ভারত-পাকিস্তান-বরফ গলতে শুরু করেছে by বি. রমন
বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল যে বন্ধুত্বের মনোভাব ও অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তার সুযোগ ভারতের প্রধানমন্ত্রী দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সংযোগ গড়ে তোলার কাজে লাগান। পাকিস্তানে দু'দেশের মধ্যে ক্রিকেট খেলার গিলানির আমন্ত্রণ তাৎক্ষণিকভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করেন
ভারত এবং পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল থেকে রাজনৈতিক দল, সংসদ থেকে সংসদ, সেনাবাহিনী থেকে সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা থেকে গোয়েন্দা সংস্থা, পররাষ্ট্র দফতর থেকে পররাষ্ট্র দফতর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথা দু'দেশের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সংযোগ ও আলোচনার মাধ্যমে পাকিস্তানের মন থেকে ভারত সম্পর্কিত ভয় দূর করা সম্ভব। উভয় দেশের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগ বৃদ্ধি দেশ দুটির জনগণের পরস্পরের সংযোগের মতোই উভয়ের পরস্পরের প্রতি কাল্পনিক ভীতি দূর করায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই দ্বিপক্ষীয় প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগ কী করে বৃদ্ধি করা যায়? এই মৌলিক প্রশ্নটির উত্তর আমাদের খুঁজতে হবে। দু'দেশের সামগ্রিক ভিশন স্টেটমেন্টের প্রেক্ষাপটে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। ভারতের থেকে পাকিস্তানিদের মধ্যে এ ধরনের কাল্পনিক ভীতির প্রকোপ বেশি। এই সম্মত অভিন্ন ভিশন রচনার পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের পাকিস্তান সফর করা উচিত_ একথা আমি পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ সম্পর্কিত ভলিউমের জন্য লেখায় উল্লেখ করেছি। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকিং ইনস্টিটিউশনের অধ্যাপক স্টিফেন কোহেনের অনুরোধে গত ১৫ মার্চ আমি লেখাটি পাঠাই।
এসব পরামর্শের পর গত ৩০ মার্চ মোহালিতে মনমোহন সিং ও ইউসুফ রাজা গিলানির মধ্যকার ব্যাপকভিত্তিক আলোচনায় অন্তত দুটি ক্ষেত্রে সুফল পাওয়া গেছে। এর একটি হলো_ দু'দেশের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সফর বিনিময় এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তার দেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো। যদিও মনমোহন সিং পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণের ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করে কিছু বলেনি, তবে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব নিরুপমা রাও একই দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করার সময় তারা বিষয়টি মুক্ত মন নিয়ে বিবেচনা করছেন বলে জানান।
বেশি মাতামাতি না করে দু'দেশের সম্পর্কে কী করে গতি আনা যাবে? প্রচারণা বেশি হলে আবার সেটা উল্টো ফলও দিতে পারে। তখন সবার মনে এই ভয় ঢুকতে পারে যে, প্রধানমন্ত্রীদ্বয় তাদের আলোচনায় দু'দেশের লাইনচ্যুত সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার ব্যাপারে যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা আবার অতীতের মতো পাকিস্তান থেকে উৎসারিত কোনো সন্ত্রাসবাদী হামলায় ব্যর্থ হয়ে যাবে না তো? প্রধানমন্ত্রীদ্বয়কে তাদের আলোচনায় এ বিষয়টির প্রতিও নজর দিতে হবে বলে আমি উল্লেখ করেছিলাম। পররাষ্ট্র সচিব নিরুপমা রাও জানান, প্রধানমন্ত্রীদ্বয় কেবল খোশগল্প করেছেন তা নয়, তারা ব্যাপকভিত্তিক ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেছেন।
দু'দেশের প্রধানমন্ত্রীদ্বয় তাদের আলোচনা শেষে কোনো যৌথ বিবৃতি বা যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেননি সম্ভবত অহেতুক মিডিয়া হাইপ এড়ানোর জন্যই। কারণ এটা করলে তা হয়তো উল্টো ফল দিতে পারে বলে তারা মনে করেছেন। সে জন্যই দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ব্যাপকভিত্তিক আলোচনা হলেও দুই শীর্ষ নেতা এটার গায়ে আনুষ্ঠানিকতার চাদর জড়াতে চাননি।
মোহালিতে যেমনটা দেখা গেছে, সেটাকে একটি ভিন্ন ধরনের শক্তিশালী সম্পর্ক স্থাপন প্রচেষ্টারূপে বিবেচনা করা যায়। এটা একটা নতুন ডাইমেনশনও বটে। এই নতুন প্রচেষ্টার দুটি সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তা হচ্ছে, দু'দেশের সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার ব্যাপারে একটি যত্নসহকারে পরিকল্পিত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়ার দায়িত্বে রয়েছেন স্বয়ং দুই প্রধানমন্ত্রী। সার্ক থিম্পু সম্মেলনের সময় দুই প্রধানমন্ত্রী উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন আমলাদের উপস্থিতিতে আলোচনায় সম্পর্কের জট খোলা ও উন্নত করার যে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন তারই ধারাবাহিকতা সর্বশেষ প্রচেষ্টাটি।
