কাল সারা দেশে বিক্ষোভ করবে বিএনপি
এম ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে চলতি সপ্তাহে দুই দিন হরতালের পর আগামীকাল বুধবার সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ওই সমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। গতকাল সোমবার হরতাল শেষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন দলের যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ।
পরে গতকাল রাতে গুলশানের কার্যালয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন দলের সিনিয়র নেতারা। বৈঠকে দলীয় নেতাদের সজাগ ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন খালেদা জিয়া।
বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত রিজভী আহমেদ বলেন, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করায় সরকার নতুন নতুন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ইলিয়াস ইস্যু অন্যদিকে প্রবাহিত করতেই সরকার বিএনপির মহাসচিবসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তারা ইলিয়াস আলীর ব্যাপারে বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক কথা বলে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, 'হরতালকে কেন্দ্র করে সরকার ১৮ দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েছে। পুলিশি ছত্রছায়ায় সরকারের গুণ্ডাবাহিনী আমাদের ওপর হায়েনার মতো আক্রমণ করেছে।'
হরতালে গাড়ি পোড়ানো ও সচিবালয়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা জানিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান রিজভী। একই সঙ্গে তিনি সারা দেশে হরতাল চলাকালে গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও আহতদের চিকিৎসার আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব আবদুস সালাম, সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি ও কয়েকজন কর্মী ছাড়া কেন্দ্রীয় কোনো নেতাকে দেখা যায়নি।
মামলা দিয়ে দমানো যাবে না : মওদুদ
গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গতকাল বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, মামলা দিয়ে বিরোধী দলের আন্দোলন প্রতিহত করা যাবে না, দুর্বল করা যাবে না। মির্জা ফখরুলসহ যাঁদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে তা মিথ্যা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। এ মামলা প্রমাণ করে, সরকার বিরোধী দলকে ভয় পাচ্ছে। তারা মির্জা ফখরুলের বাসায়, এর আগে হান্নান শাহের বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে। সরকার দিশেহারা ও মরিয়া হয়ে এসব করছে।
মামলা দুটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ বলেন, অন্যথায় রাজপথ বা আদালত কোথাও ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, গাড়ি পোড়ানো ও ককটেল বিস্ফোরণের মতো ঘটনায় দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা কখনো জড়িত থাকতে পারেন না; তাঁরা জড়িত ছিলেনও না। মামলার অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনা ধামাচাপা দিতে ইলিয়াস আলী ও তাঁর গাড়িচালককে গুম করা হয়েছে। এখন এ নিয়ে আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে এই দুটি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। বিএনপি নেতাদের বাড়িতে তল্লাশিরও নিন্দা জানান মওদুদ।
সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খোন্দকার মাহবুব হোসেন, খালেদা জিয়ার প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেল ও বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
সর্তক থাকার পরামর্শ খালেদার
বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে দলের সিনিয়র নেতাদের বৈঠকে দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ইলিয়াস আলী নিখোঁজ, দলের সিনিয়র নেতাদের নামে মামলা ও গ্রেপ্তার করে হয়রানি এবং সরকারবিরোধী আন্দোলনের পরবর্তী করণীয় কী ও সরকার কেন হার্ডলাইনে গেল তা নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া বিএনপিসহ ১৮ দলীয় নেতাদের নামে মামলা দায়ের, রুহুল কবির রিজভী আহমেদ গ্রেপ্তারসহ নগরীতে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করা এবং হরতালে পুলিশের বাধা দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
রাত ৯টায় বৈঠক শুরু হয়ে সোয়া এক ঘণ্টার মতো বৈঠক চলে। খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবদীন, ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর, শামসুজ্জামান দুদু, অধ্যাপক এম এ মান্নান, আবদুল মান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত রিজভী আহমেদ বলেন, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করায় সরকার নতুন নতুন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ইলিয়াস ইস্যু অন্যদিকে প্রবাহিত করতেই সরকার বিএনপির মহাসচিবসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তারা ইলিয়াস আলীর ব্যাপারে বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক কথা বলে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, 'হরতালকে কেন্দ্র করে সরকার ১৮ দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েছে। পুলিশি ছত্রছায়ায় সরকারের গুণ্ডাবাহিনী আমাদের ওপর হায়েনার মতো আক্রমণ করেছে।'
হরতালে গাড়ি পোড়ানো ও সচিবালয়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা জানিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান রিজভী। একই সঙ্গে তিনি সারা দেশে হরতাল চলাকালে গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও আহতদের চিকিৎসার আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব আবদুস সালাম, সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি ও কয়েকজন কর্মী ছাড়া কেন্দ্রীয় কোনো নেতাকে দেখা যায়নি।
মামলা দিয়ে দমানো যাবে না : মওদুদ
গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গতকাল বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, মামলা দিয়ে বিরোধী দলের আন্দোলন প্রতিহত করা যাবে না, দুর্বল করা যাবে না। মির্জা ফখরুলসহ যাঁদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে তা মিথ্যা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। এ মামলা প্রমাণ করে, সরকার বিরোধী দলকে ভয় পাচ্ছে। তারা মির্জা ফখরুলের বাসায়, এর আগে হান্নান শাহের বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে। সরকার দিশেহারা ও মরিয়া হয়ে এসব করছে।
মামলা দুটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ বলেন, অন্যথায় রাজপথ বা আদালত কোথাও ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, গাড়ি পোড়ানো ও ককটেল বিস্ফোরণের মতো ঘটনায় দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা কখনো জড়িত থাকতে পারেন না; তাঁরা জড়িত ছিলেনও না। মামলার অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনা ধামাচাপা দিতে ইলিয়াস আলী ও তাঁর গাড়িচালককে গুম করা হয়েছে। এখন এ নিয়ে আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে এই দুটি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। বিএনপি নেতাদের বাড়িতে তল্লাশিরও নিন্দা জানান মওদুদ।
সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খোন্দকার মাহবুব হোসেন, খালেদা জিয়ার প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেল ও বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।
সর্তক থাকার পরামর্শ খালেদার
বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে দলের সিনিয়র নেতাদের বৈঠকে দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ইলিয়াস আলী নিখোঁজ, দলের সিনিয়র নেতাদের নামে মামলা ও গ্রেপ্তার করে হয়রানি এবং সরকারবিরোধী আন্দোলনের পরবর্তী করণীয় কী ও সরকার কেন হার্ডলাইনে গেল তা নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া বিএনপিসহ ১৮ দলীয় নেতাদের নামে মামলা দায়ের, রুহুল কবির রিজভী আহমেদ গ্রেপ্তারসহ নগরীতে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করা এবং হরতালে পুলিশের বাধা দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
রাত ৯টায় বৈঠক শুরু হয়ে সোয়া এক ঘণ্টার মতো বৈঠক চলে। খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবদীন, ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর, শামসুজ্জামান দুদু, অধ্যাপক এম এ মান্নান, আবদুল মান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments