দেশে পা রেখেই ভাইসহ লাশ হলেন ইলিয়াস
১২ বছর ধরে ছোট ভাই ঝন্টুকে নিয়ে সুইজারল্যান্ডে আছেন ঢাকার নবাবগঞ্জের ইলিয়াস। বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও একমাত্র মেয়ে থাকে দেশের বাড়িতেই। ছুটি পেলেই তাঁদের দেখতে ছুটে আসেন দেশে। ৩৬ দিন আগেও দেশে এসে ঘুরে গেছেন। পারিবারিক ঝামেলা দেখা দেওয়ায় আবারও ১২ দিনের ছুটি নেন।
টিকিট কেটে চড়লেন বিমানে। কিন্তু ঢাকায় পা ফেলেই লাশ হলেন। ইলিয়াস একা নন, বড় ভাইকে আনতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন ছোট ভাই নাসির। অটোরিকশায় করে দুই ভাই বাড়ি ফিরছিলেন। একটি অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় দুজনই প্রাণ হারান। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার সকালে বনানীর ২৭ নম্বর সড়কের মাথায়।
মো. ইলিয়াস (৪২) ও মো. নাসিরের (৩৮) গ্রামের বাড়ি রাজধানীর অদূরে নবাবগঞ্জের গ্রামে। হরতাল কর্মসূচির কারণে অন্য কোনো যানবাহন না পেয়ে বিমানবন্দর থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে নবাবগঞ্জে ফিরছিলেন দুই ভাই।
পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় সিএনজি অটোরিকশাটি ডান দিকে মোড় নিচ্ছিল। ঠিক ওই সময় দ্রুতগতিতে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্স পেছন থেকে অটোরিকশাটিকে আঘাত করলে উল্টে যায়। এতেই গুরুতর আহত হন চালকসহ তিনজন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ইলিয়াস ও নাসিরকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর পরই চালক অ্যাম্বুলেন্স ফেলে পালিয়ে যায়। তবে হেলপার ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ আরো জানায়, চালকের পরিচয় জানা গেলেও অচেতন থাকায় অন্য দুজনের পরিচয় অজ্ঞাত ছিল। পরে তাঁদের কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোনসেটের সূত্র ধরে পরিচয় উদ্ধার সম্ভব হয়।
জানা যায়, গতকাল সকাল ১০টার দিকে অজ্ঞাত একটি নম্বর থেকে দুর্ঘটনার খবর প্রথমে আসে মা নূরজাহান বেগমের কাছে। তাঁকে জানানো হয়, তাঁর দুই ছেলেকে সামান্য আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নূরজাহান বেগম তাঁর বোন মাবিয়া বেগমকে ফোনে বলেন, সবাইকে জানানোর জন্য। এরপর নূরজাহান পাগলের মতো ছোটেন ঢাকায়। কালের কণ্ঠকে এ তথ্যগুলো দেন নিহতের খালা মাবিয়া বেগম।
আমাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রতিবেদক জানান, মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে নিহতদের স্বজনরা ছুটে আসে হাসপাতাল মর্গে। এ সময় মর্গজুড়ে কান্নার রোল পড়ে। দুটি লাশই ময়নাতদন্ত শেষে মর্গের হিমাগারে রাখা হয়েছে। ইলিয়াসের মামাতো ভাই শরিফ জানান, ইতালি থেকে শফিক এবং সুইজারল্যান্ড থেকে ঝন্টু আসার পর গ্রামের বাড়িতে তাঁদের লাশ দাফন করা হবে। আজ মঙ্গলবার তাঁদের দুই ভাইয়েরই দেশে ফেরার সম্ভাবনা আছে।
কালের কণ্ঠের দোহার-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি অমিতাভ অপু জানান, দীর্ঘ ১৫ বছর প্রবাসজীবন শেষে স্থায়ীভাবে বসবাসের উদ্দেশ্যেই দেশে ফিরে আসছিলেন ইলিয়াস। পারিবারিক ও গ্রামবাসীর সূত্র মতে, পারিবারিক বিরোধের কারণেই ইলিয়াস হঠাৎ দেশে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