দুই প্রধানমন্ত্রী মোহালিতে আলোচনায় মিলিত হওয়ার আগেই নয়াদিলি্লতে অনুষ্ঠিত দু'দেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যকার বৈঠকে ২৬/১১ মুম্বাই সন্ত্রাসবাদী হামলার ব্যাপারে কতিপয় পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে একমত হওয়া এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ব্যাপারে সহযোগিতাকে ত্বরান্বিত করতে দু'দেশের মধ্যে হটলাইন স্থাপনের চুক্তি সম্পাদনের মধ্য দিয়ে প্রথম ধাপের সংলাপ প্রক্রিয়া শুরু হয়। দু'দেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের পর সম্ভবত ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম ও পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রহমান মালিকের মধ্যে জুলাই মাসে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। উভয় দেশে সম্পর্ক প্রক্রিয়া আবার শুরু করার ক্ষেত্রে কী কী প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সে ব্যাপারে উভয়পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করার দায়িত্ব দুই প্রধানমন্ত্রী তাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের ওপর ন্যস্ত করেছেন।
আবার শুরু হওয়া সংলাপ প্রক্রিয়া আসন্ন বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক ও তারপর অনুষ্ঠিতব্য উলি্লখিত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের মধ্য দিয়ে অব্যাহত থাকবে। পুনঃপ্রতিষ্ঠিত স্ট্র্যাটেজিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা প্রক্রিয়া ও টেকটিক্যাল সংলাপ প্রক্রিয়া পাশাপাশি চলবে। দুই প্রধানমন্ত্রীর ফোকাস থাকবে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া নিয়ে আর মন্ত্রীরা ব্যস্ত থাকবেন সংলাপকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে।
সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা প্রক্রিয়াকে যারা লাইনচ্যুত করতে চায় তাদের হীন উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করে দিতে গিলানি মনমোহন সিংকে পাকিস্তান সফরের যে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তাতে দ্রুত সায় দেওয়া এবং দু'দেশের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সফর বিনিময় দ্রুততম সময়ে করা বাঞ্ছনীয়।
বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল যে বন্ধুত্বের মনোভাব ও অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তার সুযোগ ভারতের প্রধানমন্ত্রী দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সংযোগ গড়ে তোলার কাজে লাগান। পাকিস্তানে দু'দেশের মধ্যে ক্রিকেট খেলার গিলানির আমন্ত্রণ তাৎক্ষণিকভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করেন এবং অদূর ভবিষ্যতে তার পাকিস্তান সফরের মধ্য দিয়ে দু'দেশের সম্পর্কে আরও অগ্রগতি সাধিত হবে।
বি. রমন :ইনস্টিটিউট ফর ট্রপিক্যাল স্টাডিসের পরিচালক; আউটলুক থেকে ভাষান্তর সুভাষ সাহা
এসব পরামর্শের পর গত ৩০ মার্চ মোহালিতে মনমোহন সিং ও ইউসুফ রাজা গিলানির মধ্যকার ব্যাপকভিত্তিক আলোচনায় অন্তত দুটি ক্ষেত্রে সুফল পাওয়া গেছে। এর একটি হলো_ দু'দেশের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সফর বিনিময় এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তার দেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো। যদিও মনমোহন সিং পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণের ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করে কিছু বলেনি, তবে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব নিরুপমা রাও একই দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করার সময় তারা বিষয়টি মুক্ত মন নিয়ে বিবেচনা করছেন বলে জানান।
বেশি মাতামাতি না করে দু'দেশের সম্পর্কে কী করে গতি আনা যাবে? প্রচারণা বেশি হলে আবার সেটা উল্টো ফলও দিতে পারে। তখন সবার মনে এই ভয় ঢুকতে পারে যে, প্রধানমন্ত্রীদ্বয় তাদের আলোচনায় দু'দেশের লাইনচ্যুত সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার ব্যাপারে যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা আবার অতীতের মতো পাকিস্তান থেকে উৎসারিত কোনো সন্ত্রাসবাদী হামলায় ব্যর্থ হয়ে যাবে না তো? প্রধানমন্ত্রীদ্বয়কে তাদের আলোচনায় এ বিষয়টির প্রতিও নজর দিতে হবে বলে আমি উল্লেখ করেছিলাম। পররাষ্ট্র সচিব নিরুপমা রাও জানান, প্রধানমন্ত্রীদ্বয় কেবল খোশগল্প করেছেন তা নয়, তারা ব্যাপকভিত্তিক ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেছেন।
