দুই দেশকেই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে-সীমান্ত সমস্যা
বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম দীর্ঘ সীমান্ত। আবার এই সীমান্তেই রয়েছে পৃথিবীর বৃহত্তম কাঁটাতারের বেড়া। গত ১০ বছরে এই সীমান্তে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সম্প্রতি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ফেলানী নামের এক কিশোরীর মৃত্যু ও তাঁর লাশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে থাকার ঘটনা
দেশবাসীর মনে ব্যথা ও ক্ষোভেরও জন্ম দিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে উভয় দেশের পক্ষ থেকে সীমান্ত সমস্যা সমাধানে উদ্যোগও লক্ষ করা গেছে। কেবল সরকারি পর্যায়েই নয়, দুই দেশেরই নাগরিক ও মানবাধিকার সংস্থার কর্মীরাও সমস্যাটি সমাধানে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত শনিবার ঢাকায় এ রকমই একটি মতবিনিময় সভায় দুই দেশের বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকারকর্মীরা সীমান্তে হত্যা-নির্যাতন বন্ধে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা একমত হয়েছেন যে, সীমান্ত সমস্যাটি মূলত অর্থনৈতিক। দুই দেশের সীমান্তবাসীই যার যার সরকারের উপেক্ষার শিকার। সে কারণেই দুই পারের মানুষ পরস্পরের ওপর অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। সীমান্ত এলাকায় কর্মসংস্থানের অভাবও মানুষকে সীমান্ত পেরিয়ে উপার্জনের পথে যেতে প্ররোচিত করে। জীবিকার তাগিদেই তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই সীমান্ত পাড়ি দেয়। দুর্ভাগ্য হলো, এসব ভাগ্যসন্ধানী নিরীহ মানুষ ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ‘দেখামাত্রই গুলি নীতি’র শিকার হয়। শুধু গুলিই নয়, সীমান্ত পারাপারের সময় দরিদ্র নারীদের পাচার-নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে। অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার বেআইনি কাজ বটে, কিন্তু এর জন্য বিনা বিচারে গুলি করে হত্যা কোনোভাবেই গ্রহণীয় নয়।
সীমান্তে চোরাচালানও এক বাস্তবতা। বিশেষত ভারতীয় গরু আনা নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই দেশই যেহেতু এই অবৈধ বাণিজ্যের ফলভোগী, সেহেতু সীমান্ত-বাণিজ্যকে আইনসংগত উপায়ে চলতে দিলে অসুবিধা কোথায়? সে কারণেই মতবিনিময় সভার সাউথ এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটসের সাধারণ সম্পাদক তপন বোসও বলেন, দুই দেশের সরকারই সীমান্তের মানুষকে ‘সৎছেলেমেয়ে’র মতো দেখে। এ অবস্থার পরিবর্তনে সীমান্ত এলাকায় কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাড়ানো জরুরি। প্রয়োজনে খুদে ব্যবসায়ীদের অস্থায়ী পাসপোর্ট ও ভিসা এবং পারমিট দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে মানব পাচারও এক পুরোনো সমস্যা। এরও সমাধান চাই।
বিশেষজ্ঞরা একমত হয়েছেন যে, সীমান্ত সমস্যাটি মূলত অর্থনৈতিক। দুই দেশের সীমান্তবাসীই যার যার সরকারের উপেক্ষার শিকার। সে কারণেই দুই পারের মানুষ পরস্পরের ওপর অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। সীমান্ত এলাকায় কর্মসংস্থানের অভাবও মানুষকে সীমান্ত পেরিয়ে উপার্জনের পথে যেতে প্ররোচিত করে। জীবিকার তাগিদেই তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই সীমান্ত পাড়ি দেয়। দুর্ভাগ্য হলো, এসব ভাগ্যসন্ধানী নিরীহ মানুষ ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ‘দেখামাত্রই গুলি নীতি’র শিকার হয়। শুধু গুলিই নয়, সীমান্ত পারাপারের সময় দরিদ্র নারীদের পাচার-নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে। অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার বেআইনি কাজ বটে, কিন্তু এর জন্য বিনা বিচারে গুলি করে হত্যা কোনোভাবেই গ্রহণীয় নয়।
সীমান্তে চোরাচালানও এক বাস্তবতা। বিশেষত ভারতীয় গরু আনা নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই দেশই যেহেতু এই অবৈধ বাণিজ্যের ফলভোগী, সেহেতু সীমান্ত-বাণিজ্যকে আইনসংগত উপায়ে চলতে দিলে অসুবিধা কোথায়? সে কারণেই মতবিনিময় সভার সাউথ এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটসের সাধারণ সম্পাদক তপন বোসও বলেন, দুই দেশের সরকারই সীমান্তের মানুষকে ‘সৎছেলেমেয়ে’র মতো দেখে। এ অবস্থার পরিবর্তনে সীমান্ত এলাকায় কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাড়ানো জরুরি। প্রয়োজনে খুদে ব্যবসায়ীদের অস্থায়ী পাসপোর্ট ও ভিসা এবং পারমিট দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে মানব পাচারও এক পুরোনো সমস্যা। এরও সমাধান চাই।
No comments