জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়-মুক্তমঞ্চে হামলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাধা
মাঝেমধ্যেই সংবাদ শিরোনাম হয়ে ওঠে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। কখনো সৌন্দর্যের অলংকার জড়িয়ে, কখনো কলঙ্ককালিমা গায়ে মেখে। প্রথমটি আনন্দের, দ্বিতীয়টি পরিতাপের। সৌন্দর্যের দিক থেকে পাখি আর প্রকৃতির কথাই বেশি ছাপা হয়।
মানুষের প্রসঙ্গ এলেই উপচে ওঠে রাশি রাশি কলঙ্ক ও আবর্জনা; এই মানুষগুলোর সংখ্যা অবশ্য কম, কিন্তু এতই ময়লামণ্ডিত যে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত এদের কুৎসিত দুর্গন্ধের খ্যাতি। সমপ্রতি এ রকমই একটি ঘটনা ঘটেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে। ২৬ জানুয়ারি ২০১১ ছিল জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার আয়োজিত নাট্য পার্বণের দশম ও শেষ দিন। ঢাকা থেকে আমন্ত্রিত নাট্যদল তখন অভিনয়ের জন্য প্রস্তুত, পাশাপাশি চলছিল নাট্যজনদের সম্মাননা দেওয়ার প্রস্তুতি। তখনই ছাত্রলীগের একদল সশস্ত্র কর্মী মুক্তমঞ্চে হামলা চালায় এবং মঞ্চের সব লাইট ভেঙে দেয়। আমরা এ ঘটনায় স্তম্ভিত, ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। আক্রমণকারীদের প্রতি তীব্র ঘৃণা জানাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ বছরের ইতিহাসে এ ধরনের আক্রমণ সংঘটিত হয়েছে কি না সন্দেহ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি প্রগতিশীল শিক্ষার্থী জানেন, একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে ‘মুক্তমঞ্চ’ তাঁদের জীবনে কতটা গভীর জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক উৎকর্ষের উপাদান জুগিয়েছে। মুক্তমঞ্চে প্রতিবছর অন্তত চারটি নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব হয় বিভিন্ন নামে ও আয়োজনে। মূলত বছরজুড়েই থাকে নানা আয়োজন। এই মঞ্চ থেকে সামরিক স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংঘটিত হয়েছে সোচ্চার প্রতিরোধ, সব সময় এখান থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে জোট বাঁধার আহ্বান জানানো হয়। শ্রেণীকক্ষের বাইরে শিক্ষালাভের উৎস হিসেবে প্রত্যেকেই এই মুক্তমঞ্চকে স্মরণ করে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ বর্ষপূর্তি উৎসবেও একই ধরনের স্মৃতিচারণা করতে দেখা গেল প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের।
কিন্তু বর্তমানে মুক্তমঞ্চকেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা সহজ নয়। প্রশাসনিক বিধিনিষেধ ও নিয়ন্ত্রণের জবরদস্তি সংগঠনগুলোকে আহত করছে। প্রশাসন নিজেই একবার প্রক্টরিয়াল লর নামে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নিয়ন্ত্রণ কায়েমের অপচেষ্টা চালিয়েছিল, কিন্তু সফল হয়নি। আবৃত্তি সংগঠন ধ্বনির কক্ষে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে অল্প কিছুদিন আগে। সর্বশেষ অনুষ্ঠান চলাকালে ঘটল ছাত্রলীগের সন্ত্রাস। ভাঙা হলো আলোকসজ্জা, আতঙ্কিত হলো দর্শকমণ্ডলী। প্রহূত হলেন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী। সত্য এই যে প্রগতিশীলতা আর মুক্তিযুদ্ধের স্তবগান করা রাজনৈতিক দলের লেজুড় বাহিনী স্তব্ধ করে দিয়েছে মুক্তমঞ্চের আনন্দ-উচ্ছ্বাস।
যত দূর শুনেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাব্যক্তিরা জানতেন যে ঘটনার দিন দুপুর থেকেই দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তাঁরা কি কোনো ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন? প্রশাসনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ গ্রুপগুলোর নিজস্ব আধিপত্য অর্জনের যুদ্ধ কেন ত্রাস ছড়াবে? সবারই জানা, গ্রুপগুলোর সঙ্গে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর কোনো প্রতিদ্ব্বন্দ্বিতামূলক সম্পর্ক নেই। বরাবরই সাংস্কৃতিক কর্মীরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভালোবাসা ও সম্মান পেয়ে এসেছেন। দলগুলোর উৎসব-আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আয়োজনের অনুমতি দান ছাড়া আর বড় কোনো আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে না বলেই জানি। সংগঠনগুলো নিজ যোগ্যতায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত সহায়তার ওপর নির্ভর করেই উৎসব পরিচালনা করে থাকে। ২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠানস্থলে যেসব মূল্যবান সামগ্রী ভাঙা হয়েছে, তা ভাড়া করা; এসবের দায়িত্ব কে নেবে? তবে কি প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা দানে ব্যর্থ? প্রশাসন কি ছাত্রসংগঠনগুলোর কাছে নতজানু? কিংবা প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিরোধিতায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রশাসনের কি গোপন সায় আছে?
আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্রমেই সরকারি দখলবাজদের চরাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। সরকার বদল ঘটে আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ঘটতে থাকে উপাচার্যবদল, শিক্ষকদের মার্কাবদল। ছাত্রসংগঠনগুলোতে ঘটতে থাকে দলবদল আর হলগুলো ভরে ওঠে লাঠিয়াল-পাহারাদারে। অনুগত উপাচার্যদের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব আর সরকারি ছাত্রসংগঠনগুলোর তাণ্ডবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জ্ঞানসৃষ্টি, চর্চা ও বিকাশের মুক্ত পথ খুঁজে পায় না। দেশের অন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ও রাজনৈতিক ধান্দাবাজি থেকে মুক্ত নয়। অথচ এটি তো বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমান বয়সী এক বিশ্ববিদ্যালয়। মুক্তিযুদ্ধের, মুক্ত চেতনার, প্রগতির সবিস্তার জয় ঘোষণা এখানেই ঘটার কথা। কিন্তু ঘটছে না। জানি না ঘটবে কি না। ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ ধারণাটিই তো মূলত মুক্তমঞ্চের, মুক্ত ভূমির, মুক্ত জ্ঞানচর্চার শিক্ষা দেয়।
আমাদের প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর কার্যক্রম গতিশীল রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। ক্ষতিগ্রস্ত সংগঠনের সহমর্মী হয়ে পাশে দাঁড়াবে। এটুকু ভুলে গেলে চলবে না, পাকিস্তানি জামানায় সংগঠনগুলো সাংস্কৃতিক লড়াই জারি রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিল।
প্রশাসনের মনে রাখা জরুরি যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর বাংলাদেশের সক্রিয়তম বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে ধর্মকেন্দ্রিক রাজনীতির উগ্র রূপকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়নি কিংবা মেনে নেওয়া হয়নি নিপীড়নের ধারাবাহিক পর্ব-পর্বান্তর; প্রতিরোধ তৈরি হয়েছে, ‘মুক্তমঞ্চ’ হয়ে উঠেছে প্রতিরোধের অনিবার্য প্রতীক। ক্রমবর্ধমান দলীয় নিপীড়ন ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে তীব্র ক্ষোভ জমিয়ে তুলছে, তা যেকোনো সময়ই বৃহৎ আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
লেখকবৃন্দ: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ বছরের ইতিহাসে এ ধরনের আক্রমণ সংঘটিত হয়েছে কি না সন্দেহ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি প্রগতিশীল শিক্ষার্থী জানেন, একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে ‘মুক্তমঞ্চ’ তাঁদের জীবনে কতটা গভীর জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক উৎকর্ষের উপাদান জুগিয়েছে। মুক্তমঞ্চে প্রতিবছর অন্তত চারটি নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব হয় বিভিন্ন নামে ও আয়োজনে। মূলত বছরজুড়েই থাকে নানা আয়োজন। এই মঞ্চ থেকে সামরিক স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংঘটিত হয়েছে সোচ্চার প্রতিরোধ, সব সময় এখান থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে জোট বাঁধার আহ্বান জানানো হয়। শ্রেণীকক্ষের বাইরে শিক্ষালাভের উৎস হিসেবে প্রত্যেকেই এই মুক্তমঞ্চকে স্মরণ করে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ বর্ষপূর্তি উৎসবেও একই ধরনের স্মৃতিচারণা করতে দেখা গেল প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের।
কিন্তু বর্তমানে মুক্তমঞ্চকেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা সহজ নয়। প্রশাসনিক বিধিনিষেধ ও নিয়ন্ত্রণের জবরদস্তি সংগঠনগুলোকে আহত করছে। প্রশাসন নিজেই একবার প্রক্টরিয়াল লর নামে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নিয়ন্ত্রণ কায়েমের অপচেষ্টা চালিয়েছিল, কিন্তু সফল হয়নি। আবৃত্তি সংগঠন ধ্বনির কক্ষে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে অল্প কিছুদিন আগে। সর্বশেষ অনুষ্ঠান চলাকালে ঘটল ছাত্রলীগের সন্ত্রাস। ভাঙা হলো আলোকসজ্জা, আতঙ্কিত হলো দর্শকমণ্ডলী। প্রহূত হলেন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী। সত্য এই যে প্রগতিশীলতা আর মুক্তিযুদ্ধের স্তবগান করা রাজনৈতিক দলের লেজুড় বাহিনী স্তব্ধ করে দিয়েছে মুক্তমঞ্চের আনন্দ-উচ্ছ্বাস।