দু'দেশের প্রধানমন্ত্রীদ্বয় তাদের আলোচনা শেষে কোনো যৌথ বিবৃতি বা যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেননি সম্ভবত অহেতুক মিডিয়া হাইপ এড়ানোর জন্যই। কারণ এটা করলে তা হয়তো উল্টো ফল দিতে পারে বলে তারা মনে করেছেন। সে জন্যই দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ব্যাপকভিত্তিক আলোচনা হলেও দুই শীর্ষ নেতা এটার গায়ে আনুষ্ঠানিকতার চাদর জড়াতে চাননি।
মোহালিতে যেমনটা দেখা গেছে, সেটাকে একটি ভিন্ন ধরনের শক্তিশালী সম্পর্ক স্থাপন প্রচেষ্টারূপে বিবেচনা করা যায়। এটা একটা নতুন ডাইমেনশনও বটে। এই নতুন প্রচেষ্টার দুটি সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তা হচ্ছে, দু'দেশের সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার ব্যাপারে একটি যত্নসহকারে পরিকল্পিত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়ার দায়িত্বে রয়েছেন স্বয়ং দুই প্রধানমন্ত্রী। সার্ক থিম্পু সম্মেলনের সময় দুই প্রধানমন্ত্রী উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন আমলাদের উপস্থিতিতে আলোচনায় সম্পর্কের জট খোলা ও উন্নত করার যে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন তারই ধারাবাহিকতা সর্বশেষ প্রচেষ্টাটি।
দুই প্রধানমন্ত্রী মোহালিতে আলোচনায় মিলিত হওয়ার আগেই নয়াদিলি্লতে অনুষ্ঠিত দু'দেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যকার বৈঠকে ২৬/১১ মুম্বাই সন্ত্রাসবাদী হামলার ব্যাপারে কতিপয় পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে একমত হওয়া এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ব্যাপারে সহযোগিতাকে ত্বরান্বিত করতে দু'দেশের মধ্যে হটলাইন স্থাপনের চুক্তি সম্পাদনের মধ্য দিয়ে প্রথম ধাপের সংলাপ প্রক্রিয়া শুরু হয়। দু'দেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের পর সম্ভবত ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম ও পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রহমান মালিকের মধ্যে জুলাই মাসে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। উভয় দেশে সম্পর্ক প্রক্রিয়া আবার শুরু করার ক্ষেত্রে কী কী প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সে ব্যাপারে উভয়পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করার দায়িত্ব দুই প্রধানমন্ত্রী তাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের ওপর ন্যস্ত করেছেন।
আবার শুরু হওয়া সংলাপ প্রক্রিয়া আসন্ন বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক ও তারপর অনুষ্ঠিতব্য উলি্লখিত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের মধ্য দিয়ে অব্যাহত থাকবে। পুনঃপ্রতিষ্ঠিত স্ট্র্যাটেজিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা প্রক্রিয়া ও টেকটিক্যাল সংলাপ প্রক্রিয়া পাশাপাশি চলবে। দুই প্রধানমন্ত্রীর ফোকাস থাকবে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া নিয়ে আর মন্ত্রীরা ব্যস্ত থাকবেন সংলাপকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে।
সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা প্রক্রিয়াকে যারা লাইনচ্যুত করতে চায় তাদের হীন উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করে দিতে গিলানি মনমোহন সিংকে পাকিস্তান সফরের যে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তাতে দ্রুত সায় দেওয়া এবং দু'দেশের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সফর বিনিময় দ্রুততম সময়ে করা বাঞ্ছনীয়।
বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল যে বন্ধুত্বের মনোভাব ও অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তার সুযোগ ভারতের প্রধানমন্ত্রী দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সংযোগ গড়ে তোলার কাজে লাগান। পাকিস্তানে দু'দেশের মধ্যে ক্রিকেট খেলার গিলানির আমন্ত্রণ তাৎক্ষণিকভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করেন এবং অদূর ভবিষ্যতে তার পাকিস্তান সফরের মধ্য দিয়ে দু'দেশের সম্পর্কে আরও অগ্রগতি সাধিত হবে।
বি. রমন :ইনস্টিটিউট ফর ট্রপিক্যাল স্টাডিসের পরিচালক; আউটলুক থেকে ভাষান্তর সুভাষ সাহা
No comments