ইলিয়াসের বড় বোন নারগিস আক্তার জানান, বাবার মৃত্যুর পর মা, চার ভাই ও তিন বোনের সংসারে বড় ভাই ইলিয়াস ছিলেন একমাত্র অবলম্বন। ইলিয়াস স্নাতক পাস করে প্রথমে বাহরাইনে যান এবং সেখান থেকে সুইজারল্যান্ডে চলে যান। পরে ভাইদেরও বিভিন্ন দেশে নিয়ে যান চাকরির জন্য। প্রায় ১৩ বছর আগে একই উপজেলার সাদাপুর গ্রামের ইউনুছ আলীর মেয়ে আকলিমা ইয়াসমিন আন্নাকে বিয়ে করেন ইলিয়াস।
নারগিস আক্তার বলেন, তাঁর ভাবির আলাদা থাকা নিয়ে পরিবারে ঝামেলা চলছিল। এক মাস আগে দেশে এসে ইলিয়াস সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু না পেরে ফিরে যান। এর পরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, দেশে একেবারে চলে এলেই ঝামেলা মিটে যাবে। কিন্তু তা আর হলো না।
ঘরে খাটের এক কোণে বসে বিলাপ করছিলেন ইলিয়াসের বোন নাসিমা। গত শনিবার রাতে মোবাইল ফোনে ভাইয়ের সঙ্গে শেষ কথা হয় তাঁর। নাসিমা বলেন, 'ও কয়, তোর ল্যাইগ্যা কী আনুমরে বোন। আর তো বিদেশ আহুম না। যা লাগব একবারে ক। তর মেয়ের জন্য জিন্সের প্যান্ট আর ফ্রক কিনছি। আমি বললাম, আমার আট মাসের মাইয়া জিন্সের প্যান্ট পরতে পারব গাধা? ইলিয়াস বলে, দেহিস লাগব, আমার মাপ আছে না? জীবন ভইরা তগোড্যা কিনলাম_লাগছে না ক!' এভাবে স্মৃতিচারণা করে বিলাপ করছিলেন নাসিমা। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গ্রামের বৃদ্ধ মহিলারা বলছিলেন, 'আসলে এ রকম পুলা হাজারে একটা হয় না। সব দোষ ওর বউয়ের। মাইয়্যাডার লগে একটু কতাও কইব্যার দেয় নাই বউ। মনে কত কষ্ট নিয়া মরল পুলাডা।' জানা যায়, পারিবারিক বিরোধের কারণে ইলিয়াসের স্ত্রী তাঁর মেয়েকে বারণ করেছিলেন বাবার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে। তবে ইলিয়াসের মেয়ে ইমা কালের কণ্ঠকে বলেছে, দুই দিন আগেও বাবার সঙ্গে তার কথা হয়েছে।
ইলিয়াসের বোন নাসরিন আক্তার রাজনীতিবিদদের দায়ী করে বলেন, মাইক্রোবাস নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও হরতালের কারণে কেউ রাজি হয়নি। এর ফলেই এ দুর্ঘটনা ঘটল। জানা যায়, নাসির দীর্ঘদিন বাহরাইনে ছিলেন। গ্রামেই থাকেন তাঁর স্ত্রী মাকছুদা, ছেলে শুভ (১৩) ও মৃদুল (৭)।
গতকাল দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্বজনরা যখন ইলিয়াসের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন, তখন সেখানে নেই ইলিয়াসের স্ত্রী আকলিমা ইয়াসমিন আন্না ও একমাত্র সন্ত্রান ১০ বছরের জাইমা জেরিন ইমা। তারা তখন নানার বাড়ি সাদাপুর গ্রামে। সরেজমিনে সেখানে গিয়ে মেয়ে ইমার দেখা পাওয়া গেলেও দেখা মিলল না আন্নার। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ছোট্ট ইমা জানতে পারেনি তার বাবার মৃত্যুর কথা। বাবার কথা জিজ্ঞেস করতে ইমা বলে, 'দুই দিন আগে কথা হয়েছে। বাবা ফোনে বলেছেন বিমানবন্দরে যেতে। বাবা আরো বলেছেন, আমার জন্য লেহেঙ্গা নিয়ে আসবেন।' এরই মধ্যে সেখানে আন্নার পরিবারের সদস্যরা দুই পরিবারের পারিবারিক কলহের কথা তুলে ধরে। অভিযোগের তীর ছোড়ে ইলিয়াসের পরিবারের দিকে।
নিহত ইলিয়াস ও নাসিরের স্বজনরা জানায়, আজ সকালে তাঁদের লাশ ময়মন্দি কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে। তারা আরো বলে, ইলিয়াসের ছোট ভাই মোশারফ হোসেন ঝন্টু সুইজারল্যান্ড থেকে এবং আরেক ভাই শফিক ইতালি থেকে আজ দেশে ফিরতে পারেন।
