গদ্যকার্টুন-মাত্র দুই মাস লেট by আনিসুল হক
একটা গল্প বলি। যমজ বাচ্চা পেটে নিয়ে এক মহিলা ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে। ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫০ মিনিটে তাঁর একটা বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হলো। আরেকটা বাচ্চা হলো ১৫ মিনিট পর। ততক্ষণে ১১টা ৫৯ মিনিটে ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে ১০টা ৫৯ মিনিট করা হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের বার্থ সার্টিফিকেটে লিখল বড়টা জন্মেছে ১১টা ৫০ মিনিটে, আর ছোটটা ১১টা পাঁচে।
ঘটনাটি বানিয়ে বললাম। এ রকম তো হতেই পারে। কিন্তু এই গদ্যকার্টুনটির উদ্দেশ্য হলো, সরকারকে ধন্যবাদ দেওয়া। অবশেষে সরকার বাস্তবতা, জনগণের চাওয়া আর সংবাদপত্রের লেখাগুলো আমলে নিয়েছে। ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে দিয়েছে।
তার মানে সরকার জনগণের কথা শোনে। দেরিতে হলেও শোনে। তবে একটু দেরি হয়। অক্টোবরে যা ঘটার কথা ছিল, তা ঘটে ডিসেম্বরের শেষে। মানে সরকার মাত্র দুই মাস লেট।
এ বিষয়ে ভানুর কৌতুকটা আগে বলে নিই। ভানুর ছেলের প্রেমিকা এসে ভানুর কাছে ছেলের খোঁজ করছে। ‘আপনার ছেলে কই? ওর এখানে আসার কথা সাতটায়। এখন বাজে সাড়ে সাত। কই, ও তো আসছে না!’
ভানু বললেন, ‘মা, তুমি নয়টায় আসো।’
‘নয়টায় কেন? ওর তো সাতটায় আসার কথা।’
‘মা, ওর জন্মের সময় ঠিক ছিল ১০টা, কিন্তু জন্মেছে ১২টায়। ওই যে জন্মের সময় ওর দুই ঘণ্টা লেট হলো, সারাটা জীবনে ও আর ওই দুই ঘণ্টা কভার করতে পারল না। সাতটায় আসার কথা। ও নয়টায় ঠিক এসে যাবে।’
এই সরকারেরও ক্ষমতায় আসতে দেরি হয়েছে দুই বছর। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার যদি ঠিক সময়ে একটা গ্রহণযোগ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিত এবং সঠিক সময়ে নির্বাচনটা হতো, তাহলে তো এঁরা দুই বছর আগেই ক্ষমতাটা পেয়ে যেতেন। সেই যে দুই বছর ক্ষমতা নিতে দেরি হলো, সেটা কভার করতে যদি দুই মাস সময় লাগে, তাহলে সেটাকে যথেষ্টই ভালো বলতে হবে।
অক্টোবরে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শীতকালীন সময় চালু করা যায়নি, তার কারণ নাকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ছিলেন না। তাঁর অনুপস্থিতিতে এত বড় একটা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নাকি বাকিরা নিতে পারেননি।
জানি না, এই অনুমান সত্য কি না। তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগের এই উন্নতির যুগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ কি এতই কঠিন? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য?
রস+আলোয় প্রকাশিত একটা কৌতুক আগে বলে নিই।
দুই মহিলা গল্প করছেন।
‘তোমার ছেলে নাকি বিদেশে পড়তে গেছে? কোন বিষয়ে?’
‘হ্যাঁ, ও তথ্য ও যোগাযোগের ওপরে পিএইচডি করছে।’
‘বাহ্। তা সে কি বিয়ে করেছে? আছে কেমন?’
