এ অন্যায় চলতে দেওয়া যায় না-গাড়িচালকদের অবৈধ লাইসেন্স
সম্প্রতি প্রকাশিত প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খোদ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাব অনুযায়ী, দেশে চালু প্রায় সাড়ে ১২ লাখ গাড়ির জন্য বৈধ চালকের সংখ্যা আট লাখ, বাকি সাড়ে চার লাখই ভুয়া লাইসেন্সে গাড়ি চালান।
এটা আসলে যাত্রীদের জন্য এক মরণফাঁদ। এই অবৈধ চালকদের কারণে অনেক দুর্ঘটনায় নিরীহ মানুষকে প্রাণ দিতে হচ্ছে।
আট লাখের মধ্যে পেশাদার চালকের সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ এবং তাঁদের সবার যে বৈধ লাইসেন্স রয়েছে, তা কি দাবি করা যায়? কারণ, ওই সব লাইসেন্স শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে দেওয়া হয়। ১৯৯০ সাল থেকে ব্যাপারটা চলে আসছে। যথাযথ পরীক্ষা ছাড়াই বিআরটিএ তাদের চালকের লাইসেন্স দিয়ে দেয়। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফরমও পূরণ করা হয় না। অর্থাত্ তাঁদের লাইসেন্স থাকলেও হিসাবের খাতায় নামধাম, ঠিকানাসহ অন্যান্য বিবরণী থাকে না। আর শ্রমিক ইউনিয়ন যাঁদের নাম সুপারিশ করে, তাঁরা স্রেফ টাকার বিনিময়ে সেই ছাড়পত্র কিনে নেন বলে বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে। সুতরাং তাঁরা গাড়ি চালাতে কতটা দক্ষ, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
অন্তত পেশাদার গাড়িচালকদের ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি, বৈধ-অবৈধনির্বিশেষে এক বিরাটসংখ্যক লাইসেন্সই অকার্যকর। তাহলে কীভাবে সড়কে নৈরাজ্য বন্ধ হবে? উপরন্তু যখন আমরা দেখি, অনেক বাস-ট্রাকের চালক নিজেরা না চালিয়ে হেলপারকে (সহকারী) দিয়ে গাড়ি চালান, তখন বিপদের ভয়াবহতা সম্পর্কে প্রকৃত চিত্রটি পাওয়া যায়। দুর্ঘটনাকবলিত বাস বা ট্রাক হেলপারের হাতে ছেড়ে দেওয়ার খবর প্রায়ই দেখা যায়। প্রতিকারহীনভাবে এসব অনিয়ম চলছে। শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর সুপারিশে লাইসেন্স দেওয়ার প্রথা বাতিলের জন্য ২০০১ সালে তত্কালীন যোগাযোগমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হন। কারণ, শ্রমিক ইউনিয়নগুলো দারুণ প্রতিপত্তিশালী। তাদের আন্দোলনের মুখে মন্ত্রীকেও পিছু হটতে হয়। এ ক্ষেত্রে বিআরটিএ যেন অসহায়। ভুয়া লাইসেন্স ধরার মতো লোকবল নাকি তাদের নেই! এখন সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কার স্বার্থ রক্ষা করবে। শ্রমিক ইউনিয়নের অন্যায় দাবির কাছে মাথা নত করবে, নাকি অগণিত বাসযাত্রীর জীবনের নিরাপত্তার কথা ভাববে।
বেশি দূর যেতে হবে না, কর্তাব্যক্তিরা একবার কলকাতা ঘুরে আসুন। রাস্তায় এত বাস, এত গাড়ি চলছে, একটি যানবাহনেও সামনে-পেছনে বাড়তি বাম্পার লাগিয়ে চলতে হয় না। কারণ, চালকেরা বৈধ লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালান। তাঁরা যান চলাচলের নিয়ম ভাঙেন না। আমেরিকায় কোনো ব্যক্তির গাড়ি চালানোর লাইসেন্স শুধু গাড়ি চালানোর জন্যই নয়, সেটা তাঁর এক ধরনের পরিচয়পত্র হিসেবেও ব্যবহূত হয়। কারও লাইসেন্স থাকা মানে, সব ব্যাপারেই একজন নির্ভরযোগ্য নাগরিক হিসেবে তাঁর ওপর আস্থা রাখা যায়।
আমরা তাহলে কত পেছনে পড়ে আছি!