পারিবারিক সূত্র মতে, নাসিরের দুই সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে শুভ নবম শ্রেণীতে এবং ছোট ছেলে মৃদুল প্রথম শ্রেণীতে পড়ে। নাসির এলাকায় ব্যবসা করতেন। তিনি এসিআই প্রতিষ্ঠানের ডিলার এবং তাঁর ওয়েল্ডিং ব্যবসা রয়েছে
মো. ইলিয়াস (৪২) ও মো. নাসিরের (৩৮) গ্রামের বাড়ি রাজধানীর অদূরে নবাবগঞ্জের গ্রামে। হরতাল কর্মসূচির কারণে অন্য কোনো যানবাহন না পেয়ে বিমানবন্দর থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে নবাবগঞ্জে ফিরছিলেন দুই ভাই।
পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় সিএনজি অটোরিকশাটি ডান দিকে মোড় নিচ্ছিল। ঠিক ওই সময় দ্রুতগতিতে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্স পেছন থেকে অটোরিকশাটিকে আঘাত করলে উল্টে যায়। এতেই গুরুতর আহত হন চালকসহ তিনজন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ইলিয়াস ও নাসিরকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর পরই চালক অ্যাম্বুলেন্স ফেলে পালিয়ে যায়। তবে হেলপার ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ আরো জানায়, চালকের পরিচয় জানা গেলেও অচেতন থাকায় অন্য দুজনের পরিচয় অজ্ঞাত ছিল। পরে তাঁদের কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোনসেটের সূত্র ধরে পরিচয় উদ্ধার সম্ভব হয়।
জানা যায়, গতকাল সকাল ১০টার দিকে অজ্ঞাত একটি নম্বর থেকে দুর্ঘটনার খবর প্রথমে আসে মা নূরজাহান বেগমের কাছে। তাঁকে জানানো হয়, তাঁর দুই ছেলেকে সামান্য আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নূরজাহান বেগম তাঁর বোন মাবিয়া বেগমকে ফোনে বলেন, সবাইকে জানানোর জন্য। এরপর নূরজাহান পাগলের মতো ছোটেন ঢাকায়। কালের কণ্ঠকে এ তথ্যগুলো দেন নিহতের খালা মাবিয়া বেগম।
আমাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রতিবেদক জানান, মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে নিহতদের স্বজনরা ছুটে আসে হাসপাতাল মর্গে। এ সময় মর্গজুড়ে কান্নার রোল পড়ে। দুটি লাশই ময়নাতদন্ত শেষে মর্গের হিমাগারে রাখা হয়েছে। ইলিয়াসের মামাতো ভাই শরিফ জানান, ইতালি থেকে শফিক এবং সুইজারল্যান্ড থেকে ঝন্টু আসার পর গ্রামের বাড়িতে তাঁদের লাশ দাফন করা হবে। আজ মঙ্গলবার তাঁদের দুই ভাইয়েরই দেশে ফেরার সম্ভাবনা আছে।
কালের কণ্ঠের দোহার-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি অমিতাভ অপু জানান, দীর্ঘ ১৫ বছর প্রবাসজীবন শেষে স্থায়ীভাবে বসবাসের উদ্দেশ্যেই দেশে ফিরে আসছিলেন ইলিয়াস। পারিবারিক ও গ্রামবাসীর সূত্র মতে, পারিবারিক বিরোধের কারণেই ইলিয়াস হঠাৎ দেশে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
ইলিয়াসের বড় বোন নারগিস আক্তার জানান, বাবার মৃত্যুর পর মা, চার ভাই ও তিন বোনের সংসারে বড় ভাই ইলিয়াস ছিলেন একমাত্র অবলম্বন। ইলিয়াস স্নাতক পাস করে প্রথমে বাহরাইনে যান এবং সেখান থেকে সুইজারল্যান্ডে চলে যান। পরে ভাইদেরও বিভিন্ন দেশে নিয়ে যান চাকরির জন্য। প্রায় ১৩ বছর আগে একই উপজেলার সাদাপুর গ্রামের ইউনুছ আলীর মেয়ে আকলিমা ইয়াসমিন আন্নাকে বিয়ে করেন ইলিয়াস।