‘কীভাবে বলি? সে তো চিঠিও লেখে না, মেইলও করে না, ফোনও করে না।’
তবে সরকার জিনিসটা আসলে একটু ধীরগতিরই হয়ে থাকে। কারণ তার অনেক পা। অনেক পা নিয়ে যে চলে, তার পক্ষে বেশি জোরে চলা খুব কঠিন।
একবার জীবজন্তুরা ফুটবল প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হলো। সব খেলোয়াড়ই হাজির। এমনকি কচ্ছপও তার জার্সি পরে মাঠে নেমে গা-গরম করছে। শুধু কেন্নো আসছে না। অনেক পরে হাজির হলো কেন্নো। বলল, মিয়ারা, তোমাদের কয়টা পা? আমার পা এক শটা। এক শটা জুতার ফিতা বাঁধতে কী রকম টাইম লাগে ভাবো।
সরকারেরও অনেক পা থাকে। অনেক ফাইল থাকে। সেসব পায়ে জুতার ফিতা বাঁধা আর ফাইলের লাল ফিতার বাঁধন খোলা সময়সাপেক্ষ ব্যাপারই বটে।
তবে আমি সব সময়ই প্রশংসা করি বাংলাদেশের মানুষের নতুনকে গ্রহণ করার প্রতিভার বিষয়ে। এই যে পরিবর্তনটা, এটা এই দেশের মানুষ এত সহজেই নিতে পেরেছে যে, কোথাও কোনো অসুবিধার খবর শোনা যায়নি। শুধু ওই কৌতুককর ঘটনাটা ছাড়া। যে এক লোক সারা রাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ছিল, কই কাঁটার যে এক ঘণ্টা নড়ে যাওয়ার কথা, নড়ল না তো। আমার মনে হয়, এটা বাস্তবে ঘটেনি। রসিক বাঙালি কৌতুকটা ম্যানুফ্যাকচার করেছে।
পৃথিবীর অনেক দেশেই কিন্তু সময় পরিবর্তন নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছে। এসব ঝামেলার কিছু এর আগে আরেকটা গদ্যকার্টুনে বলেছিলাম। আজকে আরও দুই-একটা বলি।
আমেরিকায় ঘড়ির কাঁটা বদলানো হয় রাত দুটোয়। যখন সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়, তখন সব ট্রেন থেমে যায়। এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর ট্রেন আবার চলতে শুরু করে। কারণ ট্রেন ছাড়বে ও পৌঁছাবে মুদ্রিত টাইমটেবল অনুযায়ী। সে তো এক ঘণ্টা আগে ছাড়তেও পারবে না, পৌঁছাতেও পারবে না।
আর আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন বছরে যে রাতে সময় এগিয়ে আনা হয়, অর্থাত্ রাত দুটোকে তিনটা বাজিয়ে দেওয়া হয়, সে রাতে গন্ডগোল হয়। বিশেষভাবে গন্ডগোল হয়েছিল ওহিও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়, ওই রাতে বার কেন এক ঘণ্টা কম খোলা থাকবে, এর প্রতিবাদে এক হাজার ছাত্র পুলিশ স্টেশনে গিয়ে ব্যাপকভাবে বোতল ছুড়ে মেরেছিল।
আর একটা সন্ত্রাসী নাকি টাইমবোমা নিয়ে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে এনেছিল। তার টাইমবোমা ফাটার কথা পাঁচটায়। সেটা সে পাঁচটার খানিক আগে একটা ব্যাংকে রেখে আসবে। কিন্তু ওটা তার হাতেই চারটার সময় ফেটে যায়। কারণ ব্যাংকে যখন চারটা, বোমার ঘড়িতে তখন আগের সময় অনুযায়ী পাঁচটা বেজে গেছে।
আমাদের কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে চট্টগ্রামগামী রাত ১১টার ট্রেন এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে ৩১ ডিসেম্বর রাতের দ্বিতীয়বারের মতো আসা ১১টায় ছেড়েছিল।
ওদিকে ধরা যাক, বিমানবন্দর স্টেশনের যাত্রীরা বুঝতেই পারছিলেন না ট্রেন আসে না কেন! এক ঘণ্টা পরে ট্রেন যথারীতি আসে। ফলে ওই রাতে কোনো যাত্রী ট্রেন ফেল করেনি। কিন্তু গত বছর ১ এপ্রিল সকালে যখন ট্রেন নতুন সময় অনুযায়ী ছেড়ে যায়, অনেকেই পুরোনো সময় ধরে গিয়ে ট্রেন মিস করেছিলেন।
এবার এ ঘটনা ঘটতে পারে বিমানবন্দরে। আমরা যদি ১১টার প্লেন ধরতে ১১টাতেই যাই, আগের ঘড়ি মেনে প্লেন কিন্তু এক ঘণ্টা আগেই চলে যেতে পারে। কাজেই যাত্রীরা, সাবধান!