যত দূর শুনেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাব্যক্তিরা জানতেন যে ঘটনার দিন দুপুর থেকেই দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তাঁরা কি কোনো ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন? প্রশাসনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ গ্রুপগুলোর নিজস্ব আধিপত্য অর্জনের যুদ্ধ কেন ত্রাস ছড়াবে? সবারই জানা, গ্রুপগুলোর সঙ্গে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর কোনো প্রতিদ্ব্বন্দ্বিতামূলক সম্পর্ক নেই। বরাবরই সাংস্কৃতিক কর্মীরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভালোবাসা ও সম্মান পেয়ে এসেছেন। দলগুলোর উৎসব-আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আয়োজনের অনুমতি দান ছাড়া আর বড় কোনো আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে না বলেই জানি। সংগঠনগুলো নিজ যোগ্যতায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত সহায়তার ওপর নির্ভর করেই উৎসব পরিচালনা করে থাকে। ২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠানস্থলে যেসব মূল্যবান সামগ্রী ভাঙা হয়েছে, তা ভাড়া করা; এসবের দায়িত্ব কে নেবে? তবে কি প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা দানে ব্যর্থ? প্রশাসন কি ছাত্রসংগঠনগুলোর কাছে নতজানু? কিংবা প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিরোধিতায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রশাসনের কি গোপন সায় আছে?
আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্রমেই সরকারি দখলবাজদের চরাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। সরকার বদল ঘটে আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ঘটতে থাকে উপাচার্যবদল, শিক্ষকদের মার্কাবদল। ছাত্রসংগঠনগুলোতে ঘটতে থাকে দলবদল আর হলগুলো ভরে ওঠে লাঠিয়াল-পাহারাদারে। অনুগত উপাচার্যদের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব আর সরকারি ছাত্রসংগঠনগুলোর তাণ্ডবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জ্ঞানসৃষ্টি, চর্চা ও বিকাশের মুক্ত পথ খুঁজে পায় না। দেশের অন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ও রাজনৈতিক ধান্দাবাজি থেকে মুক্ত নয়। অথচ এটি তো বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমান বয়সী এক বিশ্ববিদ্যালয়। মুক্তিযুদ্ধের, মুক্ত চেতনার, প্রগতির সবিস্তার জয় ঘোষণা এখানেই ঘটার কথা। কিন্তু ঘটছে না। জানি না ঘটবে কি না। ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ ধারণাটিই তো মূলত মুক্তমঞ্চের, মুক্ত ভূমির, মুক্ত জ্ঞানচর্চার শিক্ষা দেয়।
আমাদের প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর কার্যক্রম গতিশীল রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। ক্ষতিগ্রস্ত সংগঠনের সহমর্মী হয়ে পাশে দাঁড়াবে। এটুকু ভুলে গেলে চলবে না, পাকিস্তানি জামানায় সংগঠনগুলো সাংস্কৃতিক লড়াই জারি রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিল।
প্রশাসনের মনে রাখা জরুরি যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর বাংলাদেশের সক্রিয়তম বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে ধর্মকেন্দ্রিক রাজনীতির উগ্র রূপকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়নি কিংবা মেনে নেওয়া হয়নি নিপীড়নের ধারাবাহিক পর্ব-পর্বান্তর; প্রতিরোধ তৈরি হয়েছে, ‘মুক্তমঞ্চ’ হয়ে উঠেছে প্রতিরোধের অনিবার্য প্রতীক। ক্রমবর্ধমান দলীয় নিপীড়ন ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে তীব্র ক্ষোভ জমিয়ে তুলছে, তা যেকোনো সময়ই বৃহৎ আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
লেখকবৃন্দ: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক।
No comments