শিল্পকলার সাবেক পরিচালক মাঝরাতে নিজ বাসায় খুন
গভীর রাতে একদল সন্ত্রাসীর চাপাতির আঘাতে রাজধানীর উত্তর বাড্ডার পূর্বাচল এলাকায় নিজের বাসায় খুন হয়েছেন শিল্পকলা একাডেমীর সাবেক পরিচালক নজরুল হক (৫৮)। এ হামলায় তাঁর স্ত্রী সেলিনা হক ও ভাগ্নে এনামুল হক গুরুতর আহত হয়েছেন।
তাঁদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত রবিবার রাতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ কামাল নামে নিহত নজরুল হকের এক প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার এবং আরো চারজনকে আটক করেছে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র মতে, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
নজরুল হকের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে। তিনি গত বছর চাকরি থেকে অবসর নেন। ১৯৮৪ সালে জমি কিনে ১৯৮৬ সালের দিকে উত্তর বাড্ডার পূর্বাচল এলাকায় বাড়ি করেন। চারপাশে দেয়াল ঘেরা এ দোতলা ভবনের নিচতলায় তিনটি কক্ষে তিনজন ভাড়াটিয়া থাকেন। নজরুল হক নিজে বসবাস করতেন দ্বিতীয় তলায়। কয়েক মাস আগে তাঁর একমাত্র সন্তান ফারজানা আক্তার লোপার বিয়ে হয়েছে। লোপা একটি ব্যাংকে চাকরি করেন।
নিহত ব্যক্তির ভাতিজা মাহবুবুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, রবিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে একদল সন্ত্রাসী চাপাতি হাতে দোতলায় উঠে আসে। এ সময় নজরুল হক ও সেলিনা হক ঘুমিয়ে ছিলেন। সন্ত্রাসীরা ঘুমন্ত অবস্থাতেই তাঁদের ওপর চড়াও হয় এবং ছুরি-জাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। এ সময় পাশের কক্ষ থেকে বাধা দিতে এগিয়ে আসেন ভাগ্নে এনামুল। সন্ত্রাসীরা তাঁকেও আঘাত করে। আহত তিনজনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা চলে যায়।
দুই হাতের তালুতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতপ্রাপ্ত এনামুল হক জানান, সন্ত্রাসীরা মামা ও মামিকে আঘাত করছে দেখে তিনি এগিয়ে যান। এ সময় তারা তাঁকেও আঘাত করতে শুরু করলে তিনি ঘরের জানালার থাই গ্লাস খুলে লাফ দিয়ে পাশের বাড়ির টিনের ছাদে গিয়ে পড়েন। এরপর রতন নামের এক প্রতিবেশী তাঁকে দেখে এগিয়ে আসেন। রতন ও তিনি দুজন চিৎকার করে লোকজনকে ডাকতে থাকলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এরপর আরো প্রতিবেশী এসে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নজরুল হককে মৃত ঘোষণা করেন।
এনামুল হক অভিযোগ করেন, তাঁর মামা নজরুল হকের সঙ্গে বাড়ির সীমানাপ্রাচীর নিয়ে প্রতিবেশী একটি কারখানার মালিক কামালের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে কামাল তাঁর মামাকে খুন করার জন্য কয়েকবার হুমকিও দেন। হুমকির কারণে নজরুল হক থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন একাধিকবার। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে সে রকম সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। আর সেই বিরোধের জের ধরে কামাল ভাড়াটে খুনি দিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। ছয়-সাত মাস আগেও কামাল তাঁদের খুন করার হুমকি দিয়েছিলেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে নজরুল হকের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ঘরের প্রতিটি কক্ষে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। পাতিলের গায়ে রক্তের ছটা। রক্ত ছড়িয়ে আছে বারান্দার গ্রিলে, মেঝেতে, চারপাশের দেয়ালে, বাথরুমে। পরিবারের কেউ নেই বাসায়। সবাই হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে শুধু পুলিশ। বাইরের কাউকেই ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল জলিল ও উপকমিশনার লুৎফুল কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। পুরো বাড়িতে এভাবে রক্ত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকার চিহ্ন দেখে ধারণা করা যায়, হত্যাকাণ্ডের সময় নজরুল হক ও সেলিনা হক আত্মরক্ষার্থে এঘর থেকে ওঘরে ছোটাছুটি করেছেন।
উপকমিশনার লুৎফুল কবির জানান, পারিবারিকভাবে সীমানা বিরোধ নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে দাবি করা হলেও তাঁরা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নন। তদন্ত হলেই সব কিছু বের হয়ে আসবে।
