছে না অর্থ সংকটের কথা বলে। মেরামতের কোনো উদ্যোগ না নিয়ে কেবল তদারকির ব্যবস্থা করেছে চার লেন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
মহাসড়কের পাশাপাশি দেশের অনেক বড় শহরের রাস্তাঘাটেরও বেহাল দশা। উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা যায় বরিশাল নগরের হাসপাতাল রোড ও বরিশাল মেডিক্যাল কলেজের সামনের বান্দ রোডের কথা। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে দুই সপ্তাহ আগে। অথচ এরই মধ্যে সড়ক দুটির বিটুমিন উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার ও সঠিকভাবে বেজ স্থাপন না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বেহাল সড়ক-মহাসড়ক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে অকালে। সড়কপথে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব সড়ক মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করতে হবে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে চেতনা ফিরবে কবে?
এমনই এক দুর্ভোগের সড়কের কথা উঠে এসেছে কালের কণ্ঠের প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়েছে, দুই মাস ধরে সন্ধ্যার পর এ পথ অতিক্রম করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। মাত্র ২০ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে চার ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়। জায়গাটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। এই মহাসড়কের চট্টগ্রাম সিটি গেট থেকে মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট পর্যন্ত প্রায় পুরো এলাকা এখন এবড়ো-খেবড়ো। কয়েক মাস আগে দেখা দেওয়া গর্তগুলো বিশালাকারে পরিণত হয়েছে। মূল কার্পেটিং উঠে গেছে। অথচ এ অবস্থায় মহাসড়কের বর্তমান তত্ত্বাবধানকারী প্রতিষ্ঠান চার লেন প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদের আগে বড় ধরনের মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই। অন্যদিকে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হয়েছে, যেকোনো মূল্যে মেরামত করতে হবে, অন্যথায় পরিস্থিতি আরো জটিল হবে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কের বারইয়ারহাটে বিশাল আকারের অসংখ্য গভীর গর্তে অতি সাবধানতার পরও যানবাহনের চাকা আটকে পড়ছে। চলাচলকারী যানবাহনের কোনোটি পার হতে পারছে, কোনোটি আটকে থাকছে দীর্ঘক্ষণ। যে সড়কে চলাচল করতে এত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে, সেই সড়কটি মেরামত করা হচ্ছে না অর্থ সংকটের কথা বলে। মেরামতের কোনো উদ্যোগ না নিয়ে কেবল তদারকির ব্যবস্থা করেছে চার লেন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
মহাসড়কের পাশাপাশি দেশের অনেক বড় শহরের রাস্তাঘাটেরও বেহাল দশা। উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা যায় বরিশাল নগরের হাসপাতাল রোড ও বরিশাল মেডিক্যাল কলেজের সামনের বান্দ রোডের কথা। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে দুই সপ্তাহ আগে। অথচ এরই মধ্যে সড়ক দুটির বিটুমিন উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার ও সঠিকভাবে বেজ স্থাপন না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বেহাল সড়ক-মহাসড়ক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে অকালে। সড়কপথে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব সড়ক মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করতে হবে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে চেতনা ফিরবে কবে?
No comments