ভাবুন হাজারবার! by আসিফ আহমেদ
বিবিসি টেলিভিশন সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রচার করেছে যে শিরোনামে তার বাংলা করলে দাঁড়ায় : 'প্রবৃদ্ধির খেসারত দিচ্ছে ভারতীয় মধ্যবিত্ত'। এতে বলা হয়, শতকোটিরও বেশি লোক অধ্যুষিত এ দেশটিতে মধ্যবিত্তের সংখ্যা অনেক এবং তাদের আয় বেড়ে চলেছে।
প্রতিবেদনটি শুরু হয়েছে হায়দ্রাবাদের এক দম্পতির কথা দিয়ে, যারা দু'জনেই তথ্য-প্রযুক্তি খাতের দক্ষ কর্মী। এদের একজন মানসী পাওয়ার বলেন, 'আমরা সুসজ্জিত আধুনিক বাড়িতে থাকছি। ছেলেমেয়েরা নামি স্কুলে যায়।' এ দম্পতির আয় এতটাই বেশি যে মানসী চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। তারপরও ব্যাংকে তাদের জমা অর্থের পরিমাণ যথেষ্ট। মানসী বিবিসিকে তার একটি দুর্ভাবনার কথাই জানিয়েছে_ মূল্যস্ফীতির কারণে জমানো অর্থের প্রকৃত পরিমাণ কমে যাওয়া। বর্তমানে ভারতে মূল্যস্ফীতির হার ১৩.২ শতাংশ বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। কিন্তু ব্যাংকে অর্থ জমা রাখলে ২-৩ শতাংশের বেশি সুদ পাওয়া যায় না। অর্থনীতির সাধারণ হিসাব বলে যে বাজারদর যে হারে বাড়ে, ব্যাংকে জমা করা অর্থের জন্য তার চেয়ে কম সুদ পেলে আমানতকারীর লোকসান।
শুধু ভারতে নয়, এশিয়ার বিভিন্ন দেশেই এখন মূল্যস্ফীতির হার বেজায় চড়া। পাকিস্তানে এ হার ১১.৭ শতাংশ এবং ভিয়েতনামে ৯.২ শতাংশ। বাংলাদেশেও এ হার খুব চড়া। এক বছর আগে যে দামে বাজার থেকে যে জিনিস কিনেছেন এখন তার চেয়ে ১০-১২ শতাংশ এমনকি আরও বেশি হারে টাকা গুনতে হচ্ছে। পরিস্থিতি এ রকম :ব্যাংকে ১০০ টাকা জমা রেখে বছর শেষে সুদসহ আপনি পেলেন ১০৩ টাকা, কিন্তু এক বছর আগে যে পণ্যটি কিনেছিলেন ১০০ টাকায়, তা কিনতে হলো ১১২ টাকায়। অর্থাৎ আপনার মাথায় পড়বে হাত। পরিবারের আয় পর্যাপ্ত হলে আপনাকে তেমন উদ্বেগে পড়তে হবে না, কিন্তু দরিদ্র পরিবারগুলোর অবস্থা শোচনীয়।
দ্রব্যমূল্যের কশাঘাতে জর্জরিত এশিয়ার কিন্তু আরেকটি চিত্রও তুলে ধরেছে বিবিসি_ বিভিন্ন দেশে বিপুলসংখ্যক মধ্যবিত্তের সৃষ্টি। তাদের বেতন বাড়ছে তো বাড়ছেই। কেবল চাকরিজীবী যারা তাদের হাতেও এমন পরিমাণ অর্থ আসছে যা খাটানোর কথা ভাবতে হচ্ছে। বলা যায়, প্রতিটি দেশেই লাখ লাখ নারী-পুরুষকে আর্থিক বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। তাদের ভাবনায় এখন কোথায় অর্থ খাটালে বছর শেষে প্রকৃত পরিমাণ কমে যাবে না, বরং কিছুটা বাড়বে।
ভারতে এমন লাখ লাখ পরিবার রয়েছে যারা হাতে টাকা এলেই সোনা কিনে রাখে। এমনকি নিম্নবিত্ত পরিবারেও অলঙ্কারের প্রতি দারুণ আগ্রহ। কিন্তু বিবিসির পরামর্শ কি জানেন? তারা বলছে, শেয়ার ও ইক্যুইটির বাজারে টাকা খাটান। এখানে এমনকি ২৫ শতাংশ পর্যন্ত আয় বাড়ার নিশ্চয়তা রয়েছে। কি পরামর্শটা মনে ধরেছে?
বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে টাকা খাটিয়ে অনেক অনেক লোক গত বছর সর্বস্বান্ত হয়েছে। তাদের অনেক লাভের আশায় এমনকি স্বর্ণালঙ্কারও বিক্রি করে শেয়ারবাজারে টাকা খাটিয়েছিল। কিন্তু ফটকা খেলায় পারদর্শীদের কাছে তারা এঁটে উঠতে পারেনি। একশ' টাকা বিনিয়োগ করে যারা বছর শেষে দেড়শ' বা দুইশ' টাকা পেতে চেয়েছে তারা হঠাৎ করেই দেখতে পেল একশ' টাকায় কেনা শেয়ারের দাম ৫০ টাকায় নেমে এসেছে। যিনি পাঁচ-দশ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন, তার 'তেমন লোকসান হয়নি'। কিন্তু যিনি দশ লাখ টাকা খাটিয়েছেন, তার তো মরণদশা!