বাড্ডা থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন কামালসহ পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে কামালকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকি চারজনই নজরুল হকের বাড়ির নিচতলার ভাড়াটিয়া। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিচতলার আটক ভাড়াটিয়া আবুল কালাম আজাদের নাতি হাসিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, পাঁচ মাস ধরে তাঁরা এ বাসায় ভাড়ায় থাকছেন। ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ১টার দিকে চিৎকার শুনে তাঁদের ঘুম ভেঙে যায়। এ সময় তাঁরা বাইরে বের হতে গিয়ে দেখেন দরজা ওপাশ থেকে কে বা কারা বন্ধ করে রেখেছে। এ কারণে তাঁরা বের হতে পারেননি। সকালে পুলিশ তাঁর নানাকে ধরে নিয়ে গেছে।
নিচতলার আরেক ভাড়াটিয়া রেজিয়া, তাঁর দুই ছেলে রুহুল আমিন ও আবু রায়হানকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। রেজিয়ার আরেক ছেলে রকি, মেয়ে জুয়েনা আর বোন মবিনা কালের কণ্ঠকে জানান, রাতে ঘটনার সময় তাঁরা কোনো চিৎকার বা শব্দ শোনেননি।
প্রতিবেশী আরিফুল ইসলামসহ কয়েকজন জানান, চিৎকার শুনে তাঁরা প্রথমে ভেবেছিলেন ডাকাতির ঘটনা। ডাকাত ভেতরে আছে ভেবে তাঁরা প্রথমেই পুরো বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। বাড়ির ফটকের কলাপসিবল গেট ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। এ সময় তাঁরা গেট ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখতে পান দোতলার বারান্দায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন নজরুল হক ও তাঁর স্ত্রী সেলিনা হক। দোতলায় তাঁদের বাসায় ঢোকার দরজাও তালাবদ্ধ ছিল। ভেতর থেকে সম্ভবত সেলিনা হকই তাঁদের চাবি ছুড়ে দেন। এরপর তালা খুলে ভেতরে ঢুকে তাঁদের আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। হামলাকারীরা সম্ভবত তাঁরা পেঁৗছার আগেই দেয়াল টপকে চলে যায়।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, এ বাড়ির সীমানা নিয়ে কামালের সঙ্গে নজরুলের মামলাও চলছিল। কামাল কয়েক মাস আগে নজরুল হকের মেয়ে লোপাকেও লাঞ্ছিত করেন। ওই সময়ও নজরুল হক থানায় জিডি করেছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আগের দিনই লোপা শ্বশুরবাড়ি যান। তিনি থাকলে সন্ত্রাসীরা তাঁকেও খুন করত বলে এলাকাবাসীর ধারণা।
গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গেলে নিহত ব্যক্তির স্বজনরা জানান, গুরুতর আহত সেলিনা হককে এখন পর্যন্ত তাঁর স্বামীর মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি। সেলিনা হক প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার চাচাতো বোন।
ফারজানা আক্তার লোপা কালের কণ্ঠকে জানান, কামালই পরিকল্পিতভাবে তাঁর বাবাকে খুন করেছেন। তাঁর মায়ের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে তিনি জানান।
এ ঘটনায় পুলিশ কামাল নামে নিহত নজরুল হকের এক প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার এবং আরো চারজনকে আটক করেছে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র মতে, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
নজরুল হকের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে। তিনি গত বছর চাকরি থেকে অবসর নেন। ১৯৮৪ সালে জমি কিনে ১৯৮৬ সালের দিকে উত্তর বাড্ডার পূর্বাচল এলাকায় বাড়ি করেন। চারপাশে দেয়াল ঘেরা এ দোতলা ভবনের নিচতলায় তিনটি কক্ষে তিনজন ভাড়াটিয়া থাকেন। নজরুল হক নিজে বসবাস করতেন দ্বিতীয় তলায়। কয়েক মাস আগে তাঁর একমাত্র সন্তান ফারজানা আক্তার লোপার বিয়ে হয়েছে। লোপা একটি ব্যাংকে চাকরি করেন।
নিহত ব্যক্তির ভাতিজা মাহবুবুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, রবিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে একদল সন্ত্রাসী চাপাতি হাতে দোতলায় উঠে আসে। এ সময় নজরুল হক ও সেলিনা হক ঘুমিয়ে ছিলেন। সন্ত্রাসীরা ঘুমন্ত অবস্থাতেই তাঁদের ওপর চড়াও হয় এবং ছুরি-জাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। এ সময় পাশের কক্ষ থেকে বাধা দিতে এগিয়ে আসেন ভাগ্নে এনামুল। সন্ত্রাসীরা তাঁকেও আঘাত করে। আহত তিনজনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা চলে যায়।
দুই হাতের তালুতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতপ্রাপ্ত এনামুল হক জানান, সন্ত্রাসীরা মামা ও মামিকে আঘাত করছে দেখে তিনি এগিয়ে যান। এ সময় তারা তাঁকেও আঘাত করতে শুরু করলে তিনি ঘরের জানালার থাই গ্লাস খুলে লাফ দিয়ে পাশের বাড়ির টিনের ছাদে গিয়ে পড়েন। এরপর রতন নামের এক প্রতিবেশী তাঁকে দেখে এগিয়ে আসেন। রতন ও তিনি দুজন চিৎকার করে লোকজনকে ডাকতে থাকলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এরপর আরো প্রতিবেশী এসে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নজরুল হককে মৃত ঘোষণা করেন।