আট লাখের মধ্যে পেশাদার চালকের সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ এবং তাঁদের সবার যে বৈধ লাইসেন্স রয়েছে, তা কি দাবি করা যায়? কারণ, ওই সব লাইসেন্স শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে দেওয়া হয়। ১৯৯০ সাল থেকে ব্যাপারটা চলে আসছে। যথাযথ পরীক্ষা ছাড়াই বিআরটিএ তাদের চালকের লাইসেন্স দিয়ে দেয়। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফরমও পূরণ করা হয় না। অর্থাত্ তাঁদের লাইসেন্স থাকলেও হিসাবের খাতায় নামধাম, ঠিকানাসহ অন্যান্য বিবরণী থাকে না। আর শ্রমিক ইউনিয়ন যাঁদের নাম সুপারিশ করে, তাঁরা স্রেফ টাকার বিনিময়ে সেই ছাড়পত্র কিনে নেন বলে বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে। সুতরাং তাঁরা গাড়ি চালাতে কতটা দক্ষ, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
অন্তত পেশাদার গাড়িচালকদের ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি, বৈধ-অবৈধনির্বিশেষে এক বিরাটসংখ্যক লাইসেন্সই অকার্যকর। তাহলে কীভাবে সড়কে নৈরাজ্য বন্ধ হবে? উপরন্তু যখন আমরা দেখি, অনেক বাস-ট্রাকের চালক নিজেরা না চালিয়ে হেলপারকে (সহকারী) দিয়ে গাড়ি চালান, তখন বিপদের ভয়াবহতা সম্পর্কে প্রকৃত চিত্রটি পাওয়া যায়। দুর্ঘটনাকবলিত বাস বা ট্রাক হেলপারের হাতে ছেড়ে দেওয়ার খবর প্রায়ই দেখা যায়। প্রতিকারহীনভাবে এসব অনিয়ম চলছে। শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর সুপারিশে লাইসেন্স দেওয়ার প্রথা বাতিলের জন্য ২০০১ সালে তত্কালীন যোগাযোগমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হন। কারণ, শ্রমিক ইউনিয়নগুলো দারুণ প্রতিপত্তিশালী। তাদের আন্দোলনের মুখে মন্ত্রীকেও পিছু হটতে হয়। এ ক্ষেত্রে বিআরটিএ যেন অসহায়। ভুয়া লাইসেন্স ধরার মতো লোকবল নাকি তাদের নেই! এখন সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কার স্বার্থ রক্ষা করবে। শ্রমিক ইউনিয়নের অন্যায় দাবির কাছে মাথা নত করবে, নাকি অগণিত বাসযাত্রীর জীবনের নিরাপত্তার কথা ভাববে।
বেশি দূর যেতে হবে না, কর্তাব্যক্তিরা একবার কলকাতা ঘুরে আসুন। রাস্তায় এত বাস, এত গাড়ি চলছে, একটি যানবাহনেও সামনে-পেছনে বাড়তি বাম্পার লাগিয়ে চলতে হয় না। কারণ, চালকেরা বৈধ লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালান। তাঁরা যান চলাচলের নিয়ম ভাঙেন না। আমেরিকায় কোনো ব্যক্তির গাড়ি চালানোর লাইসেন্স শুধু গাড়ি চালানোর জন্যই নয়, সেটা তাঁর এক ধরনের পরিচয়পত্র হিসেবেও ব্যবহূত হয়। কারও লাইসেন্স থাকা মানে, সব ব্যাপারেই একজন নির্ভরযোগ্য নাগরিক হিসেবে তাঁর ওপর আস্থা রাখা যায়।
আমরা তাহলে কত পেছনে পড়ে আছি!
No comments