আমরা ট্রেন মিস করতে চাই না। প্লেনও মিস করতে চাই না।
আর জাতি হিসেবেও এগিয়ে যাওয়ার, উন্নত হওয়ার যে ট্রেনটা আমাদের জন্য প্রস্তুত, সেটা যেন আমরা আরও একবার মিস না করি।
আনিসুল হক: সাহিত্যিক, সাংবাদিক।
ঘটনাটি বানিয়ে বললাম। এ রকম তো হতেই পারে। কিন্তু এই গদ্যকার্টুনটির উদ্দেশ্য হলো, সরকারকে ধন্যবাদ দেওয়া। অবশেষে সরকার বাস্তবতা, জনগণের চাওয়া আর সংবাদপত্রের লেখাগুলো আমলে নিয়েছে। ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে দিয়েছে।
তার মানে সরকার জনগণের কথা শোনে। দেরিতে হলেও শোনে। তবে একটু দেরি হয়। অক্টোবরে যা ঘটার কথা ছিল, তা ঘটে ডিসেম্বরের শেষে। মানে সরকার মাত্র দুই মাস লেট।
এ বিষয়ে ভানুর কৌতুকটা আগে বলে নিই। ভানুর ছেলের প্রেমিকা এসে ভানুর কাছে ছেলের খোঁজ করছে। ‘আপনার ছেলে কই? ওর এখানে আসার কথা সাতটায়। এখন বাজে সাড়ে সাত। কই, ও তো আসছে না!’
ভানু বললেন, ‘মা, তুমি নয়টায় আসো।’
‘নয়টায় কেন? ওর তো সাতটায় আসার কথা।’
‘মা, ওর জন্মের সময় ঠিক ছিল ১০টা, কিন্তু জন্মেছে ১২টায়। ওই যে জন্মের সময় ওর দুই ঘণ্টা লেট হলো, সারাটা জীবনে ও আর ওই দুই ঘণ্টা কভার করতে পারল না। সাতটায় আসার কথা। ও নয়টায় ঠিক এসে যাবে।’
এই সরকারেরও ক্ষমতায় আসতে দেরি হয়েছে দুই বছর। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার যদি ঠিক সময়ে একটা গ্রহণযোগ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিত এবং সঠিক সময়ে নির্বাচনটা হতো, তাহলে তো এঁরা দুই বছর আগেই ক্ষমতাটা পেয়ে যেতেন। সেই যে দুই বছর ক্ষমতা নিতে দেরি হলো, সেটা কভার করতে যদি দুই মাস সময় লাগে, তাহলে সেটাকে যথেষ্টই ভালো বলতে হবে।
অক্টোবরে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শীতকালীন সময় চালু করা যায়নি, তার কারণ নাকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ছিলেন না। তাঁর অনুপস্থিতিতে এত বড় একটা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নাকি বাকিরা নিতে পারেননি।
জানি না, এই অনুমান সত্য কি না। তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগের এই উন্নতির যুগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ কি এতই কঠিন? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য?
রস+আলোয় প্রকাশিত একটা কৌতুক আগে বলে নিই।
দুই মহিলা গল্প করছেন।
‘তোমার ছেলে নাকি বিদেশে পড়তে গেছে? কোন বিষয়ে?’
‘হ্যাঁ, ও তথ্য ও যোগাযোগের ওপরে পিএইচডি করছে।’
‘বাহ্। তা সে কি বিয়ে করেছে? আছে কেমন?’