এনামুল হক অভিযোগ করেন, তাঁর মামা নজরুল হকের সঙ্গে বাড়ির সীমানাপ্রাচীর নিয়ে প্রতিবেশী একটি কারখানার মালিক কামালের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে কামাল তাঁর মামাকে খুন করার জন্য কয়েকবার হুমকিও দেন। হুমকির কারণে নজরুল হক থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন একাধিকবার। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে সে রকম সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। আর সেই বিরোধের জের ধরে কামাল ভাড়াটে খুনি দিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। ছয়-সাত মাস আগেও কামাল তাঁদের খুন করার হুমকি দিয়েছিলেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে নজরুল হকের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ঘরের প্রতিটি কক্ষে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। পাতিলের গায়ে রক্তের ছটা। রক্ত ছড়িয়ে আছে বারান্দার গ্রিলে, মেঝেতে, চারপাশের দেয়ালে, বাথরুমে। পরিবারের কেউ নেই বাসায়। সবাই হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে শুধু পুলিশ। বাইরের কাউকেই ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল জলিল ও উপকমিশনার লুৎফুল কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। পুরো বাড়িতে এভাবে রক্ত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকার চিহ্ন দেখে ধারণা করা যায়, হত্যাকাণ্ডের সময় নজরুল হক ও সেলিনা হক আত্মরক্ষার্থে এঘর থেকে ওঘরে ছোটাছুটি করেছেন।
উপকমিশনার লুৎফুল কবির জানান, পারিবারিকভাবে সীমানা বিরোধ নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে দাবি করা হলেও তাঁরা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নন। তদন্ত হলেই সব কিছু বের হয়ে আসবে।
বাড্ডা থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন কামালসহ পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে কামালকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকি চারজনই নজরুল হকের বাড়ির নিচতলার ভাড়াটিয়া। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিচতলার আটক ভাড়াটিয়া আবুল কালাম আজাদের নাতি হাসিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, পাঁচ মাস ধরে তাঁরা এ বাসায় ভাড়ায় থাকছেন। ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ১টার দিকে চিৎকার শুনে তাঁদের ঘুম ভেঙে যায়। এ সময় তাঁরা বাইরে বের হতে গিয়ে দেখেন দরজা ওপাশ থেকে কে বা কারা বন্ধ করে রেখেছে। এ কারণে তাঁরা বের হতে পারেননি। সকালে পুলিশ তাঁর নানাকে ধরে নিয়ে গেছে।
নিচতলার আরেক ভাড়াটিয়া রেজিয়া, তাঁর দুই ছেলে রুহুল আমিন ও আবু রায়হানকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। রেজিয়ার আরেক ছেলে রকি, মেয়ে জুয়েনা আর বোন মবিনা কালের কণ্ঠকে জানান, রাতে ঘটনার সময় তাঁরা কোনো চিৎকার বা শব্দ শোনেননি।
প্রতিবেশী আরিফুল ইসলামসহ কয়েকজন জানান, চিৎকার শুনে তাঁরা প্রথমে ভেবেছিলেন ডাকাতির ঘটনা। ডাকাত ভেতরে আছে ভেবে তাঁরা প্রথমেই পুরো বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। বাড়ির ফটকের কলাপসিবল গেট ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। এ সময় তাঁরা গেট ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখতে পান দোতলার বারান্দায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন নজরুল হক ও তাঁর স্ত্রী সেলিনা হক। দোতলায় তাঁদের বাসায় ঢোকার দরজাও তালাবদ্ধ ছিল। ভেতর থেকে সম্ভবত সেলিনা হকই তাঁদের চাবি ছুড়ে দেন। এরপর তালা খুলে ভেতরে ঢুকে তাঁদের আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। হামলাকারীরা সম্ভবত তাঁরা পেঁৗছার আগেই দেয়াল টপকে চলে যায়।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, এ বাড়ির সীমানা নিয়ে কামালের সঙ্গে নজরুলের মামলাও চলছিল। কামাল কয়েক মাস আগে নজরুল হকের মেয়ে লোপাকেও লাঞ্ছিত করেন। ওই সময়ও নজরুল হক থানায় জিডি করেছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আগের দিনই লোপা শ্বশুরবাড়ি যান। তিনি থাকলে সন্ত্রাসীরা তাঁকেও খুন করত বলে এলাকাবাসীর ধারণা।
গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গেলে নিহত ব্যক্তির স্বজনরা জানান, গুরুতর আহত সেলিনা হককে এখন পর্যন্ত তাঁর স্বামীর মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি। সেলিনা হক প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার চাচাতো বোন।
ফারজানা আক্তার লোপা কালের কণ্ঠকে জানান, কামালই পরিকল্পিতভাবে তাঁর বাবাকে খুন করেছেন। তাঁর মায়ের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে তিনি জানান।
No comments