নারগিস আক্তার বলেন, তাঁর ভাবির আলাদা থাকা নিয়ে পরিবারে ঝামেলা চলছিল। এক মাস আগে দেশে এসে ইলিয়াস সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু না পেরে ফিরে যান। এর পরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, দেশে একেবারে চলে এলেই ঝামেলা মিটে যাবে। কিন্তু তা আর হলো না।
ঘরে খাটের এক কোণে বসে বিলাপ করছিলেন ইলিয়াসের বোন নাসিমা। গত শনিবার রাতে মোবাইল ফোনে ভাইয়ের সঙ্গে শেষ কথা হয় তাঁর। নাসিমা বলেন, 'ও কয়, তোর ল্যাইগ্যা কী আনুমরে বোন। আর তো বিদেশ আহুম না। যা লাগব একবারে ক। তর মেয়ের জন্য জিন্সের প্যান্ট আর ফ্রক কিনছি। আমি বললাম, আমার আট মাসের মাইয়া জিন্সের প্যান্ট পরতে পারব গাধা? ইলিয়াস বলে, দেহিস লাগব, আমার মাপ আছে না? জীবন ভইরা তগোড্যা কিনলাম_লাগছে না ক!' এভাবে স্মৃতিচারণা করে বিলাপ করছিলেন নাসিমা। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গ্রামের বৃদ্ধ মহিলারা বলছিলেন, 'আসলে এ রকম পুলা হাজারে একটা হয় না। সব দোষ ওর বউয়ের। মাইয়্যাডার লগে একটু কতাও কইব্যার দেয় নাই বউ। মনে কত কষ্ট নিয়া মরল পুলাডা।' জানা যায়, পারিবারিক বিরোধের কারণে ইলিয়াসের স্ত্রী তাঁর মেয়েকে বারণ করেছিলেন বাবার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে। তবে ইলিয়াসের মেয়ে ইমা কালের কণ্ঠকে বলেছে, দুই দিন আগেও বাবার সঙ্গে তার কথা হয়েছে।
ইলিয়াসের বোন নাসরিন আক্তার রাজনীতিবিদদের দায়ী করে বলেন, মাইক্রোবাস নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও হরতালের কারণে কেউ রাজি হয়নি। এর ফলেই এ দুর্ঘটনা ঘটল। জানা যায়, নাসির দীর্ঘদিন বাহরাইনে ছিলেন। গ্রামেই থাকেন তাঁর স্ত্রী মাকছুদা, ছেলে শুভ (১৩) ও মৃদুল (৭)।
গতকাল দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্বজনরা যখন ইলিয়াসের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন, তখন সেখানে নেই ইলিয়াসের স্ত্রী আকলিমা ইয়াসমিন আন্না ও একমাত্র সন্ত্রান ১০ বছরের জাইমা জেরিন ইমা। তারা তখন নানার বাড়ি সাদাপুর গ্রামে। সরেজমিনে সেখানে গিয়ে মেয়ে ইমার দেখা পাওয়া গেলেও দেখা মিলল না আন্নার। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ছোট্ট ইমা জানতে পারেনি তার বাবার মৃত্যুর কথা। বাবার কথা জিজ্ঞেস করতে ইমা বলে, 'দুই দিন আগে কথা হয়েছে। বাবা ফোনে বলেছেন বিমানবন্দরে যেতে। বাবা আরো বলেছেন, আমার জন্য লেহেঙ্গা নিয়ে আসবেন।' এরই মধ্যে সেখানে আন্নার পরিবারের সদস্যরা দুই পরিবারের পারিবারিক কলহের কথা তুলে ধরে। অভিযোগের তীর ছোড়ে ইলিয়াসের পরিবারের দিকে।
নিহত ইলিয়াস ও নাসিরের স্বজনরা জানায়, আজ সকালে তাঁদের লাশ ময়মন্দি কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে। তারা আরো বলে, ইলিয়াসের ছোট ভাই মোশারফ হোসেন ঝন্টু সুইজারল্যান্ড থেকে এবং আরেক ভাই শফিক ইতালি থেকে আজ দেশে ফিরতে পারেন।
পারিবারিক সূত্র মতে, নাসিরের দুই সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে শুভ নবম শ্রেণীতে এবং ছোট ছেলে মৃদুল প্রথম শ্রেণীতে পড়ে। নাসির এলাকায় ব্যবসা করতেন। তিনি এসিআই প্রতিষ্ঠানের ডিলার এবং তাঁর ওয়েল্ডিং ব্যবসা রয়েছে
No comments