ভারতের শেয়ারবাজারেও কয়েক বছর আগে এমন সংকট দেখা দিয়েছিল। কিন্তু তা স্থায়ী হয়নি। সেখানে অর্থনীতিতে সমৃদ্ধির ছাপ স্পষ্ট। প্রবৃদ্ধির হার দশ শতাংশের কাছাকাছি। মধ্যবিত্ত সংখ্যা বাংলাদেশের মোট লোকসংখ্যার দ্বিগুণের কম হবে না। আমাদের অর্থনীতির ভিত যে বড়ই দুর্বল! তার ওপর রয়েছে ফটকাবাজদের দাপট! তাই শেয়ারবাজারে ফের ভিড় জমাতে ভাবুন হাজারবার!!
শুধু ভারতে নয়, এশিয়ার বিভিন্ন দেশেই এখন মূল্যস্ফীতির হার বেজায় চড়া। পাকিস্তানে এ হার ১১.৭ শতাংশ এবং ভিয়েতনামে ৯.২ শতাংশ। বাংলাদেশেও এ হার খুব চড়া। এক বছর আগে যে দামে বাজার থেকে যে জিনিস কিনেছেন এখন তার চেয়ে ১০-১২ শতাংশ এমনকি আরও বেশি হারে টাকা গুনতে হচ্ছে। পরিস্থিতি এ রকম :ব্যাংকে ১০০ টাকা জমা রেখে বছর শেষে সুদসহ আপনি পেলেন ১০৩ টাকা, কিন্তু এক বছর আগে যে পণ্যটি কিনেছিলেন ১০০ টাকায়, তা কিনতে হলো ১১২ টাকায়। অর্থাৎ আপনার মাথায় পড়বে হাত। পরিবারের আয় পর্যাপ্ত হলে আপনাকে তেমন উদ্বেগে পড়তে হবে না, কিন্তু দরিদ্র পরিবারগুলোর অবস্থা শোচনীয়।
দ্রব্যমূল্যের কশাঘাতে জর্জরিত এশিয়ার কিন্তু আরেকটি চিত্রও তুলে ধরেছে বিবিসি_ বিভিন্ন দেশে বিপুলসংখ্যক মধ্যবিত্তের সৃষ্টি। তাদের বেতন বাড়ছে তো বাড়ছেই। কেবল চাকরিজীবী যারা তাদের হাতেও এমন পরিমাণ অর্থ আসছে যা খাটানোর কথা ভাবতে হচ্ছে। বলা যায়, প্রতিটি দেশেই লাখ লাখ নারী-পুরুষকে আর্থিক বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। তাদের ভাবনায় এখন কোথায় অর্থ খাটালে বছর শেষে প্রকৃত পরিমাণ কমে যাবে না, বরং কিছুটা বাড়বে।
ভারতে এমন লাখ লাখ পরিবার রয়েছে যারা হাতে টাকা এলেই সোনা কিনে রাখে। এমনকি নিম্নবিত্ত পরিবারেও অলঙ্কারের প্রতি দারুণ আগ্রহ। কিন্তু বিবিসির পরামর্শ কি জানেন? তারা বলছে, শেয়ার ও ইক্যুইটির বাজারে টাকা খাটান। এখানে এমনকি ২৫ শতাংশ পর্যন্ত আয় বাড়ার নিশ্চয়তা রয়েছে। কি পরামর্শটা মনে ধরেছে?
বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে টাকা খাটিয়ে অনেক অনেক লোক গত বছর সর্বস্বান্ত হয়েছে। তাদের অনেক লাভের আশায় এমনকি স্বর্ণালঙ্কারও বিক্রি করে শেয়ারবাজারে টাকা খাটিয়েছিল। কিন্তু ফটকা খেলায় পারদর্শীদের কাছে তারা এঁটে উঠতে পারেনি। একশ' টাকা বিনিয়োগ করে যারা বছর শেষে দেড়শ' বা দুইশ' টাকা পেতে চেয়েছে তারা হঠাৎ করেই দেখতে পেল একশ' টাকায় কেনা শেয়ারের দাম ৫০ টাকায় নেমে এসেছে। যিনি পাঁচ-দশ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন, তার 'তেমন লোকসান হয়নি'। কিন্তু যিনি দশ লাখ টাকা খাটিয়েছেন, তার তো মরণদশা!
ভারতের শেয়ারবাজারেও কয়েক বছর আগে এমন সংকট দেখা দিয়েছিল। কিন্তু তা স্থায়ী হয়নি। সেখানে অর্থনীতিতে সমৃদ্ধির ছাপ স্পষ্ট। প্রবৃদ্ধির হার দশ শতাংশের কাছাকাছি। মধ্যবিত্ত সংখ্যা বাংলাদেশের মোট লোকসংখ্যার দ্বিগুণের কম হবে না। আমাদের অর্থনীতির ভিত যে বড়ই দুর্বল! তার ওপর রয়েছে ফটকাবাজদের দাপট! তাই শেয়ারবাজারে ফের ভিড় জমাতে ভাবুন হাজারবার!!
No comments