‘কীভাবে বলি? সে তো চিঠিও লেখে না, মেইলও করে না, ফোনও করে না।’
তবে সরকার জিনিসটা আসলে একটু ধীরগতিরই হয়ে থাকে। কারণ তার অনেক পা। অনেক পা নিয়ে যে চলে, তার পক্ষে বেশি জোরে চলা খুব কঠিন।
একবার জীবজন্তুরা ফুটবল প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হলো। সব খেলোয়াড়ই হাজির। এমনকি কচ্ছপও তার জার্সি পরে মাঠে নেমে গা-গরম করছে। শুধু কেন্নো আসছে না। অনেক পরে হাজির হলো কেন্নো। বলল, মিয়ারা, তোমাদের কয়টা পা? আমার পা এক শটা। এক শটা জুতার ফিতা বাঁধতে কী রকম টাইম লাগে ভাবো।
সরকারেরও অনেক পা থাকে। অনেক ফাইল থাকে। সেসব পায়ে জুতার ফিতা বাঁধা আর ফাইলের লাল ফিতার বাঁধন খোলা সময়সাপেক্ষ ব্যাপারই বটে।
তবে আমি সব সময়ই প্রশংসা করি বাংলাদেশের মানুষের নতুনকে গ্রহণ করার প্রতিভার বিষয়ে। এই যে পরিবর্তনটা, এটা এই দেশের মানুষ এত সহজেই নিতে পেরেছে যে, কোথাও কোনো অসুবিধার খবর শোনা যায়নি। শুধু ওই কৌতুককর ঘটনাটা ছাড়া। যে এক লোক সারা রাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ছিল, কই কাঁটার যে এক ঘণ্টা নড়ে যাওয়ার কথা, নড়ল না তো। আমার মনে হয়, এটা বাস্তবে ঘটেনি। রসিক বাঙালি কৌতুকটা ম্যানুফ্যাকচার করেছে।
পৃথিবীর অনেক দেশেই কিন্তু সময় পরিবর্তন নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছে। এসব ঝামেলার কিছু এর আগে আরেকটা গদ্যকার্টুনে বলেছিলাম। আজকে আরও দুই-একটা বলি।
আমেরিকায় ঘড়ির কাঁটা বদলানো হয় রাত দুটোয়। যখন সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়, তখন সব ট্রেন থেমে যায়। এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর ট্রেন আবার চলতে শুরু করে। কারণ ট্রেন ছাড়বে ও পৌঁছাবে মুদ্রিত টাইমটেবল অনুযায়ী। সে তো এক ঘণ্টা আগে ছাড়তেও পারবে না, পৌঁছাতেও পারবে না।
আর আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন বছরে যে রাতে সময় এগিয়ে আনা হয়, অর্থাত্ রাত দুটোকে তিনটা বাজিয়ে দেওয়া হয়, সে রাতে গন্ডগোল হয়। বিশেষভাবে গন্ডগোল হয়েছিল ওহিও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়, ওই রাতে বার কেন এক ঘণ্টা কম খোলা থাকবে, এর প্রতিবাদে এক হাজার ছাত্র পুলিশ স্টেশনে গিয়ে ব্যাপকভাবে বোতল ছুড়ে মেরেছিল।
আর একটা সন্ত্রাসী নাকি টাইমবোমা নিয়ে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে এনেছিল। তার টাইমবোমা ফাটার কথা পাঁচটায়। সেটা সে পাঁচটার খানিক আগে একটা ব্যাংকে রেখে আসবে। কিন্তু ওটা তার হাতেই চারটার সময় ফেটে যায়। কারণ ব্যাংকে যখন চারটা, বোমার ঘড়িতে তখন আগের সময় অনুযায়ী পাঁচটা বেজে গেছে।
আমাদের কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে চট্টগ্রামগামী রাত ১১টার ট্রেন এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে ৩১ ডিসেম্বর রাতের দ্বিতীয়বারের মতো আসা ১১টায় ছেড়েছিল।
ওদিকে ধরা যাক, বিমানবন্দর স্টেশনের যাত্রীরা বুঝতেই পারছিলেন না ট্রেন আসে না কেন! এক ঘণ্টা পরে ট্রেন যথারীতি আসে। ফলে ওই রাতে কোনো যাত্রী ট্রেন ফেল করেনি। কিন্তু গত বছর ১ এপ্রিল সকালে যখন ট্রেন নতুন সময় অনুযায়ী ছেড়ে যায়, অনেকেই পুরোনো সময় ধরে গিয়ে ট্রেন মিস করেছিলেন।
এবার এ ঘটনা ঘটতে পারে বিমানবন্দরে। আমরা যদি ১১টার প্লেন ধরতে ১১টাতেই যাই, আগের ঘড়ি মেনে প্লেন কিন্তু এক ঘণ্টা আগেই চলে যেতে পারে। কাজেই যাত্রীরা, সাবধান!
আমরা ট্রেন মিস করতে চাই না। প্লেনও মিস করতে চাই না।
আর জাতি হিসেবেও এগিয়ে যাওয়ার, উন্নত হওয়ার যে ট্রেনটা আমাদের জন্য প্রস্তুত, সেটা যেন আমরা আরও একবার মিস না করি।
আনিসুল হক: সাহিত্যিক, সাংবাদিক।
No comments