রসকীয়-ক্যালেন্ডারে কাগজের অপচয় জাতীয় স্বার্থে রোধ করা জরুরি
অপচয়কারী যে শয়তানের কতটা ঘনিষ্ঠ আত্মীয় তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু সবকিছু জেনেও আমরা নিজের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারছি। তাও যেনতেন কুড়াল নয়, একেবারে চাইনিজ কুড়াল। নতুন বছরে ক্যালেন্ডার পেলেই সবাই খুশিতে মুখে হাসি ঝুলিয়ে ক্যালেন্ডারটা দেয়ালে ঝুলিয়ে দেয়।
কিন্তু এতে যে কী বিরাট অপচয় হচ্ছে তা কেউই ভেবে দেখে না। ফি-বছর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান লাখ লাখ টাকা খরচ করে ক্যালেন্ডার তৈরি করে। ছোট-বড়, ওয়াল-ডেস্ক-পকেট ক্যালেন্ডারসহ আরও কত কি! এতে যে কাগজ এবং অর্থের কী পরিমাণ অপচয় হয় তার কোনো হিসাব নেই। সবার মোবাইল ফোনেই এখন হাজার বছরের ক্যালেন্ডার দেওয়া আছে। তা ছাড়া রাস্তাঘাটে গাণিতিক পদ্ধতির আধুনিক যে ক্যালেন্ডার পাওয়া যায়, তাতে ৫০০ বছরের দিন-তারিখ দেওয়া আছে। সরকার এসব ক্যালেন্ডার সাধারণ জনগণের কাছে সরবরাহ করলেই তো আর প্রতিবছর ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হয় না। ক্যালেন্ডার বাড়ির দেয়ালেরও ক্ষতি করে। ক্যালেন্ডার ঝোলানোর জন্য পেরেক ঠুকে বা ড্রিল করে দেয়ালে ফুটো করতে হয়। দেয়ালেরও যে কান আছে, তা তো সবাই জানে। কিন্তু ক্যালেন্ডার দিয়ে যদি সেই কান ঢেকে দেওয়া হয়, তবে দেয়াল কী করে শুনবে? ডেস্ক ক্যালেন্ডারও ডেস্কের জায়গা নষ্ট করে বসে থাকে। আর বিভিন্ন কোম্পানির পকেট ক্যালেন্ডার মানিব্যাগে রাখায় মানিব্যাগের স্বাস্থ্য বেড়ে যায়। ফলে পকেটমার খুব সহজেই সেদিকে আকৃষ্ট হয়। এত কিছুর পরও ক্যালেন্ডার ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সুশীল সমাজ ‘ক্যালেন্ডারের গুরুত্ব অপরিসীম’ বলে লেকচার দেবে। তবে সরকারের উচিত, এসব লেকচারে কান না দিয়ে ঘরে ঘরে গাণিতিক ক্যালেন্ডারের সরবরাহ নিশ্চিত করে দেশের কাগজের অপচয় রোধ করা।
প্রিয় পাঠক, নববর্ষ উপলক্ষে এবার মাঝের পাতায় বুঝে নিন বিশেষ বাগধারা ক্যালেন্ডার (চাররঙা)। তারপর বারমাস ধরে খুঁজে বের করুন ক্যালেন্ডারে কতগুলো বাগধারা ব্যবহূত হয়েছে।
প্রিয় পাঠক, নববর্ষ উপলক্ষে এবার মাঝের পাতায় বুঝে নিন বিশেষ বাগধারা ক্যালেন্ডার (চাররঙা)। তারপর বারমাস ধরে খুঁজে বের করুন ক্যালেন্ডারে কতগুলো বাগধারা ব্যবহূত হয়েছে।
No comments